Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

হাইকোর্টের আদেশ আপিলেও বহাল

দুই বছরের বেশি সাজা হলে নির্বাচনের অযোগ্য থাকবে : আইনজীবী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

হাইকোর্টের আদেশে বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেন আবেদনের শুনানি শেষে নো অর্ডার দিয়েছেন আপিল বিভাগ। গতকাল বুধবার এ সংক্রান্ত আবেদন শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এতে সংবিধান অনুসারে ফৌজদারি অপরাধে দুই বছর বা তার বেশি সাজা হলে এবং রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল বিচারাধীন থাকলেও দন্ডিত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী। এই আদেশের ফলে আওয়ামী লীগ নেতা হাজি মোঃ সেলিমের নির্বাচনের পথ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হচ্ছে বলেও জানান এই আইনজীবী। আদালতে জাহিদ হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান শুনানিতে অংশ নেন।
দুর্নীতির মামলায় বিএনপির পাঁচ নেতার দন্ড ও সাজা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। শুনানি নিয়ে গত মঙ্গলবার হাইকোর্টে একটি বেঞ্চ পাঁচটি আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। আদেশের পরপরই দন্ড ও সাজা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যা চেম্বার বিচারপতির আদালত হয়ে বুধবার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারিত ছিল। প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানি করে নো অর্ডার দিলে হাইকোর্টের আদেশই বহাল থাকে। আদেশের পর খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের আদেশই বহাল আছে। নির্বাচন কমিশন আদালতের এ আদেশ মানতে বাধ্য। ফলে বিএনপির ওই পাঁচ নেতা, খালেদা জিয়া, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাসহ দুই বছরের বেশি সাজায় দন্ডিত কেউ এবার নির্বাচন করতে পারবেন না। অন্যদিকে জাহিদ হোসেনের আইনজীবী খায়রুল আলম চৌধুরী বলেন, এখন দন্ডিতরা নির্বাচন করতে পারবে কি না-সেটা নির্ভর করছে রিটার্নিং কর্মকর্তার ওপর। কারণ কেউ নির্বাচন করতে পারবে কি পারবে না, সেটা পুরোপুরি রিটার্নিং কর্মকর্তার এখতিয়ার। তিনি আরো বলেন, আপিল বিভাগ নো অর্ডার আদেশ দিয়েছেন। এ অবস্থায় হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদেশ হাতে পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ