Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিকল্প মনোনয়ন কৌশলে ক্ষোভ নয়, আছে টেনশন

চট্টগ্রামে আলোচনায় বিএনপি জোটের প্রার্থিতা

শফিউল আলম | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

নির্বাচন মানেই কৌশলের লড়াই। বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে বিএনপি জোট বেশ কৌশলী পথে হাঁটছে। অধিকাংশ আসনে অতীত নির্বাচনসমূহে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের এবার মনোনয়নে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। সেই সাথে বেশিরভাগ আসনপিছু এক বা একাধিক বিকল্প প্রার্থী মনোনয়ন পেয়েছেন।
উভয় কৌশল অনুসরণের কারণে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মী, সমর্থকদের মাঝে গতকালসহ গত দু’দিনে ক্ষোভ-অসন্তোষ দেখা যায়নি। কেননা বিকল্প প্রার্থী রাখার সুবাদে মনোনয়ন প্রশ্নে বিএনপি দল ও জোটগত সম্ভাব্য বিরোধ, কলহ-কোন্দল, রেষারেষি সতর্কভাবেই এড়িয়ে চলেছে। কারাবন্দী, মামলা-হুলিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের ‘কঠিন বাস্তব পরিস্থিতির’ প্রেক্ষাপটে অনেক আসনেই একাধিক প্রার্থিতা বা বিকল্প রেখেই মনোনয়ন দিতে হয়েছে বলে জানান নগর ও জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা। চট্টগ্রামের বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার বিএনপির ৬ জনসহ জোটের ৮ জন প্রার্থী ও মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতা বর্তমানে কারাগারে আছেন। বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ আগে থেকেই জানিয়ে আসছেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অংশ হিসেবেই তারা এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। তবে বিকল্প মনোনয়ন নিয়ে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মাঝে আছে টেনশন। এলাকাবাসীর কৌত‚হল তুঙ্গে উঠেছে। চাটগাঁর সবখানে এ মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে, বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে কোন নির্বাচনী এলাকায় চূড়ান্তভাবে কে হচ্ছেন জোটগত প্রার্থী। অবশ্য এই প্রশ্নের জবাব পাওয়ার জন্য যথেষ্ট সময়ও রয়েছে। রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমাকৃত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আগামী ৯ ডিসেম্বর। বিএনপি জোটের প্রার্থী মনোনয়নে দলের পুরনো, ত্যাগী ও দুঃসময়ে মাঠে সক্রিয় থাকা নেতাদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এ বিষয়টি দল-জোটের মাঠের কর্মী, সমর্থকদের কাছে ছিল প্রত্যাশিত। ফলে এটি তারা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন।
এদিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর ৩টি আসন, জেলার ১৩ আসন, তিনটি পার্বত্য জেলার তিন আসন মিলিয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ১৯টি নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি জোট মনোনয়ন চ‚ড়ান্ত করতে গিয়ে বেশিরভাগ আসনে বিকল্প এক বা একাধিক প্রার্থী দিয়েছে। দল ও জোটের নেতারা একে বলছেন ‘প্রাথমিক মনোনয়ন’। অপরদিকে গত রোববার আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের মনোনীত প্রার্থীদের নাম প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে চট্টগ্রামে দল বা জোটগত মনোনয়ন-বঞ্চিতদের মাঝে চাপা ক্ষোভ-অসন্তোষ ও হতাশা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
চট্টগ্রামের কয়েকটি আসনে বিএনপি জোটের একক প্রার্থী মনোনয়ন চ‚ড়ান্ত হয়েছে। এরমধ্যে আছেন, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী-খুলশী) আসনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী।
তবে চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই), চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি), চট্টগ্রাম-৩ (স›দ্বীপ), চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুন্ড), চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী), চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান), চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া), চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও ও বায়েজিদ আংশিক), চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া), চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) এবং চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনে বিএনপি ও জোটের পক্ষ থেকে এক বা একাধিক বিকল্প প্রার্থীকে ‘প্রাথমিক মনোননয়নে’র হিসাবে রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগড়া) আসনটি ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জামায়াতের তিন জন নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ