Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ- দুই বছরের বেশি সাজা হলে ভোটে অযোগ্য

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

নিন্ম আদালতে দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হলে আপিলে বিচারাধীন অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না মর্মে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অবশ্য দন্ড স্থগিত হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোনো বাধা থাকবে না বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। দুর্নীতির দায়ে নিম্ন আদালতের দেয়া দন্ড ও সাজা স্থগিত চেয়ে আমান উল্লাহ আমানসহ বিএনপির পাঁচ নেতার আবেদন খারিজের আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন আদালত।
ফলে আমান উল্লাহ আমারসহ বিএনপির ৫ নেতা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেয়ার পথও আটকে গেল। তবে বিএনপি নেতাদের আইনজীবীরা বলেছেন, তারা এই আদেশের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে যাবেন। আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছে, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দন্ড হলে সেই দন্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিলে ওই দন্ড বাতিল বা স্থগিত হয়।
আদালতে আমান উল্লাহ আমানের পক্ষে শুনানি করেন জাহিদুল ইসলাম। ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের পক্ষে ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আহসানুল করীম ও খায়রুল আলম চৌধুরী । ওয়াদুদ ভুঁইয়া ও আব্দুল ওহাবের পক্ষে ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক, ও ব্যারিস্টার একেএম ফখরুল ইসলাম। মশিউর রহমানের পক্ষে ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। দুদকের পক্ষে মোঃ খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, পাঁচজনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ক্ষেত্রে আদালত বলেছেন, সংবিধানের ৬৬(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ফৌজদারি মামলায় দুই বছরের দন্ডপ্রাপ্ত হলে আপিল বিভাগে তা স্থগিত না হওয়া পর্যন্ত কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধিতে যা কিছুই থাকুক ন কেন, সংবিধানই এখানে প্রাধান্য পাবে। বিএনপির পাঁচ নেতার দুর্নীতির পৃথক মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া দন্ড ও সাজা স্থগিত চেয়ে করা পৃথক আবেদন খারিজ করে কিছু অভিমত দেন আদালত। আসামী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী বলেন, এর আগেও আমরা ভারতসহ বিভিন্ন দেশের নজির দেখিয়েছি। যেখানে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ