পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচনী লড়াইয়ে আপাতত আর কেউই রইলো না চৌধুরী পরিবারের। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী এ পরিবারের কর্তা তৎকালীন পাকিস্তানের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও স্পিকার ফজলুল কাদের চৌধুরীর উত্তরাধিকার হিসেবে এবারও প্রার্থী হয়েছিলেন দুইজন। তাদের একজন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। অপরজন তার পুত্র সামির কাদের চৌধুরী। গতকাল রোববার যাচাই-বাছাই শেষে পিতা-পুত্রের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ষষ্ঠবারের মতো প্রার্থী হয়েছিলেন নির্বাচনে। তিনি এবার তার বড় ভাই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী দুইটি আসন চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) ও চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তার পৈতৃক আসন হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজানে) মনোনয়ন জমা দেন পুত্র সামির কাদের চৌধুরী। দাদার আসন থেকে প্রথমবারের মতো নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন তিনি।
ঋণখেলাপের অভিযোগে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। চৌধুরী পরিবারের বড় ছেলে মরহুম সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ১৯৭৯ সাল থেকে সর্বশেষ ২০০৮ সাল পর্যন্ত ছয়বার নির্বাচনে অংশ নেন এবং প্রত্যেকবার বিজয়ী হন। তিনি রাউজান-ফটিকছড়ি-রাঙ্গুনিয়া এবং কক্সবাজারের চকরিয়া আসন থেকেও নির্বাচনে প্রার্থী হন। বিভিন্ন সময় একাধিক আসনে বিজয়ী হন। বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী জাতীয় সংসদের গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।
২০০১ সালের নির্বাচনের পর চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসলে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা মনোনীত হন। তার ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর স্ত্রী বা পুত্র দু’টি আসনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন বলে শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তাদের কেউ প্রার্থী হননি। চট্টগ্রামের রাউজান এবং রাঙ্গুনিয়ায় সংসদ নির্বাচন মানেই চৌধুরী পরিবারের কেউ প্রার্থী। তবে এবারই তার ব্যতিক্রম হতে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।