বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হাসিমুখে একে অপরের দিকে হাত বাড়িয়ে কোলাকুলি। এরপর একে অপরের হাত ধরে কুশল বিনিময়। এদের একজন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী অন্যজন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ। বুধবার ব্যতিক্রমধর্মী এ দৃশ্যের অবতারণা হয় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে।
তারা দু’জনই এবারও ভোটের লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছেন নগরীর গুরুত্বপূর্ণ আসন চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে। দু’জনই নেতাদের সাথে নিয়ে নিজ নিজ মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে যান। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কোলাকুলিতে সেখানে উপস্থিত আওয়ামী লীগ বিএনপির নেতারাও করতালি দিয়ে সমর্থন জানান। তাদের সবার চেহারা ছিল হাস্যোজ্জ্বল। এ ঘটনাকে ভোট রাজনীতিতে সুবাতাস বলেও মন্তব্য করেন উপস্থিত নেতারা।
এ সময় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন করতে চাই। ব্যক্তিগতভাবে একে অপরের সঙ্গে শত্রুতা নেই। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম জাতীয়তাবাদী শক্তির ঘাঁটি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপির প্রার্থীরাই জিতবেন।
এমএ লতিফ বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড যে দেশে আছে সেটি কোলাকুলির মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছি। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ সব দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। এই যে আনন্দমুখর পরিবেশ, এ সম্পর্ক তো হঠাৎ করে ডেভেলপ হয়নি।
আমীর খসরু এবং এম এ লতিফ দু’জনই চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট। ব্যবসায়ীদের নেতৃত্ব দেয়ার সময় তারা ছিলেন গুরু শিষ্য। ২০০৮ সালের নির্বাচনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেয়া এম এ লতিফের কাছে হেরে যান সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এবারও তারা একই আসনে মুখোমুখি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।