পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম বলেছেন, সরকার ও প্রশাসন মেনে নিয়েই বিএনপি নির্বাচনে এসেছে। এখন প্রশাসনের রদবদলের দাবি অবান্তর। গতকাল রোববার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকশেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএনপি প্রশাসনের রদবদলের নামে যে দাবি করেছে, তাহলে একেবারে পুরো সরকারকেই উলট-পালট করতে হয়। পুরো সরকারই বদল করতে হয়। সেটি তো, নয়। বিএনপিতো মেনেই নিয়েছে এ সরকারের অধীনেই এবং এই প্রশাসনের অধীনেই তারা নির্বাচন করবে। তারা তো নির্বাচনে এসেছে। এখন এ প্রশ্ন আমি মনে করি অবান্তর। সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছেন এইচ টি ইমাম। তিনি বলেন, আজকে আমরা শুনলাম মির্জা ফখরুল সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যেটি একবারে নির্বাচনী আচরণবিধির সুষ্পট লঙ্ঘন, সেখানে তিনি একটি সমাবেশ করেছেন। এখনতো সমাবেশ করার কথা না। সমাবেশ যেই করুক না কেন, আমাদের কেউ করলেও সেটি যেমন শাস্তিযোগ্য অপরাধ, অন্যদের বেলায়ও সেটি প্রযোজ্য। আমরা এখানে এসেছি, আমরা চাই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, যে কথা বলছি- সেটা মনেপ্রাণে আমরা বিশ্বাস করি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন- তারা ব্যবস্থা নেবেন আমাদের জানিয়েছে। আমরা সবসময় বলছি, আইন সবার জন্য সমান। আমাদের কেউ এরকম করলেও। আপানারা জানেন, বিএনপির কোনো কোনো নেতা বিভিন্ন ধরনের কথা বলেছেন। যেমন তারা বলছেন, নির্বাচন কমিশন ৩০ ডিসেম্বরের পর কোথায় থাকে আমরা দেখবো। কিংবা আওয়ামী লীগ নেতারা কোথায় থাকেন আমরা দেখবো। তার মানে কী? এগুলো নির্বাচন কমিশনের কাছে বলেছি। এ বিষয়ে কমিশনকে সুষ্পষ্টভাবে নির্দেশনা দিতে বলেছি।
‘সবার জন্য সমান সুযোগ নেই’ বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নির্বাচন কমিশনে এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন- মওদুদ আহমদ বললেই কী বেদবাক্য হয়ে গেল, তাতো নয়। তারা দিন-রাত মিথ্যা কথা বলেন। অনবরতই মিথ্যা কথা বলেন। মওদুদ আহমদ দশ বছর আগে বিশ বছর আগে কী বলেছেন, এখন কী বললেন? তিনি বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র তথা সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে লক্ষ্য করে বিভিন্নভাবে চারদিক থেকে উস্কানীমূলক বক্তব্য দেয়া হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করা উচিত। আমরা আগেও বলেছি নির্বাচন কমিশনকে যদি সত্যিই আমরা শক্তিশালী করতে চাই, যদি মনে করি নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবে, নির্বাচন কমিশন করতে পারবে। এবার নির্বাচনে একটা অভূতপূর্ব বিষয় হচ্ছে, জননেত্রী শেখ হাসিনার সময়ে তার সরকারের সময়ে সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। এমন অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে, সেখানে প্রত্যেকেরই সমর্থন দরকার। সহযোগিতা ও সহনশীলতা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে আমরা কখনই কোনো উস্কানিমূলক বক্তব্য দেইনি। আমরা নির্বাচন কমিশনকে কতগুলো বিষয় বলেছি। যেমন আজকাল অনেকগুলো অনলাইন আছে, তাদের কোনোরকম নিবন্ধন নেই এবং স্থানীয়ভাবে অনেক লোকাল টেলিভিশন ও গজিয়ে উঠেছে। এগুলো সম্পর্কেও আমাদের সচেতন হওয়া দরকার। যাতে কেউ কোনোরকম বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে, কেউ যাতে অপপ্রচার না করে। আর সব থেকে বড় জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় যাতে না দিতে পারে। তিনি বলেন, লন্ডনে স¤প্রতি ডেইলি টেলিগ্রাফে এবং ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকায় এসেছে সেখানে ব্যাংকিং আইনে দন্ডিত একজন ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। সেখানে তাকে এক মিলিয়ন পাউন্ড দন্ডিত করা হয়েছে। তারপরও সেই ব্যক্তি এখানে এসেছেন। তিনি বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন। এ বিষয়টি আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে তুলে ধরেছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ফারুক খান বলেন, খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিলের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, সবার জন্য সমান সুযোগ আছে। আইন সবার জন্য সমান। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিলে নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান বলেন, আমি তো মনে করি, এটাই লেবেল প্লেয়িং গ্রাউন্ড। আইন সকলের জন্য এক। কোনো দলের প্রধান হলে তাঁর জন্য আইনতো অন্য রকম হবে না। আওয়ামী লীগ কি বিদেশি পর্যবেক্ষক আসা নিরুৎসাহিত করছে এমন প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন, তাঁরা এটা নিরুৎসাহিত করছে না। তবে সবাইকে আচরণবিধি ও আইন মেনে চলতে হবে। ইমাম বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক যারা আসবে, তাদের নির্বাচনী আইন এবং পর্যবেক্ষক নীতিমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। দেশে ১১৮টি নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থা রয়েছে। বিদেশ থেকেও যদি এ রকম পর্যবেক্ষক আসতে থাকে, তাহলে তাদের নিরাপত্তা দিতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনেক ব্যস্ত থাকতে হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল ফারুক খান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হক চৌধুরী নওফেল, ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ড. মশিউর রহমান, রাশেদুল হক, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, এস এম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য রিয়াজুল কবির কাউসার, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি, তানভীর ইমাম, এনামুল হক চৌধুরী, ড. সেলিম মাহমুদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।