মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যে সমীকরণেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে প্রস্থান করুক ব্রিটেন, দেশটির লাভালাভের দিকে দৃষ্টি দিলে ক্ষতির পাল্লাই বেশি হবে। খোদ দেশের রাজস্ব বিভাগ থেকেই এই বিশ্লেষণ এসেছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্ক করে বলেছে, কোনো চুক্তি ছাড়া ব্রিটেন যদি ইইউ ত্যাগ করে, তাহলে পাউন্ডের ব্যাপক দরপতন দেখা যাবে। এমনকি গতবারের আর্থিক সঙ্কটের চেয়েও মারাত্মক অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে। ব্রিটেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আরও বলেছে, কোনো ট্রানজিশন পিরিয়ড ছাড়াই যদি ইইউ ত্যাগ করে ব্রিটেন, তাহলে তৎক্ষণাৎ দেশের অর্থনীতি ৮ শতাংশ সঙ্কুচিত হতে পারে! গৃহমূল্যের দাম কমে যেতে পারে এক-তৃতীয়াংশ। এছাড়া পাউন্ডের দর এক-চতুর্থাংশ হ্রাস পেতে পারে। তবে এমনটা হবেই, তা বলছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি হলেই উপর্যুক্ত ঘটনাসমূহ ঘটার আশঙ্কা করছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। ইইউ ছাড়লে পরবর্তী ৫ বছরে কী অবস্থা হতে পারে, তার আগাম বিশ্লেষণ দেওয়ার চেষ্টা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এই বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ ফের অর্থনীতির আকার বাড়তে শুরু করতে পারে। বিবিসির পলিটিক্যাল রিপোর্টার ব্রায়ান হুইলার বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থনীতিবিদরা প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র কাছ থেকে কোনো ফরমায়েশ পেয়ে এই প্রতিবেদন লিখেছেন, এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে এই প্রতিবেদন রাজনৈতিকভাবে তার জন্য সুবিধাজনক। প্রতিবেদনের টাইমিং-ও তার অনুকূলে গেছে। থেরেসা মে’র সরকার ইইউর সঙ্গে যে চুক্তিতে এসেছে, তা মানছেন না খোদ নিজ দলেরই অনেক এমপি। ফলে কোনো চুক্তি ছাড়াই ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে যখন বলা হলো, কোনো চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট হলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ, তখন থেরেসা মে-ও বিদ্রোহী এমপিদেরকে তার করা চুক্তি মেনে নিতে চাপ দিতে পারবেন। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।