পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মানিকগঞ্জ জেলার তিন আসনেই বিএনপির সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিয়েছে জেলা রিটানিং অফিসার। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষর নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাতিল করা হয় ওই সব মনোনয়ন পত্র। দলের মহাসচিবের স্বাক্ষর সঠিক জানিয়ে গতকালই চিঠি নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হয়।
ইসিতে জমা দেয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয় মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক বিএনপির মনোনয়নপত্রে আমার প্রদত্ত স্বাক্ষর গ্রহণ করছেন না। যা অনাকাঙ্খিত। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে জানাচ্ছি যে মানিকগঞ্জ জেলার প্রতিটি আসনে যাদের দলীয় মনোনয়নপত্র দেয়া হয়েছে তারা আমরা সুপরিচিত এবং আমি নিজে তাদের মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করেছি। এ বিষয়ে সন্দেহের বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই। আমার স্বাক্ষর গ্রহণ করার জন্য মানিকগঞ্জসহ সব জেলা প্রশাসককে তড়িত নির্দেশনা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
এর আগে মানিকগঞ্জ জেলার ৩টি নির্বাচনী আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই যাচাই-বাছাই এর কাজ সম্পন্ন হয়। ৪ জন বিএনপির প্রার্থীসহ মোট ৮ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। মানিকগঞ্জ জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা (জেলা প্রশাসক) এসএম ফেরদৌস প্রার্থীদের জমাকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করেন। এসময় জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা কাজী মোঃ ইস্তাফিজুল হক আকন্দ সহ প্রার্থী এবং সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জের ৩টি আসনে এবার ২৫জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে ৪জন বিএনপির প্রার্থীসহ মোট ৮ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। বাতিলকৃত প্রার্থীরা হলেন মানিকগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির তোজাম্মেল হক তোজা (বিএনপি) অনলাইনে কাগজপত্র জমা না দেয়ায়, এ্যডভোকেট মোহাম্মদ আতোয়ার রহমান (জাকের পার্টি) যথাযথ ভাবে মনোনয়ন ফরম পূরন না করায় তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। মানিকগঞ্জ-২ আসনে ৫ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়। এরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তর দলের মহাসচিবের স্বক্ষর সন্দেহ হওয়ায় ও আবিদুর রহমান খান রোমান (বিএনপি) উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায়, সাবেক সংসদ সদস্য এসএম আব্দুল মান্নান (জাতীয় পার্টি) ঋণ খেলাপীর জন্য, মোঃ মাসুম মিয়ার স্বতন্ত্র হিসেবে ১ শতাংশ ভোটারের স্বক্ষর ভূয়া হওয়ায় ও মোঃ মোশারফ হোসেন (সতন্ত্র) এক শতাংশ ভোটারের স্বক্ষর জমা না দেয়ায় তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।। মানিকগঞ্জ ৩ আসনে একমাত্র আতাউর রহমান আতার (বিএনপি) উপজেলা চেয়ারম্যান পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
উল্লেখ্য,বাতিলকৃতরা প্রার্থীরা আগামী ৩দিনের মধ্যে ইলেকশন কমিশনে আপিল করার সুযোগ পাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।