পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়নের চিঠি তুলে দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতোদিন দলীয় মনোনয়নের চিঠিতে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাক্ষরে চিঠি নিতেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এবার মির্জা ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষর করে বেগম জিয়ার মনোনয়নের চিঠি বগুড়ার নেতাদের হাতে তুলে দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় প্রায় দুই-তিন মিনিট তিনি কোন কথায় বলতে পারেননি। তার কান্না দেখে উপস্থিত নেতাকর্মীদেরও চোখের পানি মুছতে দেখা যায়। গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এসময় বগুড়ার দুটি আসনে তার পক্ষে জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু মহাসচিবের কাছে থেকে প্রত্যয়নপত্র গ্রহণ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে যখন আমি আপনাদের সামনে এসেছি, অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে। এই প্রথম আমরা একটা নির্বাচন অংশ নিতে চলেছি আমাদের চেয়ারপারসনকে ছাড়া। কান্না চাপতে না পেরে এক পর্যায়ে তিনি টিভি ক্যামেরা বন্ধ রাখতে অনুরোধ করেন এবং পকেট থেকে রুমাল বের করে চোখ মোছেন। পরে বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) কারাগারে। সরকারের প্রচন্ড প্রতিহিংসামূলক মামলা ও কলা কৌশলে তাকে কারাগারে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। আমরা দেশনেত্রীর মনোনয়নপত্র তার প্রতিনিধিদের কাছে তুলে দিয়ে এই কার্যক্রমের সূচনা করছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, কেবল খালেদা জিয়া নয়, বিএনপি ও বিরোধী দলের ‘অসংখ্য’ নেতাকর্মীকে কারাগারে রাখা হয়েছে, তারা ‘নির্যাতনের শিকার’ হচ্ছেন। দেশে এখন সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নেই। প্রশ্ন আসবে- তারপরও আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি কেন? নির্বাচনে যাচ্ছি দুটি কারণে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা একটি আন্দোলন সৃষ্টি করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাই, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, মানুষের ভোটাধিকার ফেরত আনতে চাই। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়ে এর মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, একটি দাবিতে সবাই একমত, দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারকে দূর করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা প্রত্যেকটি আসনে দুইজন করে প্রার্থীকে প্রাথমিক মনোনয়ন দিচ্ছি। কোনো কারণে একজনের না হলে পরেরজন যাতে সুযোগ পান। আর আমাদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ যেখানে যারা আছেন, সেখানে তারাই মনোনয়ন পেয়েছেন। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।