Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সঙ্কটের জন্য ভারত-পাকিস্তান উভয়ই দায়ী : ইমরান খান

সার্কে যোগদানে পাকিস্তানের আমন্ত্রণ ভারতের প্রত্যাখান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গতকাল ভারতের ৩ জন মন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত কর্তারপুর করিডোর উদ্বোধন করেছেন। এদিকে সার্ক সম্মেলনে যোগদানে পাকিস্তানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখান করেছে ভারত। কর্তারপুর করিডোর উদ্বোধরে ভারতের ৩ মন্ত্রীর যোগদানের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে যে আশার আলো দেখা যাচ্ছিল সার্ক সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদির যোগদানের বিষয়টি নাকচ করে কার্যত তা নিভিয়ে দিল ভারত। কর্তারপুর করিডরের মাধ্যমে ভারতের গুরুদাসপুর জেলার ডেরা বাবা নানকের সাথে কর্তারপুর গুরুদুয়ারা দরবার সাহিব সংযুক্ত হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের খাদ্য প্রতিমন্ত্রী হারসিমরাৎ কাউর বাদল এবং গৃহ ও আবাসন প্রতিমন্ত্রী হারদিপ এস পুরি, পাঞ্জাবের সরকারের পর্যটন, যাদুঘর ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী নভজোত সিং সিধু। অনুষ্ঠানে ভারতীয় সাংবাদিক ও বিদেশি কূটনীতিকদের পাশাপাশি যোগদেন বিপুল সংখ্যক স্থানীয় ও ভারতীয় শিখ ধর্মালম্বী।
পাকিস্তানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী নূরুল হক কাদরি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদার, রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আফ্রিদি।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার বক্তৃতায় বলেন, ‘পাকিস্তান ও ভারত ৭০ বছর ধরে যে অবস্থানে আছে তার জন্য আমরা দুই পক্ষই দায়ী। অতীতের শিকল ভেঙে আমরা একে অপরকে দোষারোপ করা বন্ধ না করলে আমরা এই পরিস্থিতিতেই আটকে থাকব।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের একমাত্র সমস্যা, কাশ্মির। যদি মানুষ চাঁদে হাঁটতে পারে, তাহলে এমন কী সমস্যা আছে যা আমরা সমাধান করতে পারি না?’
তিনি আরও বলেন, ‘কল্পনা করুন, একবার বাণিজ্য শুরু হয়ে গেলে, আমাদের সম্পর্ক ঠিক হয়ে গেলে, উভয় দেশ কীভাবে উপকৃত হতে পারে। উভয় দেশ এগিয়ে পেতে পারে। বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে ভারত যদি এক ধাপ এগিয়ে আসে তবে আমরা দুই ধাপ এগিয়ে যাব।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় মজা করে বলেন, ‘আমি আশা করছি যে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তির জন্য সিধু প্রধানমন্ত্রী হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে না।’
পাকিস্তান সরকার আগামী বছর নভেম্বরে বাবা গুরু নানক এর ৫৫০তম জন্মবার্ষিকীতে চার কিলোমিটার দীর্ঘ ভিসা ফ্রি করিডোর চালু করতে চাচ্ছে। এই লক্ষ্যে প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ে সীমান্তের কাছে একটি বোর্ডিং টার্মিনাল ও ১০ হাজার তীর্থযাত্রীদের আবাসস্থল নির্মাণ করা হবে। সরাসরি সংযোগে রাভি নদীর উপরে ৮০০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করা হবে।
এদিকে সার্ক সম্মেলন যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাকিস্তানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখান করেছে দিল্লি। গতকাল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানিয়ে দিলেন, ‘আমন্ত্রণ গ্রহণ করার প্রশ্নই নেই। শুধু তাই নয়, সার্ক সম্মেলনে মোদিকে আমন্ত্রণ করার কোনও অধিকার নেই পাকিস্তানের। কারণ ভারত সার্কের অন্যতম সদস্য। তার সম্মতি ছাড়া সার্ক সম্মেলন হতেই পারে না।’ তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কর্তারপুর করিডোর নির্মাণ করা মানে এই নয় যে, আমরা তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসব। আগে তারা সন্ত্রাসবাদীদের মদদ দেওয়া বন্ধ করুক। তার পরে আলোচনা করা যাবে।’ সূত্র : ডন, ইন্ডিয়া টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ