নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
যে কোন ধরণের জয়-পরাজয়ের প্রশ্নে মনের নিয়ন্ত্রণ খুবই মুখ্য একটা ব্যাপার। মনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জয়ের কাছে গিয়েও পরাজয়ের মাল্য বরণ করার ঘটনা প্রায়-ই দেখা যায়। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য তো ব্যাপারটা আরো সত্যি। যে কারণে কদিন আগে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা শরণাপন্ন হয়েছিলেন মনোবিদ আজহার আলীর। শুধু বাংলাদেশ নয়, ক্রিকেটে মনোবিদের ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে বিশ্বের অনেক দেশেই। এরই ধারাবাহিকতায় এবার মনোবিদের দ্বারস্থ হতে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল।
বাংলাদেশে মনোবিদ আনা হয়েছিল মূলত ‘জেতা ম্যাচ হেরে আসা’র সমাধান খোঁজার লক্ষ্যে। পাকিস্তানের লক্ষ্যও একই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলমান প্রথম টেস্টে জয়ের খুব কাছে গিয়েও জিততে পারেনি পাকিস্তান, হেরে যায় মাত্র চার রানে। অথচ ম্যাচটি পুরোপুরি ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণে। ঐ হারের পর দলের খেলোয়াড়দের জয়ের মানসিকতা কতটুকু রয়েছে সেটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্বয়ং দরটির কোচ মিকি আর্থার। যে কারণে এই উদ্যোগ।
তবে কোচের এই উদ্যোগ ভালোভাবে নিচ্ছেন না অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ, ‘আমি ব্যাপারটা সম্পর্কে খুব কমই জানি। আমি আসলেই জানি না তিনি (মনোবিদ) কীভাবে আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন। আমি আমার ক্যারিয়ারে কখনও মনোবিদের সঙ্গে কাজ করিনি। তাই আমি বলতে পারছি না মনোবিদের সঙ্গে কাজ করলে কী লাভ।’ তবে ব্যাটসম্যানদের দায় যে রয়েছে, সেটি পুরোপুরি এড়িয়েও গেলেন না সরফরাজ। তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানেরা বড় ইনিংস খেলতে পারছে না, তারা রান তাড়া করতে গিয়ে চাপে ভেঙে পড়ছে, উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসছে। ব্যাটসম্যানদের এই বদ অভ্যাসটা দূর করতে হবে।’
‘আনপ্রেডিক্টেবল দল’ খ্যাত পাকিস্তান অবশ্য এর আগেও মনোবিদের দ্বারস্থ হয়েছিল, সেটি বেশ কয়েক বছর আগে। তাতেও কোনো উন্নতি হয়েছে বলে মনে হয়নি। ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে একজন মনোবিদ খেলার উন্নতির পাশাপাশি মানসিক ও চারিত্রিক উন্নতি নিয়েও কাজ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।