পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিনটিতে আবহাওয়ার মতিগতি কেমন থাকবে? শীত আর ঘন কুয়াশার মধ্যে ভোটারগণ বসতঘর থেকে স্বস্তিতে বের হতে কী পারবেন? শৈত্যপ্রবাহ থাকলে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে কিনা। এমন সব প্রশ্ন আর কৌতূহল ইতোমধ্যে উঁকিঝুকি দিয়েছে ভোটার তথা সর্বস্তরের মানুষের মাঝে। যেহেতু এদেশে পৌষ মাসে প্রচন্ড শীত অনুভূত হয়ে থাকে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিনে তীব্র শীতের দাপটে হাড় কাঁপবে। সেই সাথে শহর-বন্দর, গ্রাম-জনপদ ঢাকা থাকবে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায়। শীত আর কুয়াশা মিলে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে।
চলতি ডিসেম্বর (অগ্রহায়ণ-পৌষ) মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস প্রদানের লক্ষ্যে গতকাল (রোববার) বিকেলে অনুষ্ঠিত আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ কমিটির সভা সূত্রে একথা জানা গেছে। সভায় দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, চলতি ডিসেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকতে পারে। তবে ডিসেম্বরের শেষ ১৫ দিনে তথা দ্বিতীয়ার্ধে পৌষের গোড়াতেই তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের চেয়ে নিচে নেমে যেতে পারে। চলতি ডিেেম্বরের শেষের দিকে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে (ঢাকা ও আশপাশের জেলাসমূহ) এক থেকে দুইটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সময় তাপমাত্রার পারদ নামবে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের সময় তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে। পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, এ মাসে শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল এবং নদ-নদী অববাহিকায় ঘন থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র মাঝারি কিংবা হালকা ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। প্রসঙ্গত গতবছরও ডিসেম্বরের শেষ দিকে প্রচন্ড শৈত্যপ্রবাহে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে মানুষ কাহিল হয়ে পড়েন। জীবনযাত্রা হয়ে পড়ে অচল।
এবারের ডিসেম্বরের পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, এ মাসে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি এবং সেটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমেদ। সভায় বৈশি^ক, আঞ্চলিক ও দেশের আবহাওয়া-জলবায়ু পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য-উপাত্ত, মডেল, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নোয়া, আইআরআই-কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, এপেক জলবায়ু কেন্দ্রের পূর্বাভাস ও তথ্যাবলী ইত্যাদি উপাদান পর্যালোচনা করা হয়।
এদিকে উক্ত সভায় চলতি ডিসেম্বর মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। সভার পর্যালোচনা সূত্রে জানা গেছে, গত নভেম্বর (কার্তিক-অগ্রহায়ণ) মাসে বাংলাদেশে স্বাভাবিক হার ও পরিমানের চেয়ে সার্বিকভাবে ৮৮ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ বছরজুড়ে চলে আসা অনাবৃষ্টির ধারা অব্যাহত রয়েছে। নভেম্বর মাসে রংপুর, খুলনা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে বলতে গেলে কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। ঢাকা বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫৭ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুধুই ময়মনসিংহ বিভাগে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয়েছে।
ইতিপূর্বে গত অক্টোবর (আশ্বিন-কার্তিক) মাসে সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বৃষ্টিপাত হয় ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ কম। গত সেপ্টেম্বর (ভাদ্র-আশ্বিন) মাসে ৪৩.৬ শতাংশ কম, আগস্ট (শ্রাবণ-ভাদ্র) মাসে ৩৬.৩ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছিল।
সর্বশেষ আবহাওয়া : তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১১.৫ ডিগ্রি
গতকাল সন্ধ্যায় ২৪ ঘণ্টার সর্বশেষ আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘন্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন এবং এর পরের ৫ দিনে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশের অধিকাংশ স্থানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ থেকে ১৬ ডিগ্রির মধ্যে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ২৭ ডিগ্রির নিচে ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।