পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামে প্রাথমিক বাছাইয়ে ভোটের মাঠ থেকে বাদ পড়লেন বিএনপির জায়ান্ট প্রার্থীরা। তাদের মধ্যে আছেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী-এমপি। ঋণ ও বিলখেলাপি এবং মামলার অসম্পূর্ণ তথ্য দেয়ার দায়ে এসব মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তবে বিকল্প প্রার্থী থাকায় কোথাও সঙ্কট হয়নি। সব আসনেই এক বা একাধিক প্রার্থী রয়েছে বিএনপির। গতকাল রোববার মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থীদের সব মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। সেগুলোতে কোন ভুল খুঁজে পাননি রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় বিএনপি নেতাদের অভিযোগ সরকারের ইচ্ছায় তাদের বাদ দেয়া হয়েছে। আজ তারা আপিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরীসহ চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে ১২৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম-১ মীরসরাই আসনে বিএনপির অন্যতম প্রার্থী ও উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন এবং চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুন্ড) আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়াসহ ১৬ জনের মনোনয়নপত্র স্থগিত রাখা হয়েছে।
রিটার্নিং অফিসার কার্যালয়ে যাচাই-বাছাইকালে চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে প্রার্থী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান ও একই আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে পরাজিত বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহর মনোনয়ন বাতিল হয়। ঋণখেলাপির কারণে মোরশেদ খান এবং বিদ্যুৎ বিলখেলাপির কারণে এরশাদ উল্লাহর মনোনয়ন বাতিল হয়। বৈধ ঘোষণা করা হয় বিএনপির অপর প্রার্থী আবু সুফিয়ানের মনোনয়নপত্র। এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাসদের মঈন উদ্দিন খান বাদলের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও তার পুত্র ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। সাজা সংক্রান্ত মামলার তথ্য জটিলতা নিয়ে তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে বলে জানান রিটার্নিং অফিসার। তবে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই না করে প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে, আমরা আপিল করব। এ আসনে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীমসহ বিএনপির দু’জনের মনোনয়নপত্র এবং মহাজোটের শরিক জাতী পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) ও চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনীয়া) আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন। ঋণখেলাপ ও দলের প্রত্যয়নপত্র না থাকায় দুই আসনের মনোনয়পত্র বাতিল করা হয়। এ আসনে বিএনপির আবদুল আলীম ও আবু আহমেদ হাসনাতের মনোনয়নও বাতিল হয়। বিএনপির বিকল্প প্রার্থী শওকত আলী নূরসহ দু’জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুন্ড) আসনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর মনোননয়পত্রও বাতিল করা হয়েছে। এ আসনে বিএনপির বিকল্প প্রার্থী আছেন সাবেক সচিব ও পুলিশের আইজিপি এ ওয়াই বি আই সিদ্দিকী ও আবু তাহের চৌধুরী।
চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর পুত্র সামির কাদের চৌধুরীর মনোনয়ন পত্রও বাতিল করা হয়েছে ঋণখেলাপির দায়ে। সেখানে বিএনপির বিকল্প প্রার্থী জসিম উদ্দিন শিকদার ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। চট্টগ্রাম-৩ (স›দ্বীপ) আসনে বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক এমপি মোস্তফা কামাল পাশার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। ১৯৯১ সালের টেলিফোন বিল বকেয়া থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। তবে এ আসনে বিএনপির বিকল্প প্রার্থী রয়েছে। প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি বিএনপির সভাপতি ও পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াদুদ ভূঁইয়ার মনোনয়নও। চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে বিএনপির বিকল্প প্রার্থী শামসুল আলমের মনোনয়ন বাতিল হয় ঋণখেলাপির দায়ে।
এদিকে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল অব. অলি আহমদ বীরবিক্রম, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আবদুল্লাহ আল নোমান, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে জামায়াতের নায়েবে আমীর আ ন ম শামসুল ইসলামের মনোনয়নপত্রও বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে ১৮০ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।