Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পঞ্চগড়ের বিলুপ্ত ৩৬ ছিটমহলে ভোটের হাওয়া সাধারণের মধ্যে উৎসবের আমেজ

প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা : অবশেষে পঞ্চগড়ের বিলুপ্ত বিভিন্ন ছিটমহলে শুরু হয়েছে নির্বাচনী তৎপরতা। আগামী ৩১ অক্টোবর ছিটমহল সংযুক্ত পঞ্চগড়ের বোদা, দেবীগঞ্জ ও সদর উপজেলার আটটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে ভোটার তালিকা না থাকায় ৩৬ ছিটমহল সংযুক্ত জেলার তিন উপজেলার ৯ ইউনিয়নে নির্বাচন স্থগিত ছিল। তবে পৌরসভা ঘোষণা এবং সীমানা জটিলতায় দেবীগঞ্জ উপজেলার দহলা খাগরাবাড়ি ছিটমহল সংযুক্ত দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে এবারো নির্বাচন হচ্ছে না। তবে অন্য আট ইউনিয়নে সংযুক্ত ৩৬টি বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উৎসবের আমেজ দেখা গেছে। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রমতে, পঞ্চগড়ের তিন উপজেলার ৩৬টি ছিটমহলের মধ্যে ১৭টিতে জনবসতি রয়েছে। সর্বশেষ গণনা মতে এসব বিলুপ্ত ছিটমহল এলাকায় ভোটার সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার ৯৩৫। এসব ছিটমহলের ভোটারদের ৯টি ইউনিয়নের ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে বোদা উপজেলার কাজলদীঘি, বড়শশী, মাড়েয়া ও ময়দানদীঘি ইউনিয়ন, দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ও টেপরিগঞ্জ ইউনিয়ন এবং সদর উপজেলার হাড়িভাসা ও হাফিজাবাদ ইউনিয়নে আগামী ৩১ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন অফিস কর্তৃক ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৬ অক্টোবর মনোনয়ন দাখিল, ৭ অক্টোবর বাছাই এবং ১৪ অক্টোবর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ছিটমহলের সদ্য ভোটার সংম্বলিত এই আটটি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬২২ জন। গত বছরের ৩১ জুলাই ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময়ের চলতি বছরের ১০ জুলাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ছিটমহলে ভোটার তালিকা তৈরিসহ জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদানের কাজ শুরু হয়। এদিকে, ২০১১ সালের ভারত-বাংলাদেশের যৌথ হেডকাউন্টিং এ নাম না থাকায় এসব বিলুপ্ত ছিটমহলের মধ্যে বোদা উপজেলার কোটভাজনি, বেহুলাডাঙ্গা, নাটকটোকা ছিটমহলের ৪০০ জন, সদর উপজেলার গারাতি ছিটমহলে প্রায় ১০০ জন, বোদা উপজেলার নাজিরগঞ্জ দৈখাতা ছিটমহলে ৫৬ জন, কাজলদিঘি ও শালবাড়ি ছিটমহলে ৯৬ জন, দহলা-খাগরাবাড়ি ছিটমহলে ২৫০ জন, পুটিমারী ছিটমহলে ২৫ জন এবং বালাপাড়া খাগরাবাড়ি ছিটমহলে ১৫০ জন বাসিন্দা নতুন এই ভোটার তালিকায় বাদ পড়েন। আগামী নির্বাচনে তারা ভোটারধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না বলে জানা গেছে। পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিলুপ্ত গারাতি ছিটমহলের সাবেক চেয়ারম্যান মফিজার রহমান বলেন, দীর্ঘদিন পর আমরা ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করতে পারবো। এজন্য আমাদের আনন্দের শেষ নেই। তবে যৌথ হেডকাউন্টিং এ নাম না থাকায় যারা ভোটার হতে পারেনি তাদের বিষয়টি সমাধান করা জরুরি ছিল। তিনি জানান, মাত্র ১০০শত জনের মতো ভোটার হতে পারেননি। এজন্য আমরা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে লিখিতভাবেও জানিয়েছিলাম। পঞ্চগড় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দেওয়ান মো. সারওয়ার জাহান বলেন, আগামী ৩১ অক্টোবর ছিটমহল অধ্যুষিত আটটি ইউনিয়নে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সব রকম প্রস্তুতি নেয়া রয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৬ অক্টোবর মনোনয়নপত্র দাখিল, ৭ অক্টোবর বাছাই এবং ১৪ অক্টোবর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এ দিকে মাড়েয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (নৌকাপ্রতীক) প্রার্থীর্ মো. শামীম হোসেন জানান, বর্তমান সরকার সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমরা খুশী।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পঞ্চগড়ের বিলুপ্ত ৩৬ ছিটমহলে ভোটের হাওয়া সাধারণের মধ্যে উৎসবের আমেজ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ