মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : সংখ্যালঘু মুসলমানদের একটা অংশকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে গিয়ে রাজ্যে গু-ামি, মস্তানি, খুনোখুনি বাড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সিপিএম সংসদ সদস্য মহম্মদ সেলিম। আনন্দবাজার ওয়েবসাইটের জন্য অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সেলিমের দাবি, মমতাকে বিশ্বাস করে বাংলার মুসলমানরা প্রতারিত হয়েছে। সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য তা স্বীকার করে নিলেন যে সিপিএমের ওপর থেকে বিশ্বাস উঠে গিয়েছিল এ রাজ্যের সংখ্যালঘুদের। মুসলিমদের বিশ্বাস জিতে নিতে পেরেছিলেন মমতা, এ কথা মেনে নিল বামরা। সেলিম তা মানছেন না। বললেন, খুব খারাপ সময়েও কিন্তু সব সংখ্যালঘু তৃণমূলের দিকে যাননি। মুর্শিদাবাদে, মালদায়, উত্তর দিনাজপুরে কী হয়েছে, এগুলো তো সংখ্যালঘুবহুল জেলা। সেখানে তারা শুধু নির্ণায়ক শক্তি নন, তারাই প্রধান। সেই মুসলমানরা কিন্তু প্রণব মুখোপাধ্যায়কে, অধীর চৌধুরীকে ভোট দিয়েছেন। দীপা দাশমুন্সিকেও ভোট দিয়েছেন। কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। সিপিএমকে ভোট দিয়েছেন। মহম্মদ সেলিমের এই মন্তব্যে কংগ্রেস-বাম জোটবার্তা আরও মজবুত। প্রথমত, যে দীপা দাশমুন্সিকে রায়গঞ্জের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে হারিয়ে তিনি আজ সংসদে আছেন, উত্তর দিনাজপুরের সংখ্যালঘুরা যে দীপাকে নেত্রী হিসেবে মানেন, তা অকপটে বলে দিলেন সেলিম। দ্বিতীয়ত, সংখ্যালঘু ভোট কংগ্রেসের ঝুলিতে পড়া মানে যে বামদের ঝুলিতেই পড়া, বাম-কংগ্রেস যে এখন এক-হাঁড়ি, তা আরও স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিলেন তিনি। সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য যা-ই বলুন, দক্ষিণবঙ্গে মুসলানদের বড় অংশ যে তৃণমূলের সঙ্গে থেকেছে গত পাঁচ বছর বা আর একটু বেশি সময় ধরে, তা বিভিন্ন ভোটের ফল বিশ্লেষণ করলেই স্পষ্ট বোঝা যায়। সেলিম মানছেন সে কথা এবং এই পরিস্থিতির কারণটাও ব্যাখ্যা করছেন কোনো রাখঢাক ছাড়াই। তিনি বললেন, মুসলমানদের মধ্যে একটা বঞ্চনার বোধ ছিলই। আমরাও সবটা করে উঠতে পারিনি তাদের জন্য। ভূমিসংস্কার করেছি, সামাজিক নিরাপত্তা দিয়েছি কিন্তু শিক্ষা, চাকরি-বাকরিসহ জীবনের নানা ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের সমান অংশীদারিত্ব পাইয়ে দেওয়া বাকি ছিল। সেটা পাওয়ার বাসনা সংখ্যালঘুদের মনে ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘুদের কলকাতা কেন্দ্রিক একটা অংশকে ব্যবহার করে সেই বাসনাটাকে ছিনিয়ে নেওয়ার মানসিকতায় পৌঁছে দিলেন লড়কে লেঙ্গে বলে। তাতে কী হবে, গু-ামি, মস্তানি, খুনোখুনি আরও বেশি বেড়েছে। বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করবে বলছিল, ঝা-া লুকিয়ে রাখতে বলেছিলাম আমরা। সেলিমের মতে, মমতা জমানায় সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বাঙালি হিন্দু পরিবর্তনের রূপ দেখে হতাশ বোধ করছেন কিন্তু বাঙালি মুসলমান পরিবর্তনের রূপ দেখে প্রতারিত বোধ করছেন। গত পৌর নির্বাচনে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের একমাত্র মুসলিম-বহুল ওয়ার্ডে বামদের জয় এবং বিধাননগরের চারটি সংখ্যালঘু-প্রধান ওয়ার্ডেই বাম ও কংগ্রেস প্রার্থীদের জয় সংখ্যালঘু মহল্লায় হাওয়া বদলের ইঙ্গিত দিচ্ছে দাবি করলেন মহম্মদ সেলিম। ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।