পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনার পর ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের বেশির ভাগই চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। পুরো ইজতেমা এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ইজতেমা ফটকে আগত মুসুল্লিদের দাবি, সংঘর্ষের পর দুইজন ছাত্র নিখোঁজ রয়েছেন। গতকাল রোববার দুপুর থেকে পুলিশ তালিকা করে মুসল্লিদের গেটের ভিতর প্রবেশ করিয়ে তাদের মাল-ছামানা ফেরত দিতে দেখা গেছে। ইজতেমা মাঠে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এরমধ্যে দু’গ্রুপের ২ জন মুরব্বীও রয়েছেন বলে জিএমপি পুলিশ জানায়।
এদিকে, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের বেশির ভাগ রাতেই চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে গেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩৫জন রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। নিহত ইসমাইল হোসেন মন্ডলের মরদেহ রাখা হয় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে।
পুলিশ জানায়, শনিবার ইজতেমা ময়দানে আধিপত্য ও নেতৃত্বের কোন্দলসহ সাদ পন্থী ও দেওবন্দসহ কওমী মাদ্রাসাপন্থি দু’গ্রুপের সংঘর্ষের পর একজন মুসুল্লি মারা যান, আহত হন দু’শতাধিক। এরপর বিকেলে পুরো ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণ নেয় পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। মাইকিং করে মুসুল্লিদের সেখান থেকে বের করে দেয়া হয়। তবে তাড়াহুড়ো করে যেসব মুসুল্লি বেডিং পত্র ফেলে ইজতেমা ময়দান ত্যাগ করেছেন সকালে তাদের পরিচয় নিশ্চিতের মাধ্যমে মালামাল ফেরত দেয়া হচ্ছে। অন্য কোন মুসুল্লিকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ময়দানে অবস্থান করতে দেয়া হবে না। এছাড়া দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। তবে পুরো ঘটনা পুলিশের নজদারিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।