বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না বিএনপির সিনিয়র তিন নেতা। দলীয় মনোনয়ন পেলেও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দেননি দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু ফেনী-৩ আসনে নিজে এবং ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র কেনেন। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল চেয়েছিলেন বরিশাল-২ আসন। ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থিতা চেয়েছিলেন হাবিব উন নবী খান সোহেল। তিনজনের কেউই আজ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেননি। অবশ্য কি কারণে জমা দেননি সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। জানার জন্য আব্দুল আউয়াল মিন্টুর মোবাইলে ফোন করলে তার ব্যক্তিগত সহকারী জানান মিন্টু ব্যস্ত আছেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী বুধবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। সব দলের প্রার্থীরাই সারা দিন নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তারা যেহেতু নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, আমিও নির্বাচন করবো না।
ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার বিকল্প প্রার্থী হিসেবে এবার মিন্টু ছাড়াও যুবদলের সাবেক নেতা রফিকুল ইসলাম রয়েছেন। অন্যদিকে আলালের বরিশাল-২ আসনে বিএনপির সাবেক হুইপ শহীদুল হক জামালও মনোনয়নপত্র কেনেন। তিনি এর আগে ঢাকা-১৩ আসন থেকে নির্বাচন করেছেন। এবারও এই আসনে তাঁর আগ্রহ ছিল। কিন্তু বিএনপি থেকে এবার সেখানে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালামকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানে গ্রেপ্তার হওয়ার পর এখন কারাগারে আছেন হাবিব উন নবী খান সোহেল। তাঁর পক্ষে কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।