Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

১১১ আসনে জাপার মনোনয়ন দাখিল

এরশাদের আরোগ্য লাভ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ভালো আছেন, সুস্থ্য আছেন। তিনি নিয়মিত চিকিৎসায় এখন সিএমএইচ-এ । দু’এক দিনের মধ্যেই তিনি বাসায় ফিরবেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই সিঙ্গাপুরের চিকিৎসা নিলেও বর্তমান অবস্থায় তাঁর সিঙ্গাপুরের চিকিৎসা নেয়ার দরকার নেই। তিনি সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন না।
গতকাল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ সম্পর্কে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, একটি কুচক্রি মহল হীন উদ্দেশ্যে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে মনোনয়ন বানিজ্যের অপপ্রচার চালাচ্ছে। যার সাথে সত্যের কোন সম্পর্ক নেই, অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। চক্রটি কিছু মানুষকে ভাড়া করে এনে জাতীয় পার্টির নেতাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। জাতীয় পার্টি একটি বড় দল, সবাইকে মনোনয়ন দেয়া সম্ভব না। আবার মহাজোটের কথা বিবেচনায় রেখেও, ছাড় দিতে হচ্ছে। তাই অনেকেই মনোনয়ন না পেয়ে, ক্ষোভে অসত্য এবং বানোয়াট অভিযোগ তুলছেন। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন না পেয়ে, একটি মহল হীন উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আসন নিয়ে মহাজোটে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অনেক দূর এগিয়েছে। আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময় মহাজোটের চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এদিকে মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টি কতটি আসন পাচ্ছে তা পরিস্কার নয়। প্রথমে ২২টি অতপর ৩৩টি এবং এখন ৫৪টি আসন দেয়ার কথা প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু জানা গেছে এই আসন সংখ্যা আরো কমে যাবে। তবে দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের শান্ত রাখতে ১১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে। গতকাল ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এরশাদের পক্ষে ঢাকা-১৭ আসনে এরশাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করা হয়। রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রংপুর-৩ আসনে তার পক্ষে মনোনয়ন পত্র দাখিল করা হয়েছে। ময়মনিসংহ-৪ ও ৭ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ। লালমনিরহাট-৩ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলামত মোহাম্মদ কাদের। পটুয়াখালী-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। কিন্তু রুহুল আমিন হাওলাদার ও তার স্ত্রী নাসরিন রত্মা হাওলাদারের বিরুদ্ধে বরিশালে ব্যপক বিক্ষোভ হয়েছে। তাদের কুশপুত্তুলিতা পোড়ানো হয়।
যে ১১১ আসনে মনোনয়ন দাখিল করা হয় তারা হলেন- ঢাকা-১৭ ও রংপুর-৩ আসনে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, ময়মনসিংহ-১ ও ময়মনসিংহ-৭ আসনে বেগম রওশন এরশাদ, পটুয়াখালী-১ আসনে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, চট্টগ্রাম-৫ আসনে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ঢাকা-৬ আসনে কাজী ফিরোজ রশিদ, কক্সবাজার-৩ আসনে জিয়াউদ্দিন বাবলু, রংপুর-১ আসনে মশিউর রহমান রাঙা, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মজিবুল হক চুন্নু, বরিশার-৬ আসনে নাসরিন জাহান রত্মা, নীলফামারী-৪ আসনে আলহাজ্ব শওকত চৌধুরী ও আদেলুর আদেল, কুড়িগ্রাম-৩ আসনে ড. আক্কাস আলী সরকার, গাইবান্ধা-১ আসনে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, কুড়িগ্রাম-১ আসনে এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, বগুড়া-২ আসনে শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৬ আসনে নুরুল ইসলাম ওমর। পিরোজপুর-৩ আসনে রুস্তম আলী ফরাজী, ময়মনসিংহ-৫ আসনে সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, ময়মনসিংহ-৮ আসনে ফখরুল ইসলাম, ঢাকা-৪ আসনে সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সেলিম ওসমান, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে পীর ফজলুর রহমান মেজবাহ, সিলেট-২ আসনে ইয়াহ হিয়া চৌধুরী, সিলেট-৫ আসনে সেলিম উদ্দিন, কুমিল্লা-২ আসনে আমির হোসেন ভূঁইয়া, কুমিল্লা -৮ আসনে নুরুল ইসলাম মিলন, লালমনিরহাট-৩ আসনে গোলাম মোহাম্মদ কাদের, খুলনা-১ আসনে সুনীল শুভরায়, ফেনী-৩ আসনে লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, বরিশাল-২ আসনে মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ও ক্যাপ্টেন এম. মোয়াজ্জেম হোসেন, হবিগঞ্জ-১ আসনে আলহাজ্ব আতিকুর রহমান, গাইবান্ধা-৩ আসনে ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, কুড়িগ্রাম-২ আসনে পনির উদ্দিন আহমেদ, কুষ্টিয়া-১ আসনে শাহরিয়ার জামিল, নাটোর-১ আসনে মো. আবু তালহা, দিনাজপুর-৬ আসনে দেলোয়ার হোসেন, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে আশরাফ-উদ্-দৌলা, নোয়াখালী-১ আসনে মাওলানা আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক (ইসলামী জোট), রাজশাহী-৫ আসনে আবুল হোসেন, সাতক্ষীরা-২ আসনে আজাহার হোসেন, ঢাকা-১৩ আসনে সফিকুল ইসলাম সেন্টু, বরগুনা-২ আসনে আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম-১৬ আসনে মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, লালমনিরহাট-১ আসনে মেজর (অব.) খালেদ আখতার, পার্বত্য খাগড়াছড়ি আসনে সোলাইমান আলম শেঠ। নীলফামারী-১ আসনে জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গাইবান্ধা-৫ আসনে এইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, নীলফামারী-৩ আসনে ফারুক কাদের, ঝালকাঠি-১ আসনে এমএ কুদ্দুস খান, কক্সবাজার-১ আসনে হাজী ইলিয়াস, টাঙ্গাইল-৫ আসনে শফিউল্লাহ আল মনির, বাগেরহাট-৪ আসনে সোমনাথ দে, খুলনা-৬ আসনে শফিকুল ইসলাম মধু, নাটোর-২ আসনে মজিবুর রহমান সেন্টু, নরসিংদী-২ আসনে আজম খান, কুমিল্লা-৪ আসনে ইকবাল হোসেন রাজু, যশোর-৪ আসনে এড, জহিরুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে কাজী মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম-৪ আসনে দিদারুল আলম দিদার, নড়াইল-১ আসনে মিল্টন মোল্লা, হবিগঞ্জ-২ আসনে শংকর পাল, টাঙ্গাইল-৭ আসনে জহিরুল ইসলাম জহির, রংপুর-৪ আসনে মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল, নওগাঁ-৩ আসনে এডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন, ঢাকা-৫ আসনে আবদুস সবুর আসুদ, জয়পুরহাট-২ আসনে আবুল কাশেম রিপন, কক্সবাজার-২ আসনে আলহাজ্ব মো. মহিবুল্লাহ, শেরপুর-১ আসনে ইলিয়াস উদ্দিন, নরসিংদী-৪ আসনে নেওয়াজ উদ্দিন ভূঁইয়া, টাঙ্গাইল-৮ আসনে কাজী আশরাফ সিদ্দিকী, সাতক্ষীরা-১ আসনে সৈয়দ দিদার বখত, রংপুর-২ আসনে আসাদুজ্জামান চৌধুরী, রংপুর-৫ আসনে এসএম ফখর উজ জামান, জয়পুরহাট-১ আসনে আ স ম মোক্তাদির তিতাস, বগুড়া-১ আসনে গোলাম মোস্তফা বাবু, গাজীপুর-৫ আসনে রাহেলা পারভীন শিশির, নওগাঁ-৪ আসনে ডা. এনামুল হক, নাটোর-৪ আসনে আলাউদ্দিন মৃধা, মুন্সিগঞ্জ-২ আসনে শেখ মো. সিরাজুল ইসলাম, রাজশাহী-৩ আসনে শাহাবুদ্দিন বাচ্চু, রাজবাড়ী-১ আসনে আসরাফুজ্জামান হাসান, ঝিনাইদহ-৩ আসনে ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান স্বাধীন, ঢাকা-৯ আসনে অধ্যাপক দেলোয়া হোসেন, নোয়াখালী-৪ আসনে মোবারক হোসেন আজাদ, জামালপুর-২ আসনে মোস্তফা আল মাহমুদ, দিনাজপুর-২ আসনে এডভোকেট জুলফিকার হোসেন, বাগেরহাট-৩ আসনে সেকেন্দার আলী মনি, ঢাকা-১৪ আসনে মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, নেত্রকোনা-৩ আসনে জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, নোয়াখালী-৩ আসনে ফজলে এলাহী সোহাগ, সিলেট-৩ আসনে ওসমান আলী, সাতক্ষীরা-৪ আসনে আবদুুস সাত্তার মোড়ল, মানিকগঞ্জ-৩ আসনে জহিরুল আলম রুবেল, মানিকগঞ্জ-২ আসনে এসএম আব্দুল মান্নান, ঢাকা-৭ আসনে তারেক আহমেদ আদেল, বরিশাল-৩ আসনে গোলাম কিবরিয়া টিপু ও ফখরুল আহসান শাহজাদা, চাঁদপুর-৪ আসনে মনিরুল ইসলাম মিলন, নোয়াখালী-২ আসনে হাসান মঞ্জুর, কুমিল্লা-৭ আসনে লুৎফর রেজা খোকন, দিনাজপুর-১ আসনে মো. শাহীনুর ইসলাম, নোয়াখালী-৬ আসনে এডভোকেট নাসিম উদ্দিন বায়েজিদ, পটুয়াখালী-৩ আসনে মাওলানা সাইফুল ইসলাম, পটুয়াখালী-৪ আসনে আনোয়ার হোসেন, বরিশাল-৫ আসনে এ্যাডভোকেট একএম মর্তুজা আবেদিন, পঞ্চগড়-১ আসনে আবু সালেহ ও গাইবান্ধা-৪ আসনে কাজী মশিউর রহমান।



 

Show all comments
  • ২৯ নভেম্বর, ২০১৮, ৫:১২ পিএম says : 0
    জাপা বড় ধরনের ভুল করেছে তাদের তিনশ আসনে মনোনয়ন দেওয়া ঊচিত ছিল তাহলে নিম্নে আঁশিটি সিট জাপা জোট পেত নিশ্চিত.
    Total Reply(0) Reply
  • ২৯ নভেম্বর, ২০১৮, ৫:৩২ পিএম says : 0
    মনে হছেচ জাপা চেয়ারমান এরশাদ কে কোথায় লুকিয়ে রেখেছে যাতে বেশৗ না দিতে হয় এবং এর সাথে রুহুল আমিন সহ বেশ কিছু নেতা জড়িত।
    Total Reply(0) Reply
  • হারুন চৌধুরী ২৯ নভেম্বর, ২০১৮, ৬:৪০ পিএম says : 0
    জাপা চেয়ারমান মোটেই অসুস্থ নহে ঊনাকে ঢাকা সি এম এইস এ রাখা হয়েছে যাতে সরকার কে বেশৗ আসন না দিতে হয় এর সাথে সরাসরি সরকার সহ জাপার কিছু নেতা জড়িত কিন্তু জাপার দালাল গুলো টের পাবে ভোটের মাঠে ভোট চাইতে গিয়ে এই বার রুহুল আমিন গংদের খবর আছে লৗগের দালালি করার ফল পাবে মাঠে ঘাটে.
    Total Reply(0) Reply
  • ২৯ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:০৬ পিএম says : 0
    জাপা কে বাঁচাও দালাল মুক্ত জাপা চাই এবং লৗগের চামচা মুক্ত জাপা চাই.
    Total Reply(0) Reply
  • ২৯ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:১২ পিএম says : 0
    এরশাদ জিন্দাবাদ লাঙল জিন্দাবাদ জি এম কাদের জিন্দাবাদ.
    Total Reply(0) Reply
  • রনি খান ২৯ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:১৬ পিএম says : 0
    রুহুল... খেদাও লাঙল বাঁচাও.
    Total Reply(0) Reply
  • ২৯ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:১৯ পিএম says : 0
    জাপার চেয়ারমান জি এম কাদের কে চাই তাহলে দালালদের ঘুম হারাম হবে. জাপা দালাল থেকে মুক্ত পাবে.
    Total Reply(0) Reply
  • ২৯ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:২৪ পিএম says : 0
    জি এম কাদের জিন্দাবাদ দালাল মুক্ত জাপা চাই.
    Total Reply(0) Reply
  • ২৯ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:২৬ পিএম says : 0
    111 টির ভিতরে জাপা সওরটি আসন পাবে নিশ্চিত. সবাই মিলে লাঙল কে সহযোগিতা করি.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ