একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন আজ। এর একদিন আগে গতকাল (মঙ্গলবার) দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। সংসদীয় ৩’শ আসনে ৮’শ প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে দলটি। এর আগে গত সোমবার থেকে দলীয় প্রার্থীদের প্রত্যয়নপত্র দেয়া শুরু করে বিএনপি। প্রথম দিনে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য বগুড়া ৬ ও ৭ আসনের মনোনয়নের চিঠি তুলে দেয়ার মাধ্যমে দলের চিঠি দেয়া শুরু হয়। ওই দিন রংপুর, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগ, নোয়াখালী সাংগঠনিক বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগের বেশকিছু আসনে দল মনোনীত প্রার্থীদের হাতে দলের চিঠি তুলে দেয়া হয়। গতকাল দ্বিতীয় দিনে দুপুর পৌনে ১টা থেকে মনোনয়নের চিঠি দেয়া শুরু হয়। এই দিনে ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা, চট্টগ্রাম বিভাগের মনোনীত প্রার্থীদের দলীয় চিঠি দেয়া হয়। আগের দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও এক আসনে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয়। 

দ্বিতীয় ও শেষ দিনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা- খুলনা বিভাগের আসনগুলোর মধ্যে মেহেরপুর-১ আসনে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে মাসুদ অরুণ, মেহেরপুর-২ আসনে আমজাদ হোসেন। কুষ্টিয়া-১ আসনে রেজা আহমেদ, কুষ্টিয়া-২ ফরিদা ইয়াসমিন ও আহসান হাবিব লিংকন, কুষ্টিয়া-৩ অধ্যাপক সোহরাব উদ্দীন ও জাকির হোসেন সরকার, কুষ্টিয়া-৪ সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি ও নুরুল ইসলাম আনসার প্রামাণিক। চুয়াডাঙ্গা-১ শামসুজ্জামান দুদু, ওয়াহিদুল ইসলাম বিশ্বাস ও শরিফুজ্জামান শরিফ, চুয়াডাঙ্গা-২ মাহমুদুল হাসান বাবু। ঝিনাইদহ-৩ মনির খান ও মেহেদী হাসান রনি, ঝিনাইদহ-৪ সাইফুল ইসলাম ফিরোজ। যশোর-১ মফিকুল ইসলাম তৃপ্তি ও জহির উদ্দীন, যশোর-৩ অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যশোর-৪ সুকৃতি কুমার মন্ডল, মতিউর রহমান ফরাজী ও ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, যশোর-৫ আসনে মো. ওয়াক্কাস। মাগুরা-১ মনোয়ার হোসেন। নড়াইল-২ এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। খুলনা-১ আমির এজাজ খান, খুলনা-২ নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা-৩ রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪ আজিজুল বারী হেলাল ও রেজাউল করীম। সাতক্ষীরা-১ মোঃ হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সাতক্ষীরা-২ রহমতুল্লাহ, সাতক্ষীরা-৪ কাজী সালাউদ্দীন
ময়মনসিংহ বিভাগ: জামালপুর-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ও আব্দুল কাইয়ুম, জামালপুর-২ সুলতান আহমেদ বাবু, জামালপুর-৩ মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা, জামালপুর-৪ ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম, জামালপুর-৫ ওয়ারেশ আলী মামুন ও রিয়াজুল হক। শেরপুর-১ আসনে মোঃ হজরত আলী। শেরপুর-১ মোহাম্মদ হযরত আলী, শেরপুর-৩ মাহমুদুল হক রুবেল। ময়মনসিংহ-১ আসনে এমরান সালেহ প্রিন্স, আফজাল এইচ খান, আলী আসগর ও সালমান ওমর রুবেল, ময়মনসিংহ-২ শাহ শাহীদ সারওয়ার ও আবুল বাশার আকন্দ, ময়মনসিংহ-৩ আহম্মেদ তায়েবুর রহমান হিরন, এম ইকবাল হোসেন ও মোঃ আবদুস সেলিম, ময়মনসিংহ-৪ এজেডএম জাহিদ হোসেন ও আবু ওহাব আকন্দ ওয়াহিদ, ময়মনসিংহ-৫ জাকির হোসেন বাবুল, ময়মনসিংহ-৬ আখতারুল আলম ফারুক ও ইঞ্জিনিয়ার শামছউদ্দিন আহমদ, ময়মনসিংহ-৭ মাহবুবুর রহমান লিটন, জয়নাল আবেদীন ও আমিন সরকার, ময়মনসিংহ-৮ শাহ নূর কবির শাহীন ও লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু, ময়মনসিংহ-৯ খুররম খান চৌধুরী ও ইয়াসের খান চৌধুরী, ময়মনসিংহ-১০ মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বাচ্চু ও এবি সিদ্দিকুর রহমান, ময়মনসিংহ-১১ ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চু ও মোহাম্মদ মুর্শেদ আলম। নেত্রকোণা-১ ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, নেত্রকোণা-২ আশরাফুদ্দীন খান ও এবিএম আবদুল বারী, নেত্রকোণা-৩ রফিকুল ইসলাম হেলালি নেত্রকোণা-৪ চৌধুরী আব্দুল্লাহ ফারুক, নেত্রকোণা-৫ আবু তাহের তালুকদার, এ এস এম শহীদুল্লাহ ও রাবেয়া আলী।
ঢাকা বিভাগ: টাঙ্গাইল-১ ফকির মাহবুব আনাম স্বপন ও সরকার শহিদ, টাঙ্গাইল-২ আসনে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও শামসুল আলম তোফা, টাঙ্গাইল-৩ মাঈনুল ইসলাম ও লুৎফর রহমান খান আজাদ, টাঙ্গাইল-৪ ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হালিম মিয়া ও লুৎফর রহমান মতিন, টাঙ্গাইল-৫ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিম, ছাইদুল হক ছাদু ও মেজর মাহমুদুল হাসান, টাঙ্গাইল-৬ নূর মোহাম্মদ খান ও গৌতম চক্রবর্তী, টাঙ্গাইল-৭ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী ও সাঈদুর রহমান। কিশোরগঞ্জ-১ মোহাম্মদ রেজাউল করিম খান, কিশোরগঞ্জ-২ মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান কাকন, কিশোরগঞ্জ-৫ শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল ও মাহমুদুর রহমান উজ্জ্বল, কিশোরগঞ্জ-৬ মোঃ শরিফুল আলম। মুন্সিগঞ্জ-১ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ও মীর সরাফত আলী সপু, মুন্সিগঞ্জ-২ আব্দুস সালাম আজাদ, মুন্সিগঞ্জ-৩ আবদুল হাই। ঢাকা-১ আবু আশফাক ও ফাহিমা হোসাইন জুবিলি, ঢাকা-২ আমান উল্লাহ আমান ও ইরফান ইবনে আমান, ঢাকা-৩ গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা-৪ সালাহউদ্দিন আহমেদ ও তানভির আহমেদ রবিন, ঢাকা-৫ নবীউল্লাহ নবী, ঢাকা-৬ কাজী আবুল বাশার ও ইশরাক হোসেন, ঢাকা-৮ মির্জা আব্বাস, ঢাকা-৯ হাবিব উন নবী খান সোহেল ও আফরোজা আব্বাস, ঢাকা-১০ আব্দুল মান্নান ও ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসিম, ঢাকা-১১ এম এ কাইয়ুম, ঢাকা-১২ সাইফুল ইসলাম নিরব, ঢাকা-১৩ আতাউর রহমান ঢালী ও আবদুস সালাম, ঢাকা-১৪ এস এ সিদ্দিকী সাজু ও আমিনুল হক, ঢাকা-১৫ সাহিদা রফিক ও মামুন হাসান, ঢাকা-১৬ আহসান উল্লাহ, ঢাকা-১৭ ফরহাদ হালিম ডোনার, মেজর (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী ও ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, ঢাকা-১৮ এস এম জাহাঙ্গীর ও বাহাউদ্দীন সাদী, ঢাকা-১৯ দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দীন, ঢাকা-২০ ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান ও তমিজ উদ্দিন। নরসিংদী-১ খায়রুল কবির খোকন, নরসিংদী-২ ড. আব্দুল মঈন খান, নরসিংদী-৩ সানাউল্লাহ মিয়া ও আকরামুল হাসান, নরসিংদী-৪ সাখাওয়াত হোসেন বকুল ও আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, নরসিংদী-৫ মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ও একেএম নেছার উদ্দিন। নারায়ণগঞ্জ-১ কাজী মনিরুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ-২ নজরুল ইসলাম আজাদ ও আতাউর রহমান আঙুর, নারায়ণগঞ্জ-৩ খন্দকার আবু জাফর ও আজাহারুল ইসলাম মান্নান, নারায়ণগঞ্জ-৪ মোহাম্মদ মামুন মাহমুদ ও মোহাম্মদ শাহ আলম, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ।
ফরিদপুর সাংগঠনিক বিভাগ: রাজবাড়ী-১ এড. আসলাম মিয়া ও আলী নেওয়াজ খৈয়ম, রাজবাড়ী-২ নাসিরুল হক সাবু, হারুন আর রশিদ ও এড. আব্দুর রাজ্জাক। ফরিদপুর-১ শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর ও খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, ফরিদপুর-২ শামা ওবায়েদ ও মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ফরিদপুর-৩ চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ও নায়াব ইউসূফ আহমেদ, ফরিদপুর-৪ খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম ও শাহরিয়া ইসলাম শায়লা। গোপালগঞ্জ-১ সেলিমুজ্জামান সেলিম ও এফ ই শরিফুজ্জামান জাহাঙ্গীর, গোপালগঞ্জ-২ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও ডা. কে এম বাবর।
সিলেট বিভাগ : সুনামগঞ্জ-১ আনিসুল হক ও কামরুজ্জামান, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর শাহিনুর পাশা, সুনামগঞ্জ-৪ দেওয়ান জয়নুল জাকেরিন। সিলেট-১ খন্দকার আবদুল মোক্তাদীর, সিলেট-৩ শরীফ আহমেদ চৌধুরী ও আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট-২ তাহমিনা রুশদী লুনা, সিলেট-৬ ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী। মৌলভীবাজার-১ নাসির উদ্দিন আহমেদ, মৌলভীবাজার-২ সুলতান মুহাম্মদ মনসুর (ঐক্যফ্রন্ট), মৌলভীবাজার-৩ নাসের রহমান। হবিগঞ্জ-২ আবু মনসুর সাখাওয়াত হাসান, হবিগঞ্জ-৩ জি কে গউস ও এনামূল হক, হবিগঞ্জ-৪ এসএম ফয়সল।
চট্টগ্রাম বিভাগ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আব্দুস সাত্তার ভূইয়া, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ও শেখ মোহাম্মদ শামীম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ তৌফিকুল ইসলাম মিথিল ও ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহমুদ শ্যামল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ সেলিম মাস্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ তকদীর হোসেন জসিম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ মোহাম্মদ মেহেদী হাসান ও এম এ খালেক। কুমিল্লা-১ ও ২ আসনে ধানের শীষের টিকেট পেয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। কুমিল্লা-৩ শাহিদা রফিক ও কে এম মুজিবুল হক, কুমিল্লা-৫ প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস, কুমিল্লা-৬ হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিন ও সৈয়দ মহিউদ্দিন ইকরাম, কুমিল্লা-৭ এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, কুমিল্লা-৯ আনোয়ারুল আজীম, কুমিল্লা-১০ মোবাশ্বের আলম ভূইয়া। চাঁদপুর-৩ শেখ ফরিদ আহমেদ ও এস এম এম আলম, চাঁদপুর-৫ এম এ মতিন ও ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক। চট্টগ্রাম-১ কামাল উদ্দীন আহমেদ, মনিরুল ইসলাম ইউসুফ ও নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম-২ গোলাম আকবর খন্দকার, মোস্তফা কামাল পাশা, চট্টগ্রাম-৩ নুরুল মোস্তফা, চট্টগ্রাম-৪ আসলাম চৌধুরী, ওয়াই বি সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম-৫ আসনে কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, মীর নাছির উদ্দিন, এস এম ফজলুল হক, ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা ও এস এম ফজলুল হক ফজু, চট্টগ্রাম-৬ গিয়াস কাদের সিদ্দিকী ও সামির কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ মোঃ শওকত আলী নূর, চট্টগ্রাম-৮ এম মোর্শেদ খান ও আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম-৯ ডা. শাহাদাত হোসেন ও শামসুল আলম, চট্টগ্রাম-১০ আব্দুল্লাহ আল নোমান ও মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, চট্টগ্রাম-১১ আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১২ মোহাম্মদ এনামুল হক ও গাজী মোহাম্মদ শাহজাহান, চট্টগ্রাম-১৩ মোস্তাফিজুর রহমান ও সরোয়ার জামাল নিজাম, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে এলডিপির অলি আহমেদ, চট্টগ্রাম-১৬ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। কক্সবাজার-২ আলমগীর ফরিদ, কক্সবাজার-৩ লুৎফর রহমান কাজল, কক্সবাজার-৪ সালাহউদ্দিন আহমেদ ও শাহজাহান চৌধুরী। পার্বত্য খাগড়াছড়ি আসনে আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া, পার্বত্য রাঙামাটি আসনে দীপেন দেওয়ান ও মনি সুপন দেওয়ান, পার্বত্য বান্দবান আসনে সাচিন প্রুে জেরি ও উম্মে কুলসুম সুলতানা।