পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্ষব্যাধি (রেসপিরেটরি) বিভাগের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও বৈজ্ঞানিক সেমিনারের মধ্য দিয়ে বুধবার (২৮ নভেম্বর) বিশ্ব সিওপিডি দিবস পালিত হয়েছে।
শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ ক্রনিক অবসট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজটি সম্পর্কে জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির রেসপিরেটরি বিভাগের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রো-ভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভিসি (প্রশাসন) ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন বক্ষব্যাধি (রেসপিরেটরি) বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এ কে এম মোশরারফ হোসেন। ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, সিওপিডি রোগীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার যাতে মানুষের সামর্থ্যের মধ্যে থাকে সেটা বিবেচনায় রাখতে হবে।
ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ সিওপিডি ধূমপায়ীদের বেশি হতে দেখা যায়। এটা ফুসফুসের একটা অসুখ, যা হলে নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। সিওপিডি’র ফলে কাশি দেখা দেয়, সেই সঙ্গে কফ, নিঃশ্বাসে সাঁ সাঁ শব্দসহ নানা উপসর্গ থাকে।
তিনি বলেন, ধূমপানের সঙ্গে এই অসুখটি যুক্ত। যাদের এটা হয়, তাদের অনেকেই ধূমপান করেন বা এককালে করতেন। এ ছাড়া বাতাসের দূষণ, ধুলো, ধোঁয়া, ইত্যাদি যা আমাদের ফুসফুসে প্রদাহের সৃষ্টি করে, এর জন্যও এই রোগটি দেখা দিতে পারে।
ডা. এ কে এম মোশরারফ হোসেন বলেন, সিওপিডি প্রতিরোধে গ্রামে-গঞ্জে পরিবেশবান্ধব চুলার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান বিশ্বে সিওপিডি রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৮ ভাগ। বাংলাদেশে এ সংখ্যা প্রায় ১০ ভাগ, যারা ধূমপান করে তাদের মধ্যে এই সংখ্যা ১২ ভাগ। আর অধূমপায়ীদের মধ্যে এই সংখ্যা ৩ ভাগ।
ঢাকা মহানগরীতে বক্ষব্যাধি বিভাগ, বিএসএমএমইউ পরিচালিত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ঢাকায় ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বের জনসংখ্যার ১১ দশমিক ৪ ভাগ সিওপিডি রোগে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে ১১ দশমিক ৭ ভাগ পুরুষ এবং ১০ দশমিক ৬ ভাগ নারী।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পৃথিবীতে সিওপিডি রোগীর সংখ্যা ৮০ মিলিয়ন। এক পরিসংখ্যান মতে, ২০০৫ সালে তিন মিলিয়ন লোক এই রোগে মারা গেছেন। ২০০২ সালে সেখানে সিওপিডি রোগ মৃত্যুর পঞ্চম কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল, নিকট ভবিষ্যতে তা তৃতীয় মৃত্যুর কারণ হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০০২ সাল থেকে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এবারের থিম- ‘আসুন, সিওপিডি প্রতিরোধ করি, সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন গড়ি।’###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।