পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এক সপ্তাহ পিছিয়ে যাচ্ছে ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৯। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে এ মেলা রাজধানীর শেরেবাংলানগরে ১ জানুয়ারির পরিবর্তে ৯ জানুয়ারি শুরু হবে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) উপপরিচালক ও মেলা কমিটির আহ্বায়ক মো. আবদুর রউফ এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নির্বাচনের কারণে এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ১ জানুয়ারির পরিবর্তে ৯ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইপিবির পরিচালনা বোর্ড গত ১ অক্টেবর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে চলতি নভেম্বর মাসের মধ্যে স্টল বরাদ্দ শেষ হবে। এ পর্যন্ত ৪৩টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। ৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ মেলা চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মেলায় কোনো সাপ্তাহিক ছুটি নেই। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে।
আবদুর রউফ বলেন, এবারের মেলায় প্রতিবারের মতো ভিন্ন আঙ্গিক আনার চেষ্টা করা হয়েছে। মেলার দুই প্রান্তে সুন্দরবন ইকো পার্ক করা হবে। মা ও শিশু কেন্দ্র, শিশু পার্ক, ই-পার্ক, এটিএম বুথ, রেডিমেড গার্মেন্ট, হোমটেক্স, ফেকিুকস পণ্য, হস্তশিল্পজাত, পাট ও পাটজাত, গৃহস্থালি ও উপহারসামগ্রী, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, তৈজসপত্র, সিরামিক, প্লাস্টিক, পলিমার পণ্য, কসমেটিকস হারবাল ও প্রসাধনী সামগ্রী, খাদ্য ও খাদ্যজাত পণ্য, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী, ইমিটেশন ও জুয়েলারি, নির্মাণসামগ্রী ও ফার্নিচার স্টল থাকবে।
ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, এবারের মেলায় দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের স্টল ও প্যাভিলিয়ন মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৫০০ প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। আর প্যাভিলিয়ন হবে মাত্র ২৬টি। তাই এবার একক দেশগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
যেসব দেশ এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে এগুলো হলো ভারত, পাকিস্তান, চীন, ব্রিটেন, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ভুটান, নেপাল, মরিশাস, ভিয়েতনাম, মালদ্বীপ, রাশিয়া, আমেরিকা, জার্মানি, সোয়াজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, হংকংসহ বিভিন্ন দেশ।
আয়োজকরা জানান, এবারের মেলায় সংরক্ষিত মহিলা স্টল ২০টি, প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ৬০টি, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন ৩৮টি, সাধারণ প্যাভিলিয়ন ১৮, সাধারণ মিনি প্যাভিলিয়িন ২৯টি, প্রিমিয়ার স্টল ৬৭টি, রেস্টুরেন্ট তিনটি, সংরক্ষিত প্যাভিলিয়ন ৯টি, সংরক্ষিত মিনি প্যাভিলিয়ন ছয়টি, বিদেশি প্যাভিলিয়ন ২৬টি, সংরক্ষিত মিনি প্যাভিলিয়ন নয়টি, বিদেশি প্রিমিয়াম স্টল ১৩টি, সাধারণ স্টল ২০১টি ও ফুড স্টল ২২টি। এ পর্যন্ত ৫২১টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মেলায় ডিজিটাল এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার, ইকো পার্কসহ নতুন অনেক কিছুই থাকছে। মেলায় অব্যবস্থাপনা রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে।
প্রসঙ্গত, ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় দুই কোটি ডলার বা ১৬৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকার রফতানি আদেশ পেয়েছে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো। এর আগের বছর মেলায় ২৪৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা স্পট অর্ডার এসেছিল। ২০১৬ সালে ছিল ২৩৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ২০১৫ ও ২০১৪ সালে রফতানির আদেশ ছিল যথাক্রমে ৯৫ কোটি ও ৮০ কোটি টাকা। তার আগের বছর ২০১৩ সালে রফতানি আদেশ এসেছিল ১৫৭ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে মেলায় ৮৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে বলে জানায় ইপিবি।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।