Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোটের হাওয়ায় সরগরম সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা থেকে আক্তারুজ্জামান বাচ্চু | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

সাতক্ষীরার সবখানেতেই এখন ভোটের হাওয়া বইছে। চায়ের কাপ থেকে শুরু করে পথ চলতেও ভোট নিয়ে আলোচনায় মুখর ভোটাররা। হিসাব কষছেন ভোটের অংক নিয়ে। প্রার্থীদের যোগ্যতার বিচারও করছেন কোনো কোনো ভোটার।
জানা যায়, সাতটি উপজেলা নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা গঠিত। এ জেলায় সংসদীয় আসন সংখ্যা চারটি। মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ লাখ ৬০ হ্জাার ২৫১ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৭১১ জন। পুরুষ ভোটার ৭ লাখ ৮১ হাজার ৫৪০ জন।

চারটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৩৮ জন। এর মধ্যে সাতক্ষীরা এক (তালা- কলারোয়া) আসনে বিএনপি’র হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জাতীয় পার্টির সৈয়দ দিদার বখত, আ’লীগের প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান, ওয়ার্কাস পার্টির এডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহসহ ১৪ জন, দুই (সদর) আসনে আ’লীগের মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জাতীয় পার্টির শেখ আজহার হোসেন, বিএনপি’র এইচ এম রহমাতুল্লাহ, জামায়াতের মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবীউল ইসলামসহ ১১ জন, তিন (কালিগঞ্জের একাংশ ও দেবহাটা-আশাশুনি) আসনে আ’লীগের ডাঃ আ,ফ,ম রুহুল হক, বিএনপি’র ডাঃ শহিদুল আলম, জামায়াতের মুফতি রবিউল বাসারসহ ৪ জন এবং চার (কালিগঞ্জের একাংশ ও শ্যামনগর) আসনে আ’লীগের এস, এম জগলুল হায়দার, বিএনপি’র কাজী আলাউদ্দিন, বিকল্পধারার এইচ এম গোলাম রেজা, জাতীয় পার্টির আব্দুস সাত্তার মোড়ল, জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলামসহ ৯ জন প্রার্থী রয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এস, এম মোস্তফা কামাল জানান, ২৮ নভেম্বর বুধবার জেলার চারটি আসনে ৩৮ জনের মনোনয়ন পত্র জমা পড়লেও সাতক্ষীরা ২ আসনে বিএনপি’র তারিকুল হাসান ও ৪ আসনে বিএনপি’র মাষ্টার আব্দুল অহেদের জমাকৃত মনোনয়নের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কম থাকায় তা গণনায় আনা হয়নি।

এদিকে, প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর পরই সরগরম হয়ে উঠছে সাতক্ষীরা। ভ্যান চালক থেকে শুরু করে দোকানদার, শিক্ষক, চাকুরিজীবিসহ সকল প্রকারের ভোটারের মাঝে চলছে ভোট নিয়ে আলোচনা। তবে অনেক ভোটারের চোখে মুখে উদ্বেগ-উৎকন্ঠার ছাপ লক্ষ্য করা গেছে। এমনকি, নির্বাচনী কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও অনেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি দুঃচিন্তায় রয়েছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন।

ভ্যান চালক আব্দুল করিম জানান, গত নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। এবার আশা আছে একজন ভালো মানুষকে ভোট দেবো। দোকানদার খায়রুল ইসলাম জানান, প্রার্থীদের বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি। যাচাই-বাছাই করে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেবো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বলেন, ভোট ডাকাতির একটি আতংক রয়েছে মানুষের মাঝে। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু হবে কি-না সে বিষয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহ রয়েছে। পরিবেশ ভালো থাকলে কেন্দ্রে যাবো ভোট দিতে।
কৃষক আব্দুর রহিম জানান, গত নির্বাচনে আমার ভোট অন্য লোকে দিলো। এবার যদি নিজের ভোটটা নিজে দিতে পারি তাহলে খুব ভালো লাগবে। তিনি বলেন, হিসেব করেই ভোট দেবো।
কয়েকজন প্রার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, সাতক্ষীরার চারটি আসেন অনেকেই মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত দেখতে হবে কয়জন প্রার্থী মাঠে রয়েছে। এরপরই হবে ভোটের হিসাব-নিকাশ। তবে, তারা ভোটের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবেন এবং জয়লাভ করবেন বলে আশা করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ