পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার একক সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। সংবিধানের কোথাও ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা নেই উল্লেখ করে এই সিদ্ধান্ত থেকে ইসিকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আইনজীবীরা। ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের অভিযোগ নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারি চিঠিতে দলীয় স্লোগান ব্যবহার করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বিনষ্ট করা হচ্ছে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর দেয়া পৃথক দুটি চিঠিতে এসব অভিযোগ তুলেছে ঐক্যফ্রন্ট ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। নির্বাচনের ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার কাছে পাঠানো হয়। সমিতির পক্ষে সহসভাপতি ড. মো. গোলাম রহমান ভ‚ঁইয়া, ট্রেজারার নাসরিন আক্তার ও অ্যাডভোকেট মো. আহসান উল্লাহ ইসির প্রাপ্তি জারি শাখায় চিঠিটি জমা দেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের সংবিধানের নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে ইভিএম ব্যবহারের একক সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘন করছেন। কারণ বাংলাদেশের সংবিধানের কোথাও ইভিএম এর মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো কথা নেই। চিঠিতে বলা হয়, আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করছি যে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে কমিশন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। পর্যবেক্ষকদের বলেছেন তারা ‘ভোটকেন্দ্রে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকবেন’। ম্যাজিস্ট্রেটদের বলেছেন প্রিসাইডিং অফিসারের অনুমতি ছাড়া ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। ওই অনুষ্ঠান থেকে সাংবাদিকদের বের করে দেয়া হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পরও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিচ্ছে, গ্রেফতার করছে। পুলিশ যা কিছু করছে তা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশেই করছে। এতে করে ফেয়ার নির্বাচন নিয়ে সংশয় রয়েছে। চিঠিতে, দেশ ও জনগণের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ভ‚মিকা রাখতে এবং ইভিএম ব্যবহারের একক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়।
এদিকে সরকারি চিঠিতে দলীয় স্লোগান বাদ দেয়ার দাবি জানিয়ে গতকাল সিইসিকে চিঠি পাঠায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তিসরকার এ সংক্রান্ত চিঠিটি নির্বাচন কমিশনে জমা দেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের বিভিন্ন চিঠিপত্রে একটি কমন স্লোগান রাখা হচ্ছে। আগে যেমন পরিবার পরিল্পনার বিষয়ে একটি কমন স্লোগান থাকতো যেমন- ‘ছেলে হোক, মেয়ে হোক দুইটি সন্তানই যথেষ্ট’। বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্যাডের উপর এই স্লোগানগুলো আছে- ‘উন্নয়নের গণতন্ত্র, শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র’। সরকারি দপ্তর থেকে যে চিঠিগুলো দেয়া হয়, সেই চিঠিগুলোতেও এই স্লোগানের সিল মারা হচ্ছে। আবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সরকারি প্যাডের উপর এই স্লোগানটি টাইপ করা আছে। নির্বাচনের সময়ে আমরা এগুলোকে পরিহার করতে বলেছি। বিজন কান্তি সরকার বলেন, পুলিশ এখনও প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা কি করে, তাদের ছেলেমেয়েরা কি করে, আতীয়রা কি করে তার খোঁজ নিচ্ছে। এতে তারা বিব্রত হচ্ছে ও ভয় পাচ্ছে। অনেকে এই দায়িত্ব থেকে তাদের অব্যাহতি দিতে বলছে। আমাদের মনে হয় ইসি তালিকাটি চূড়ান্ত করে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। পুলিশ এ তালিকা সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে সরকারের হয়ে পক্ষপাতমূলক কাজ করছে। ফলে আমরা চাই এই তালিকা যেনো পুননির্ধাারণ করে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের এই দায়িত্ব দেয়া হোক এবং আগামী ১০ তারিখের আগে যেনো এই তালিকা চূড়ান্ত করা না হয়, এবং তালিকা চূড়ান্ত করার পর যেনো তা প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে দেন।
এছাড়া ব্যাংকগুলোর করপোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) ফান্ড থেকে গরীবদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। এখন এ কম্বলগুলো এমপিদের মাধ্যমে বিতরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গরীব মানুষেরা কম্বল না পাক এটা আমরা চাই না। তবে আমরা চাই এমপিরা বিতরণ না করে এগুলো ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিতরণ করেন এবং স্থানীয় নেতারা এতে সম্পৃক্ত না থাকেন। ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনোভাবেই যেনো নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না হয়। এটি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হলেও আমরা চাইবো নির্বাচন কমিশন যেনো এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।