বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোরে শহরতলী ঝুমঝুমপুর এলাকায় মুস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার সকালে শহরতলীর ঝুমঝুমপুর ঈদগাহ মাঠের সামনে আব্দুল হাইয়ের মার্কেটে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে গলায় রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।
শহরের এক নারীর সাথে পরকীয়া এবং ঋণগ্রস্থ হওয়ার কারণে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
মৃত মুস্তাফিজুর রহমান শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
মৃতের স্ত্রী হাসনা হেনা জানিয়েছেন, শহরতলীর ঝুমঝুমপুর ঈদগাহের সামনে তার স্বামীর ‘বিসমিল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বাতিঘর’ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মেয়ে অনার্সে ও ছেলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।
হাসনা হেনা বলেন, ‘স্বামী মুস্তাফিজুর রহমান প্রতিদিন সকালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলে যান। গত ২২ নভেম্বর সকালে বাড়ি থেকে যাওয়ার পরে আর বাড়িতে ফেরেননি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়ে তার কোনো সন্ধান পাইনি। এ কারণে ২৩ নভেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এরপরও তার সন্ধান না পাওয়ায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।’
তিনি জানান, আজ মঙ্গলবার সকালে দোকানের আশপাশের লোকেরা ভেতর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে তাদের বাড়িতে সংবাদ দেয়। এরপর তিনিও সেখানে গিয়ে দুর্গন্ধ পেয়ে দোকানের শাটার ভেঙে দেখেন, গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় স্বামীর লাশটি অর্ধগলিত অবস্থায় ঝুলন্ত রয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
হাসনা হেনা জানান, উপশহর সারথী মিল এলাকার এক নারীর সাথে তার স্বামী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে কিছু দিন আগে স্থানীয় শালিস বিচারের মাধ্যমে ওই নারীকে দেড় লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া, তার স্বামী ইসলামী ব্যাংক থেকে ৬ লাখ এবং ব্রাক ব্যাংক ৪ লাখ ঋণ নিয়েছেন। সেই ঋণের দায়ে অথবা পরকীয়ার বিষয়ে শালিস বিচারের কারণে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
দোকানের কর্মচারী জাবেদ জানান, মুস্তাফিজুর রহমান বৃহস্পতিবার কর্মচারীদের বেতন দিয়ে রাতে চাবি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে যান। তারপর থেকে দোকান এবং তার ব্যবহৃত মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই খবির হোসেন জানিয়েছেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্সসহ শহরতলীর ঝুমঝুমপুর ঈদগাহের সামনে যান। সেখানকার বিসমিল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বাতিঘরের মধ্যে থেকে মুস্তাফিজুর রহমানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।