Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচনী ইশতেহার

রফিক মুহাম্মদ ও ইয়াছিন রানা | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

রফিক মুহাম্মদ : স্বেচ্ছাচারী শাসন ব্যবস্থার অবসান করে সুশাসন, ন্যায়ভিত্তিক, শোষনমুক্ত একটি কল্যাণমূলক মানবিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে তৈরী হচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহার। জাতীয় ঐক্য, বিভক্তি আর নয়, কথা বলার অধিকার, গণমাধ্যমের অধিকার, আইনের সংস্কারের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়কে ইশতেহারে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে তা অনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। বেগম খালেদা জিয়ার ‘ভিশন ২০৩০’ এবং ঐক্যফ্রন্টের ১১দফা লক্ষ্যকে সামনে রেখে নির্বাচনী ইশতেহারের খসড়া তৈরী হচ্ছে। এ ইশতেহারে দুর্নীতিমুক্ত, দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গড়ে তুলে সুশাসন নিশ্চিতের অঙ্গিকার থাকছে। পাশাপাশি আইনের শাসন নিশ্চিত করতে বিচারবিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা নিশ্চিত করা এবং স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচারক নিয়োগের নীতমালা প্রণয়ন ও সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করার বিষয়ও ইশতেহারে থাকছে। ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে শাসন ব্যবস্থায় ক্ষমতার ভারসাম্য আনয়নসহ প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের বিষয়টি। এক ব্যক্তি কেন্দ্রিক নির্বাহীক্ষমতার অবসান কল্পে সংসদে, সরকারে, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনার কথা ইশতেহারে গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করা হচ্ছে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার তৈরীতে ডা. জাফরুল্লাহর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গত প্রায় এক মাস যাবত কাজ করছেন। এ কমিটি প্রায় প্রতিদিনই বৈঠক করছেন। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ইকবাল সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের ডা. জাহেদুর রহমান এবং গণফোরামের আ ও ম শফিকউল্লাহ প্রমুখ।
ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার তৈরী প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আমরা ইশতেহারের খসড়া তৈরির জন্য কাজ করছি। প্রথমে খসড়া তৈরি হবে। পরে এটা ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত করা হবে।
ইশতেহারে কি কি থাকছে এ বিষয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ইশতেহারে মূল বিষয় থাকবে জাতীয় ঐক্য। আমরা আর বিভক্তি চাই না। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে আমরা একটি দুর্নীতি মুক্ত মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় ভিত্তিক আইনের শাসনের সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার জাতীর সামনে তুলে ধরতে চাই। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন ঘোষিত ভিশন-২০৩০ এবং ঐক্য ফ্রন্টের ১১দফা লক্ষ্যকে সামনে রেখে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ইশতেহার ছাপানো হবে এবং তা জাতীর সামনে প্রকাশ করা হবে।
জাতীয় ঐক্য, দুর্নীতিমুক্ত, শোসন মুক্ত সমাজ গঠন এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয় ছাড়া ইশতেহারে আরও উল্লেখযোগ্য যে সব বিষয় থাকছে সেগুলো হচ্ছে, ৭০ অনুচ্ছেদসহ সংবিধানের যুগোপযোগী সংশোধন করা। বিচারবিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা নিশ্চিত করা। দুর্নীতি দমন কমিশনকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার নিশ্চিত করা। দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরিবেশ সৃষ্টি, বেকারত্বের অবসান ও শিক্ষিত যুবসমাজের সৃজনশীলতাসহ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নিয়োগ দানের ক্ষেত্রে মেধাকে যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় কোটা সংস্কার করা। সকল নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা ও মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তার বিধান করা। কৃষক, শ্রমিক ও দরিদ্র জনগণের শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান ও পুষ্টি সরকারি অর্থায়নে সুনিশ্চিত করা। নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা। জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে দুর্নীতি ও দলীয়করণের কালো থাবা থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষমতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন ও কাঠামোগত সংস্কার সাধন করা। রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, জনগণের আর্থিক স্বচ্ছলতা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ রাষ্ট্রের সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা, জাতীয় সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার, সুষম বন্টন, ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূরীকরণ ও জনকল্যাণমুখী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা। নিম্ন আয়ের মানবিক জীবন মান নিশ্চিত করা এবং দ্রব্যমূলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বেতন-মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করা। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সা¤প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে জাতীয় ঐকমত্য গঠন এবং প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা ও নেতিবাচক রাজনীতির বিপরীতে ইতিবাচক সৃজনশীল এবং কার্যকর ভারসাম্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা। কোনও জঙ্গিগোষ্ঠীকে বাংলাদেশের ভূখন্ড ব্যবহার করতে না দেওয়া। সকল ‘দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব-কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’-এই নীতির আলোকে জনস্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তাকে সমুন্নত রেখে স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করা এবং প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে পারস্পরিক সৎ-প্রতিবেশী বন্ধুত্ব ও সমতার ভিত্তিবে ব্যবসা বাণিজ্য, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ ইত্যাদির ক্ষেত্রে আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা। বিশ্বের সকল নিপীড়িত মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকার ও সংগ্রামের প্রতি পূর্ণ সমর্থন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের দেশে ফেরত ও পুনর্বাসনের কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার এবং দেশের সার্বোভৌমত্ব ও রাষ্ট্রীয় নিরপত্তা সুরক্ষার লক্ষে প্রতিরক্ষা বাহিনীর আধুনিক প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি ও সমর-সম্ভারে সুসজ্জিত, সুসংগঠিত ও যুগোপযোগী করা।

 

স্যাটেলাইট বাংলাদেশ তারুণ্যের স্বপ্নের দেশ
ইয়াছিন রানা : একাদশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রস্তুত। একাধিক স্লোগান ঠিক রেখে তৈরী করা হয়েছে ইশতেহার। যা এখন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টেবিলে। এর মধ্যে ইশতেহারে হালকা সংযোজন বা বিয়োজন হবে। তারপর আগামী ১৫ ডিসেম্বর ইশতেহার ঘোষণার সম্ভাব্য তারিখ। ইশতেহারের স্লোগানে বরাবরের মত এবারও চমক দিতে চায় আওয়ামী লীগ। এবার কয়েখটি স্লোগান ঠিক করা হয়েছে, এর মধ্যে স্যাটেলাইট বাংলাদেশ: তারুণ্যের স্বেেপ্নর দেশ, গ্রাম হবে শহর, উন্নয়নের মহাকাশে বাংলাদেশ ইত্যাদি। এ কয়েকটি ছাড়াও তিন-চারটি স্লোগান রয়েছে বলে ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
দলের নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে আরো জানা যায়, ইশতেহারে দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা-ডেল্টা প্ল্যান, চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ড শেষ করা, প্রশাসনিক কাঠামো-বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীর, শিক্ষার ব্যবস্থা সংস্কার, তথ্য প্রযুক্তি, নিরাপদ সড়ক, কৃষি উন্নয়ন, তরুণদের কর্মসংস্থান, সরকারি চাকুরীর বয়স বৃদ্ধি, কোটার সংস্কার বিষয়ে নতুন ঘোষণা আসবে। দেশের প্রত্যেকটি সেক্টর একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামোতে এনে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতি দমনের সরকারের ভূমিকা তুলো ধরা হবে। এছাড়া শিল্পোদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার বিষয় গুরুত্ব দেয়া হবে।
এ বিষয়ে ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রজ্জাক বলেন, দেশর সার্বিক উন্নয়ন, যে কাজ সম্পন্ন করতে পারিনি, চলমান এবং আগামীতে করতে চাই এসব বিষয় ইশতেহারে থাকবে। প্রশাসনিক কাঠামো, শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার, তরুণদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে চমকপ্রদ ঘোষণা থাকবে। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবার পরপরই ইশতেহার ঘোষণা করা হবে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, কয়েকটি স্লোগানন ঠিক রেখে তা দলের সভাপতির কাছে জমা দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, এবারে নির্বাচনী স্লোগান হতে পারে ‘গ্রাম হবে শহর’। তবে স্লোগানের শব্দ বা ভাষার পরিবর্তন আসতে পারে। মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই নির্বাচনী ইশতেহার আর স্লোগান প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, উন্নয়ন সুবিধার বণ্টনে সমতা আনতেই এবারে গ্রামকে অধিক গুরুত্ব দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এখনও দেশের অধিকাংশ মানুষ গ্রামে বসবাস করে। ছোট দেশে অধিক মানুষের বাস। শহর থেকে গ্রামকে আলাদা করে ভাবলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ ডিসেম্বর ইশতেহার ঘোষণা করা হবে। মনোনয়নপর্ব শেষে ইশতেহারের বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নেব। সম্ভবত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্র কিংবা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ইশতেহার প্রকাশ হতে পারে। নির্বাচনী ইশতেহারে ‘দিনবদলের অভিযান, অদম্য বাংলাদেশ’ গ্রামীন উন্নয়নগুলোকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে বলে জানান কাদের।
এছাড়াও ২০২১ সালের মধ্যে সব ঘরে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেয়া, ২০৪১ সালের আগেই দেশকে আধুনিক, উন্নত ও মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার কথা থাকছে ইশতেহারে। প্রতিশ্রæত দেশ গড়তে করণীয় সম্পর্কে দিক-নিদের্শনা ও একটি গাইডলাইনও থাকবে। নির্ধারিত ২০৪১ সালকে টার্গেট করে আধুনিক শিক্ষা, কর্মসংসংস্থান, প্রশাসন ও সেবাখাতের বিকেন্দ্রিকরণও গুরুত্ব পাবে। থাকছে দেশের জন্য আগামী ১০০ বছরের কর্মপরিকল্পনা। ২১০০ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে- এর একটি রূপকল্পও তুলে ধরা হবে।
ইশতেহার প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত সূত্র জানায়, এবার ভোটদাতার তালিকায় যোগ হচ্ছে দেড় কোটি তরুণ। তাদের বিষয় মাথায় রেখে দেশজুড়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে ঘোষণা থাকবে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে কীভাবে প্রযুক্তিমনস্ক ও দেশের সম্পদে পরিণত করা যায়, এসব বিষয়ে দিক-নির্দেশনা যোগ হচ্ছে ইশতেহারে।
তথ্যপ্রযুক্তির স¤প্রসারণ, আইসিটি ও মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নের ঘোষণা রাখা হচ্ছে। যুব সমাজকে প্রশিক্ষিত করে ও কাজে লাগিয়ে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় তাদের স¤পৃক্ত করার বিষয়গুলোকেও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এসব বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। এ ছাড়া তরুণদের কর্মসংস্থান ও নিজের পায়ে দাঁড়াতে বিশেষ ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থার কথাও থাকছে ইশতেহারে।



 

Show all comments
  • Abdur Rouf ১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৯ এএম says : 0
    বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ ইসতেহারে থাকা চাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Saiful Islam ১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০০ এএম says : 0
    বিরোধী দল ইশতেহার কার জন্য প্রকাশ করবে। কারণ রাষ্ট্র সরকার দল মিডিয়া সবাই একই ফ্রন্টের সদস্য।
    Total Reply(0) Reply
  • Rashidul Hasan ১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০০ এএম says : 0
    jongon ki asole vot dite parbe ? istehar pore .porosno tar to uttor milanu jaina .nisoiota chai vot dite pare jeno.
    Total Reply(0) Reply
  • সারথি ইরাশিম ১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০১ এএম says : 0
    এগুলো শুধু বোগাস!!!
    Total Reply(0) Reply
  • Hassan Mohammed ১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০২ এএম says : 0
    নির্বাচনের আগে ইশতেহার জনতার জন্য হইলেও নির্বাচনের পরে ইসতেহার আর জনতার জন্য না হইয়া ক্ষমতাশীনদের টাকা কামানের মেশিনে পরিনত হইয়া যায়
    Total Reply(0) Reply
  • Md Rana ১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৬ এএম says : 0
    আমরা সবাই বিএনপি'র সাথে আছি
    Total Reply(0) Reply
  • Joy Nill ১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৭ এএম says : 0
    আওয়ামীলীগতো বলেছিল শিক্ষকদের আলাদা বেতন স্কেল + শিক্ষক নিয়োগ কমিশন আরও কতো কি।ঐক্যফ্রন্ট মূলা দিবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Abdur Rahman Konok ১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৮ এএম says : 0
    samne nirba chon akon onk kotha asbe
    Total Reply(0) Reply
  • Dipak Kumar ১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৮ এএম says : 0
    অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ সম্পর্কিত ,উত্তরাধিকারীদের নামে জমাখারিজ ইশতেহারে চাই
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Kowaj Ali khan ১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৫:৫৯ এএম says : 0
    আমি চাই ইশতেহারে বলা হোক। যেখান হইতে আমাদের বাংলাদেশের উন্নতি হইবে,শান্তি হইবে সেখানেই মনোযোগী হওয়া। ক্ষমতা গ্রহনের সাথে সাথে যেন সিলেট ওসমানি বিমান বন্দরে সরাসরি বিশ্বের সকল বিমান সংস্থাকে উড্ডয়ন এবং অবতরনের সুযোগ করিয়া দেওয়া হয় । ইহাতে আমাদের বাংলাদেশের কুটি কুটি টাকা আয় হইবে। ইনশাআল্লাহ। ********* নাগরীকগনের সম্মান করা। সীমান্তে যদি কোনো দেশ শয়তানি করে সংগে সংগে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া। উন্নত মানের অস্ত্র সীমান্ত রক্ষার জন্য দেওয়া। ইনশাআল্লাহ। *********
    Total Reply(0) Reply
  • রিপন ১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:৩৯ এএম says : 0
    ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারখানি বেশ আধুনিক, প্রাগ্রসর, সময়োপযোগী হবে বলেই মনে হচ্ছে। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবন, বিচার বিভাগের সংস্কার (সার্বভেৌম স্বাধীনতা হলে ইনসাফভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গঠনের জন্যে ভালো হতো), নিরপেক্ষ প্র্রশাসন বিনির্মাণ, মানবিক কল্যাণ রাষ্ট্র অভিমুখে অভিযাত্রা, প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য স্থাপন (প্রধানমন্ত্রীর লাগামছাড়া স্বেচ্ছাচারী ক্ষ্যামতা জিরো করে দেওয়া যত শীঘ্র হয়, ততই মঙ্গল), শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গঠন - সবগুলো বৈশিষ্ট্যই বহুল প্রত্যাশিত। আরও বেশ কিছু বিষয় রয়ে গেছে, যা ইশতেহারে আসা উচিত বলে মনে করি, যেমন - সুদ নিষিদ্ধ করে দেওয়া, রাষ্ট্রীয় সম্পদ-চোরদের বিচার করে প্রকাশ্যে দণ্ড কার্যকর করে দেওয়া, হাত কেটে দেওয়া, যেন দেখেই চেনা যায়, পরবর্তীতে ফের যেন ঢুকতে না পারে প্রশাসনে (জানি, প্রতিবাদের ঝড় বইবে এ বক্তব্যটিতে এবং ঐক্যফ্রন্টের জন্যে অনেক কঠিন ব্যাপারটি, তবুও সামাজিক সচেতনতা গঠনের লক্ষ্যে বিষয়টির উল্লেখ করলাম যেন বিষয়টি আলোচিত হয় - লক্ষ্য করলে দেখবেন প্রতিবাদ প্রধানত আসবে চোরদের তরফেই, পক্ষান্তরে এই চুরি-চামারি বন্ধ করতে পারলে মুদ্রাস্ফীতি কমে যাবার পথ ধরে দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক কমে গিয়ে, হালাল জীবিকা অন্বেষণকারী জনতার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা অনেক সহনীয় হয়, অনেক সহজ হয়ে যায়।) বলার থেকে যায় অনেক। ঐক্যফ্রন্টের কাছ থেকে খুব বেশি কিছু আশা করে ফেলা তাদের ওপর অবিচার। তাদের সক্ষমতা সীমাবদ্ধতাও বিবেচনায় রাখতে হবে। সবশেষে সবিনয় নিবেদন মাত্র তিনটি; ১. সমাজে সার্ভে করে সৎ মেধাবী দেশপ্রেমিক যোগ্য নাগরিকদের চয়ন করে তাঁদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, আনুষঙ্গিক সহায়তা পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে রিক্রুট করতে হবে রাজনীতি-রাষ্ট্রপরিচালনার অঙ্গনে। প্রচলিত ফোর টুয়েন্টি ভিত্তিক ধারার পাশাপাশি সৃষ্টি করে দিতে হবে, স্বচ্ছ পরিশীলিত যথাযথ ধারা, উত্তরোত্তর সাফল্য-ব্যর্থতার পথ-পরিক্রমায় পরিশীলিত সেই ধারা স্বীয় যোগ্যতা প্রমাণ করে সমাজে বয়ে আনবে প্রাগ্রসর স্রোতধারা সময়ে যা রাজনীতির প্রচলিত কলুষিত চেহারাখানিই আমূল পাল্টে দেবে সুন্দর কল্যাণের দিকে সমাজকে ধাবিত করবে। ২. যুক্তিপূর্ণ বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠেীর অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার মতো যুক্তির লাগামছাড়া স্বেচ্ছাচারীতাকে বোঝায় না এই বাক স্বাধীনতা। ৩. সেসাথে প্রতিটি ডোমেইনে গঠন করে চালু করে দিতে হবে "পরিবীক্ষণ-পর্যবেক্ষণ-তত্ত্বাবধান" বিষয়ক বিশেষ চক্র যাদের কাজ হবে তিন মেয়াদী - স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচি/প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি সাফল্য নিশ্চিত করা। বিষয়টি বিশদ ব্যাখ্যার অবকাশ রাখে, এটি তার জন্যে উপযুক্ত পরিসর নয়। শুধু এটুকু মনে রাখলে চলবে, এই চক্র চালুর পথ ধরেই দূর হবে স্বেচ্ছাচারিতা, ফাঁকিবাজির জারিজুরি, দুর্নীতি, মূল্যবান সময়ের অপচয়; - আসবে জবাবদিহিতা, ত্রুটিমুক্তি, ত্বরিত উত্তরোত্তর সমাজাবিকাশ। হয়তো ঐক্যফ্রন্টের মনিটরিং টিম পড়বেন এটি, হয়তো পড়বেন কোন সমাজসচেতন বিদগ্ধ পাঠক, তাঁদের উদ্দ্যেশ্যেই এই লিখাটি। ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে দেবেন। দৈনিক ইনকিলাবকে ধন্যবাদ। অনেক প্রশংসনীয় প্রাগ্রসর হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে দৈনিকটি। প্রচলিত মিডিয়ার স্রোতধারায় দৈনিকটি একটি ব্যতিক্রমী সৃজনশীল আলোকিত ধারার আলোকবর্তিকা বহন করে চলেছে বলেই আমার কাছে প্রতীয়মান হয়। প্রীতি নিন সকলে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ