বিচারিক আদালতে দুই বছরের বেশি দণ্ডিত ব্যক্তি আপিল চলাকালেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন, সেটি বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
ফলে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত কোনো ব্যক্তির সাজা আপিলে স্থগিত বা বাতিল না হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিলের বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত কোনো ব্যক্তি পুরোপুরি খালাস না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে কেউ অংশ নিতে পারবেন না বলে মঙ্গলবার আদেশ দেন হাইকোর্ট।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানসহ ৫ নেতার পৃথক মামলার শুনানি শেষে এ আদেশ দেয়া হয়।
ফলে জাহিদ হোসেন-আমানসহ ৫ নেতার নির্বাচনে অংশ নেয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। তারা প্রত্যেকই দুই বছরের বেশি দণ্ডিত।
এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন জাহিদ হোসেন। ওই আপিলের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আজ এ রায় দিলেন।
গতকাল রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল- বিচারিক আদালতে কারও বিরুদ্ধে দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকাবস্থায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। যতক্ষণ না আপিল বিভাগ ওই রায় বাতিল বা স্থগিত করে জামিন না দেন।
এ আদেশ স্থগিত চেয়ে মঙ্গলবারই আপিল করেন
বিএনপি নেতা ডা. এজেডএম জাহিদ। পরে চেম্বার আদালত আবেদনটি শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ পাঠিয়ে দেন। পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আজ রায় দিল।
এ রায়ের ফলে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ারও নির্বাচনে অংশ নেয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে গেল। কারণ খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুটি মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত।