পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সবশেষে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সবার আগে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোটের শরীক সিপিবি। দলটি বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড, খুন-গুম বন্ধ করাসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ও রাজনীতির সংস্কার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ মৌলিক অধিকার খর্বকারী সব আইন বাতিল করে কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাসহ ৩০ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে। গতকাল রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘ভিশন: মুক্তিযুদ্ধ একাত্তর বাস্তবায়নে’ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন দলের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল্লাহ ক্বাফী রতন প্রমূখ।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দুটি দলের নেতৃত্বে দেশে লুটপাট চলেছে। দেশ বাঁচাতে হলে বিকল্প পথ অনুসরণ করা আজ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। তাই লুটপাটতন্ত্র, গণতন্ত্রহীন, সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাকে পরাজিত করে লুটেরাদের ‘ব্যবস্থা বদলে’র লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘কাস্তে’ মার্কার প্রার্থীদের পাশাপাশি বাম গণতান্ত্রিক জোটের ‘মই’ ও ‘কোদাল’ মার্কার প্রার্থীদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করুন। তারা বিজয়ী হলে দেশের উন্নয়নে ৩০ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
নির্বাচনী ইশতেহারে ৩০ দফার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে- নির্বাচনকালীন সরকারের বিধান সংবিধানে যুক্ত করা হবে, মেহনতি ও দরিদ্র প্রার্থীদের আর্থিক বাধা দূর করে সিপিবির ৫৩-দফা সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করা হবে। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসরোধ, পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা বাতিলসহ শিক্ষা প্রসার ও মানোন্নয়ন করা। বিত্তবানদের জন্য কর রেয়াত বন্ধ ও প্রত্যক্ষ করের হার বৃদ্ধি এবং সাধারণ জনগণের ওপর আরোপিত পরোক্ষ করের অনুপাত কমিয়ে বিকল্প অর্থনৈতিক নীতি ও ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। দারিদ্র্য, অনাহারী, বেকার, অসহায় মানুষের ন্যুনতম সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত, শহর ও গ্রামের মানুষের সুযোগ-সুবিধার বৈষম্য কমিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। ঘুষ দুর্নীতি-লুটপাটের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করা হবে। ভোক্তা অধিকার আইন কার্যকর করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্যে ভেজালরোধ করা। এ ছাড়া যুবসমাজের তারুণ্য-সম্পদকে সর্বোচ্চ কাজে লাগানো, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা, শিশু-কিশোর ও বৃদ্ধ-দুঃস্থ নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করা, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জনমত গঠন, শহরের বস্তিবাসী, হকার ও নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়ন, সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যরোধ এবং তাদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, তথ্য প্রযুক্তি, টেলিযোগাযোগ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সার্বজনীন করা।
এ ছাড়াও ৮ দলের সমন্বয়ে গঠিত বাম গণতান্ত্রিক জোট তথা সিপিবি ক্ষমতায় গেলে স্কুল শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও যানজটরোধ এবং সাম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ানোসহ স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে বলেও জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।