Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাল ছাড়ছেন না তারা

দলের টিকিট না পেয়েও মনোনয়ন জমা করবেন অনেকে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ১৯ আসনে প্রার্থীর দৌড়ে আড়াই শতাধিক নেতা

রফিকুল ইসলাম সেলিম | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

হাল ছাড়ছেন না মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। দলের টিকিট না পেলেও আজ (বুধবার) শেষ দিনে তাদের অনেকে মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন। দেন-দরবার চালিয়ে যাবেন আগামী ৯ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট এবং বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টে মনোনয়ন প্রায় চ‚ড়ান্ত। ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি তাদের প্রার্থীতা ঘোষণা করে দিয়েছে। তবে নাছোড়বান্দা মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার ১৬টি সংসদীয় আসনে প্রার্থী হতে ২৩০ জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। তিন পার্বত্য জেলা বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি মিলে এ সংখ্যা আড়াই শতাধিক ছাড়িয়েছেন। চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন ২৩২ জন। বিএনপির মনোনয়ন পেতে দলের ফরম সংগ্রহ করে মনোনয়ন বোর্ডে হাজির হয়েছেন শতাধিক নেতা। জাতীয় পার্টি, এলডিপি, জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলেরও বিপুল সংখ্যক নেতা এবার মনোনয়ন দৌড়ে সামিল হয়েছেন।
ইতোমধ্যে সরকারি দল আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট ১৯টি আসনে একক প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের তিনটি মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি, জাসদ ও তরিকত ফেডারেশনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে প্রতি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন গড়ে ১৪ জনের বেশি। শরিক দলকে ছেড়ে দেয়ায় তিনটি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিতরা ক্ষুদ্ধ। তাদের অনেকেই মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ও কোষাধ্যক্ষ সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামও মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তারা ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন পত্রও সংগ্রহ করেছেন।
মহাজোটের শরিক তরিকত ফেডারেশনকে ছেড়ে দেয়ায় চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে সর্বোচ্চ ২৬ জন নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তাদের অনেকেই মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন। এছাড়া দলীয় কোন্দলে জর্জরিত চট্টগ্রাম-৩ (স›দ্বীপ), চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুন্ড), চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী)সহ বিভিন্ন আসনে বঞ্চিতরা মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে পারেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিদ্রোহী হলে তাকে চিরতরে দল থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেয়া হয়েছে। এরপরও অনেকে মনোনয়ন পত্র দাখিল করবেন। তারা বলছেন, শেষ মুহূর্তে হয়তো দলের টিকিট পেতে পারেন এমন প্রত্যাশা থেকেই মনোনয়ন পত্র জমা করবেন।
বিএনপির প্রার্থী তালিকায় বিকল্প হিসেবে একাধিক নাম রাখা হয়েছে। তারা সবাই মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন। চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৯টি আসনের মাত্র দু’টিতে শরিকদের ছাড় দিচ্ছে বিএনপি। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৯টি আসনে জাতীয় পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট, ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, নেজামে ইসলাম পার্টি ছাড়াও বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতারা ইতোমধ্যে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র হিসেবেও অনেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। মহানগরীর চারটি সংসদীয় আসনের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে হবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে। জেলার বাকি ১২টি আসনের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে হবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।
মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহন সহকারে মিছিল এবং শোডাউন না করার জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা দিয়েছে। এ ধরনের শোডাউন বন্ধে আজ মাঠে থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ