মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রেক্সিট চুক্তি বাস্তবায়ন হলে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি বেকায়াদায় পড়বে বলে ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন, প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তার দাবি, ব্রেক্সিট চুক্তি ব্রিটেনে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং তা অর্থনীতির জন্যও সহায়ক হবে। এর মধ্যেই চলমান সঙ্কট সমাধানে বিকল্প পথ খুঁজে বের করার পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির বিরোধী নেতা জেরেমি করবিন। যুক্তরাজ্যে বুধবারও ব্রেক্সিট চুক্তির বিপক্ষে বিক্ষোভ হয়েছে। বহু মানুষ লন্ডনের ওয়েস্ট মিনিস্টর ব্রিজের জড়ো হয়ে, ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের পর ইউরোপজুড়ে ব্রিটিশ নাগরিকদের অবাধ চলাচলের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। একদিকে যখন ব্রেক্সিট নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব ফুটে উঠছে, ঠিক সেসময় আগুনে ঘি ঢালার মতো এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বুধবার তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন হলে ব্রিটেনের অর্থনীতি ২০০৮ সালের বিশ্ব মন্দার চেয়েও করুণ দশায় পড়বে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমবে অন্তত ৮ শতাংশ হারে। প্রতিবেদনে আরও তুলে ধরা হয়, ব্রেক্সিটের কারণে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ডবিøউটিএ’র নীতি বাস্তবায়নে সমস্যায় পড়বে ব্রিটেন। আলাদা করে বাণিজ্য চুক্তি করতেও বেগ পেতে হবে, কারণ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হবে লন্ডনকে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর মার্ক কার্নি বলেন, আমাদের দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করতে হবে। যদিও আমরা তা করছি না। ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের পরে কী কী অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দিতে পারে তা নিয়ে ভাবনার সময় এখনই। কারণ ব্রেক্সিটের কোনো অন্তর্বর্তী সময় নেই। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের এ প্রতিবেদন নিয়ে একইদিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সে তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়েন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের আক্রমণাত্মক প্রশ্নের জবাবে থেরেসা মে নিজের আগের যুক্তিই পুনরায় আওড়ান। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেন, ইইউ›র সাথে আমাদের করা চুক্তিটিই সবচেয়ে সেরা। এর ফলে অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে, বাড়বে কর্মসংস্থান। আমাদের বিপক্ষে যে প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে তা মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়। তারা যথাযথ কোনো তথ্য দিতে পারেনি যে, ব্রিটিশরা ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ফলে আরও দরিদ্র হবে। আমি বলবো, উল্টো বিরোধীদলই বিভিন্ন মন্তব্য করে অর্থনীতির জন্য হুমকির সৃষ্টি করছে। এর আগে বলা হয়েছিল যে, ব্রেক্সিট চুক্তির কারণে প্রতিবছর যুক্তরাজ্যকে প্রায় ১৩ হাজার কোটি ডলার ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। বিবিসি, রয়টার্স,গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।