মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ঐতিহাসিক কর্তারপুর করিডর দিয়ে ভারতকে আবারও শান্তির বার্তা পাঠালেন ইমরান খান। তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দুই প্রতিপক্ষ ফ্রান্স-জার্মানি পারলে ভারত-পাকিস্তান কেন পারবে না শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে।’ শপথ গ্রহণের পরই ইমরান খান বলেছিলেন, ‘ভারত এক পা এগোলে তিনি দু’পা বাড়াবেন।’ কর্তারপুর করিডর ভারত-পাক সম্পর্কের শীতলতায় কিছুটা হলেও উষ্ণতা নিয়ে এসেছে। আর সেই সূচনার মঞ্চেই ইমরান খান বোঝাতে চাইলেন, পাক সরকার বা তার দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) শুধু নয়, সীমান্তের ওপারের সব পক্ষই শান্তি চায়। বলেন, যখনই আমি ভারতে গেছি, সেখানকার মানুষ বলেছেন, পাক সেনা শান্তিতে আগ্রহী নয়। কিন্তু আমি বলছি, প্রধানমন্ত্রী আমি, আমাদের দল, অন্য রাজনৈতিক দল, আমাদের সেনা —আমাদের সবার অবস্থান এক। আমরা সবাই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই।’
ইমরান আরও বলেন, ‘৭০ বছর ধরে আমরা শুধুই একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে এসেছি। দু’পক্ষেরই ভুল ভ্রান্তি আছে। কিন্তু আর কত দিন পরস্পরকে দোষারোপে মেতে থাকব। যখনই আমরা এক পা এগোই, দু’পা পিছিয়ে যাই।’
শুধুমাত্র মানবিকতার দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েই এই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মত ইমরানের। আমাদের দু’জনেরই একটি উদ্দেশ্য রয়েছে, সেটা হল কাশ্মীর সমস্যার সমাধান। আমরা চাইলে এই সমস্যার সমাধান কেন হবে না? আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, এটা সম্ভব। আমাদের শুধু ইচ্ছা এবং স্বপ্ন থাকতে হবে।’
এদিকে, বুধবার সার্ক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য ইসলামাবাদের আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়েছে ভারত। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সন্ত্রাস বন্ধ না হলে আলোচনা নয়। কর্তারপুর আর দ্বিপাক্ষিক আলোচনা যে এক নয়, সেকথাও বুঝিয়ে দিয়েছেন।
ভারতের হয়ে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে ছিলেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদল এবং হরদীপ সিং পুরী। আর নিজের উদ্যোগে অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পাঞ্জাবের মন্ত্রী নভজোত সিং সিধু। তার আসন ছিল সামনের সারিতেই। যদিও প্রোটোকলের কারণে কিছুটা পিছনের দিকে ছিলেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে সিধু বলেন, কর্তারপুর করিডরের হাত ধরেই দু’দেশের হৃদয় উন্মুক্ত হবে। সূত্র: ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।