পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশ এখন নির্বাচনী জ্বরে আক্রান্ত। নির্বাচনের প্রধান দুই প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ছায়াতলে গঠিত হয়েছে মহাজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। রাজনীতির দুই জায়ান্ট নিজ দলের প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলও করছে। দলীয় পার্থী ঘোষণার পর শরিক দলগুলোর মধ্যে শুরু করেছে ‘আসন বিতরণ’। এখনো শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত হয়নি। দুই রাজনৈতিক শক্তিই শরিক দলগুলোকে ৭০টি করে আসন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু মহাজোট-ঐক্যফ্রন্টের শরিক জোট-ফ্রন্ট, উপজোট-সহজোট, সহযোগী জোট-পাতি জোট মিলে বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর তালিকা দিয়েছে। দল এবং জোটের প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাই, প্রার্থী বাছাই-চ‚ড়ান্তকরণে সৃষ্টি হয়েছে মহাজট। আজই মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। কিন্তু জোট-ফ্রন্টের প্রার্থীজট খুলতে কতদিন লাগে কে জানে?
মহাজোট : একাদশ জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন আজ। কিন্তু এখন পর্যন্ত আসন ভাগাভাগি নিয়ে ১৪ দলীয় জোট ও মহজোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে জট ভাঙেনি আওয়ামী লীগের। জোটের মনোনয়ন নিয়ে জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, তরিকত ফেডারেশন ও জাকের পার্টির সঙ্গে কিছু আসনের সমাধান হলেও জটিলতা রয়ে গেছে অনেক আসনে।
এসব আসনের সমাধান করতে মহাজোটে দর কষাকষি চলবে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। জানা যায়, জোটের আসন ভাগাভাগি নিয়ে জটিলতা সমাধানের জন্য দীর্ঘ দিন ধরেই চেষ্টা করে আসছে আওয়ামী লীগের শরিক দলগুলো। কিন্তু নির্বাচনের আগে মহাজোটে দলের সংখ্যা বৃদ্ধি, জাতীয় পার্টি শরিক হিসেবে না বিরোধী দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবে সেই সমীকরণের কারণে ১৪ দলের শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি আওয়ামী লীগ।
তবে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, শরিকদের জন্য ৬৫ থেকে ৭০টি আসনের বেশি ছাড়া হবে না। তবে শেষ সময়ে চাহিদা মতো আসন না পাওয়ায় বেঁকে বসেছে জাতীয় পার্টি, আর অসন্তোষ বিরাজ করছে ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে। এ ছাড়া মহাজোটের হয়ে নির্বাচন করতে চায় এমন দলগুলোও ঝামেলায় রয়েছে।
তবে মহাজোটের মধ্যে জাকের পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সালকে ফরিদপুর-২ আসনে, তরিকত ফেডারেশন চট্টগাম-২ ও লক্ষীপুর-১ মোট দুটি আসন ও জাসদ আম্বিয়া নড়াইল-১ ও চট্টগ্রাম-৮ মোট দুটি আসনে জোটের মনোনয়ন পাওয়ায় স্বস্তিতে রয়েছে। তবে অন্য দলগুলোতে অসন্তোষ রয়েছে। সূত্র জানায়, জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে ২২টি আসনের সিগনাল দেয়া হয়েছিল। এরপর বেঁকে বসে জাপা। সর্বশেষ তাদের ৪০টি আসন দেয়া হবে বলা হলেও ৪৮টি আসন চায় জাপা। জাপার অনেক এমপি আছে এমন আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের চিঠি দিয়েছে। এ নিয়ে দর কষাকষি চলছে।
এদিকে ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে মাত্র চারটি দলকে জোটের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে জাসদ-ইনু তিনটি, জাসদ-আম্বিয়া দুটি, ওয়ার্কার্স পার্টি পাঁচটি, তরিকত ফেডারেশন দুটি, জাতীয় পার্টি- জেপি একটি। গত নির্বাচনেও এই দলগুলোই মনোনয়ন পেয়েছিল। এর মধ্যে জেপি ও ওয়ার্কার্স পার্টির একজন করে দুইজন এমপি মনোনয়ন থেকে বাদ পড়েছেন। এ নিয়ে অন্য দলগুলোর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং জোটের তাদের থাকার কারণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
সূত্র জানায়, শরিকরা আ.লীগের কাছে প্রায় শতাধিক আসন চাইলেও আসন ভাগাভাগি নিয়ে সর্বশেষ জাসদ ১৫টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ১৫টি, জাসদ-আম্বিয়া পাঁচটি, তরিকত তিনটি, জেপি পাঁচটি, গণতন্ত্রী পার্টি ১০টি, সাম্যবাদী দল দুটি, গণ-আজাদী লীগ পাঁচটি, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, বাসদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি একটি করে আসন নির্দিষ্ট করে আ.লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে তালিকা জমা দিয়েছিল।
কিন্তু চাহিদার আলোকে মনোনয়ন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ শরিকরা। নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন। আর দর কষাকষির জন্য মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। ইতোমধ্যে জাসদ-ইনু মোট ৩৫টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। আজ আরো ২০টি আসনে দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেবে বলে ইনকিলাবকে জানিয়েছেন দলের নির্বাচন পরিচালনা সমন্বয়ক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান শওকত।
ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক গতকাল ইনকিলাবকে জানান, আজ বুধবার মোট ৩৪টি আসনে দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন আসনে অন্য শরিকরাও যাদের নিবন্ধন রয়েছে তারা মনোনয়ন জমা দিয়ে রাখবেন।
এদিকে মহাজোটে নতুন যুক্ত হওয়া বিকল্পধারার নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টকে আটটি আসন দেয়ার কথা থাকলেও তা নিয়ে জটিলতা কাটেনি। বিকল্পধারার যুগ্ম-মহাসচিব মাহি বি. চৌধুরীর জন্য মুন্সিগঞ্জ-১ আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। কিন্তু অন্য আসনগুলো নিয়ে জটিলতা চলছে।
এ ছাড়া দেশের মোট ৭০টি ইসলামী দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকলেও এই দলগুলোর জন্য আসন নিয়ে কোনো সমাধান হয়নি। তাদের পাঁচটি আসন দেয়ার কথা থাকলেও জাকের পার্টির জন্য ফরিদপুর-২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়-২ আসনটি ফাঁকা রাখা হয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের আবুল হাসনাত আমিনীর জন্য। এ ছাড়া তাদের চাহিদামতো আর কোনো আসন ফাঁকা রাখা হয়নি।
এ বিষয়ে ১৪ দলের শরিকদের দায়িত্বশীল পর্যায়ের নেতারা জানান, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত আসন ভাগাভাগি নিয়ে কথা হবে। প্রয়োজনে দলের অনেক প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবে।’ সে জন্য তাদের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়ে রাখছেন। এ ছাড়া শরিক নেতারা আরো জানান, তাদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনে কিছু আসন উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য বলবেন তারা।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন আজ। এই নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইলে আজকের মধ্যেই মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিন হলেও ৩০০ আসনে এখনো একক প্রার্থী ঘোষণা করেনি রাজপথের প্রধান বিরোধী দল ও নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মূল প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপি ও তার জোট সঙ্গীরা। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বাইরেই কেবল ২০ দলীয় জোটেরই ৮০০ প্রার্থীকে প্রত্যয়ন করা হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। প্রতিটি আসনেই একাধিক প্রার্থীর হাতে দলীয় প্রত্যয়নপত্র তুলে দেয়া হয়েছে। স্পষ্ট করা হয়নি জোট সঙ্গীদের আসন সংখ্যাও। ফলে প্রার্থিতা নিয়ে বিএনপি ও জোটের শরিকদের মধ্যে এখনো একটি ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। তৈরি হয়েছে প্রার্থিতা নিয়ে জটলা। শীর্ষ কয়েকজন নেতার আসনে এককভাবে প্রার্থী দেয়া হলেও বেশির ভাগ আসনেই দুই থেকে তিন-চারজন পর্যন্ত প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। প্রত্যয়নপত্র হাতে পেলেও এখনো কেউ বলতে পারছেন না ধানের শীষের প্রার্থী হবেন কারা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একাধিক প্রার্থী দেয়ার বিষয়টিকে কৌশল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা প্রত্যেকটি আসনে দুইজন করে প্রার্থীকে প্রাথমিক মনোনয়ন দিচ্ছি। কোনো কারণে একজনের না হলে পরেরজন যাতে সুযোগ পান।
এবারের নির্বাচনে ২০ দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এই দু’টি জোটকে সাথে নিয়ে অংশ নিচ্ছে বিএনপি। নির্বাচনে ইতোমধ্যেই ৩০০ আসনে ৮০০ প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে দলটি। বাছাই-প্রক্রিয়ার পরই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের সঙ্গে আসন বণ্টনের ফায়সালা করা হবে। দলটি সূত্রে জানা যায়, ২০ দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ৬০টির মতো আসন দিয়ে সন্তুষ্ট রাখতে চায় তারা। তবে এরপরও কেউ অসন্তুষ্ট হলে আরো পাঁচটির মতো আসন বাড়িয়ে দেয়া হবে। যদিও প্রতিটি দলই আলাদা করে তাদের আসন চেয়ে বিএনপিকে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ২০ দলের বাইরে ফ্রন্টের বিষয়টি চ‚ড়ান্ত করতে পারেনি। ঐক্যফ্রন্ট সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে নাগরিক ঐক্য ৪০টি, গণফোরাম ৩০টি, জেএসডি ৩০টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ পাঁচটি আসন চায়।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ৩০০ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে দুই হাজার ৫৮৬ জন প্রার্থী সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। অল্পসংখ্যক আসনে এত বিপুল সংখ্যক প্রার্থী থাকায় সকলকেই ঐক্যবদ্ধ থেকে দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সকলকেই বলা হয়েছে মাঠে শেষ পর্যন্ত অবস্থান করতে হবে, ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে, ধানের শীষের পক্ষে অবস্থান নিতে হবে, বিদ্রোহী হলে কঠোর ব্যবস্থা এবং নির্দেশনা মেনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য কঠোর বার্তা দেয়া হয়েছে। একই সাথে দলীয় নেতাকর্মীদের মতামত ও বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের জরিপের ভিত্তিতে দলের চেয়ারপারসনের পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সম্ভাব্য প্রার্থীদের কয়েকটি তালিকা করেন। জরিপগুলো করা হয়েছিল সম্ভাব্য প্রার্থীর সাংগঠনিক সক্রিয়তা, তৃণমূল নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে সম্পর্ক, সাধারণ ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার ওপর ভিত্তি করে। সেটির ওপরই ভিত্তি করে প্রার্থীদের প্রত্যয়নপত্র দেয়া হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক নেতা জানান।
এ ছাড়া দলীয় সরকারের অধীনে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়ায় সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে বিশ্বাস করতে পারছে না বিএনপি। সব আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করলে সরকার নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে যে কোনো অজুহাতে প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে বলেও মনে করছেন দলটির সিনিয়র নেতারা। এ জন্য প্রাথমিকভাবে প্রতিটি আসনে একাধিক প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এতে কোনো কারণে একজনকে বাদ দিলেও আরেকজন সুযোগ পাবে। এ ছাড়া নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, প্রাথমিক মনোনয়নের ক্ষেত্রে এক আসনে একাধিক প্রার্থীকে প্রত্যয়ন দেয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের আগে দলের পক্ষ থেকে মনোনয়নের চূড়ান্ত তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হয়। সেখানে যাদের নাম থাকবে, কেবল তারাই শেষ পর্যন্ত ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন, বাকিদের মনোনয়নপত্র বাদ যাবে। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ওই দিনের মধ্যেই একক প্রার্থী চূড়ান্ত করার সময় পাচ্ছে দলটি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা আমাদের দলের থেকে এখন পর্যন্ত মনোনয়ন দিয়েছি প্রায় ৮শ’ মতো। ২০ দলীয় জোটের শরিকদেরও দেয়া হয়েছে। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাদের নিজ নিজ দল থেকে মনোনয়ন দিচ্ছেন। এটা আমরা পরে যখন বাছাই হয়ে যাবে, তখন ঠিক করে নেবো। ২০ দলীয় জোটের শরিকদের কত আসন ছাড়ছেন প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটার সঠিক ফিগার বলতে পারব না। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের কেমন আসন ছাড়া হবে জানতে চাইলে ফ্র্রন্টের মুখপাত্র বলেন, এখন তারা তাদের দল থেকে মনোনয়ন দিচ্ছেন। পরে এটা আলোচনা করে ঠিক করা হবে। তাহলে কী সর্বমোট আসন বণ্টন ৬০-এর বেশি হবে না- এরকম প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, মনে হয়।
যদিও ২০ দলীয় জোটের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী, বিজেপি, খেলাফত মজলিশ, এলডিপি, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, এনপিপি, লেবার পার্টি, সাম্যবাদী দলকে আসন ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। তবে এর সঠিক সংখ্যা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব।
তবে খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, ভোলা-১ আসনে বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, নড়াইল-২ এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, চট্টগ্রাম-৫ আসনে কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম, চট্টগ্রাম- ১৪ আসনে এলডিপির অলি আহমেদ, কুমিল্লা-৭ রেদোয়ান আহমেদ, লক্ষীপুর-১ আসনে সাহাদাত হোসেন সেলিম, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর শাহিনুর পাশা, কুমিল্লা-৬ সৈয়দ মহিউদ্দিন ইকরাম, যশোর-৫ মো. ওয়াক্কাস, খুলনা-৪ রেজাউল করীম, পিরোজপুর-২ আসনে লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, পিরোজপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, গাইবান্ধা-৩ টি আই ফজলে রাব্বী, চাঁদপুর-৩ এস এম এম আলম, কুষ্টিয়া-২ আহসান হাবিব লিংকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ সেলিম মাস্টার ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়নের জন্য প্রত্যয়নের চিঠি নিয়ে গেছেন।
অন্য দিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে বিএনপি ছাড়াও রয়েছে গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও ঐক্যপ্রক্রিয়া। এই জোটের সাথে আসন নিয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনা হলেও এখনো চ‚ড়ান্ত কোনো কিছু জানানো হয়নি ফ্রন্ট এবং বিএনপির পক্ষ থেকে। যদিও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল এবং গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন জানিয়েছেন, আসন ভাগাভাগি নিয়ে কথা হলেও এটা নিয়ে কোনো সঙ্কট বা সমস্যা তাদের মধ্যে নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।