পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে ভোটের লড়াইয়ে নতুন দুই হেভিওয়েট নেতা। তারা হলেন বিএনপির মহানগর সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন আর আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। গতকাল রোববার যাচাই-বাছাই শেষে এ দুই নেতার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। এ আসনে ঋণখেলাপি হওয়ায় বিএনপির বিকল্প প্রার্থী সামশুল আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ফলে আসনটিতে বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের একক প্রার্থী রইলেন কারাবন্দী ডা. শাহাদাত হোসেন।
মর্যাদাপূর্ণ এ আসনটিতে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী নতুন। জীবনে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হলেন তারা। ডা. শাহাদাত হোসেন ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রদলের রাজনীতি করেন। এরপর বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন। চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সাথেও জড়িত তিনি। ওয়ান ইলেভেনের সময় বিএনপির ওপর রাজনৈতিক সিডর শুরু হলে দলের হাল ধরেন তিনি। এর স্বীকৃতি হিসেবে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সর্বশেষ কাউন্সিলে মহানগর বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পান। বিগত ১০ বছর রাজপথের আন্দোলনে ছিলেন সক্রিয়। বারবার কারাবরণ করেছেন, ৪৫টি মামলার আসামিও হয়েছেন। এখ৬েনা তিনি গায়েবি মামলায় কারাগারে বন্দী আছেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার নওফেল নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে। রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে ওঠা নওফেল গত কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। তার আগে থেকে তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকান্ডে সক্রিয় ছিলেন। কোতোয়ালী আসনে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। বিএনপির আবদুল্লাহ আল নোমানের কাছে হেরে গেলেও ১৯৯৪ সাল থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত সিটি মেয়র হিসেবে ১৭ বছর নগর পিতার দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
পিতার জনপ্রিয়তা এবং দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সামনে নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন নওফেল। জাতীয় নির্বাচনে প্রথম বয়সে তরুণ দুই দলের এ দুই প্রার্থীকে ঘিরে ভোটারদের মধ্যে বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। এ আসনটিতে ওয়ার্কার্স পার্টির মো. আবু হানিফ, কমিউনিস্ট পার্টির মৃণাল চৌধুরী, ইসলামিক ফ্রন্টের মো. ওয়াহেদ মুরাদ, ইসলামী আন্দোলনের শেখ আমজাদ আলী, ন্যাপের আলী নেওয়াজ খান, খেলাফত আন্দোলনের মৌলভী রশিদুল হকও প্রার্থী হয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।