পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ কার্যক্রমকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য এবং সব দল ও প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে নির্বাচনের মাঠে দু’দফায় দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা। দু’দফায় নিয়োগ পেতে যাওয়া ৩০০ সংসদীয় আসনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৭১৫জন, বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ৮৮৫ জন। মোট এক হাজার ৬০০ জন ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী মাঠে থাকছেন।ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট এসব কর্মকর্তাদের মনোনয়ন প্রক্রিয়া চ‚ড়ান্ত করতে নিজ নিজ সংস্থায় পত্র দিয়েছে ইসি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে শিগগিরই আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে নির্বাচনের মাঠে দেখা যাবে এসব ম্যাজিস্ট্রেটদের।
নির্বাচন পূর্ব-অনিয়ম তদারকির জন্য তফসিল ঘোষণা থেকে ভোটগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণের আগে-পরে চারদিনের জন্য মাঠ প্রশাসনের এসব কর্মকর্তারা নির্বাচনের মাঠে কাজ করবেন।
নির্বাচন কমিশন সচিব মো হেলালুদ্দীন আহমদ ইনকিলাবকে বলেন, নির্বাচন পূর্ব-অনিয়ম লঙ্ঘন করলে তাদের সংক্ষিপ্ত বিচারের মাধ্যমে সাজা দেবেন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা। আর নির্বাচনের প্রচারণার সময় আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থী, তাদের কর্মী-সমর্থকরা আইন অমান্য করলে সেটি ভ্রাম্যমান আদালতের নজরে পড়লে তাৎক্ষণিক সাজাসহ অর্থেও জরিমানা করতে পারবেন। একই ভাবে, ভোটের আগে-পরে যেসব ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হবে তারা ভোটের দিন কেন্দ্রদখল, জোরপূর্বক ক্ষমতার অপ্রয়োগ করার চেষ্টা করলে এসব তাদের জরিমানাসহ সাজা দিতে পারবেন। তিনি বলেন, নির্বাচন সব দল ও প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি এবং অশুভ তৎপরতা রোধে এসব ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করবে। কমিশন থেকে ইতোমধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্বাচনের বিধি-বিধান এবং দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পূর্ব-অনিয়ম প্রতিরোধ, প্রার্থীদের আচরণ বিধি ভঙ্গ তদারকি এবং ক্ষমতার অপ্রব্যবহার নিয়ন্ত্রনে দু’টি নির্বাচনী তদন্ত কমিটি (ইলেকট্রেরাল ইনকোয়ারী কমিটি) গঠন করা হয়েছে। একটি কমিটি নির্বাচন-পূর্ব-অনিয়মগুলো আমলে নিয়ে সামারি ট্রায়ালের মাধ্যমে শাস্তি ও জরিমানা প্রদান করবে অপরাধীর। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৩০০ সংসদীয় আসনের জন্য ১২২টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সেখানে একটি কমিটির জন্য দু’জন সদস্য অর্থাৎ ২৪৪জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হচ্ছে। গত ২৫ নভেম্বর এসব ম্যাজিস্ট্রেটদের মনোনয়ন চ‚ড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন পূর্ব-অনিয়মগুলো আমলে নিয়ে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন। একই ভাবে, ভোটগ্রহণের আগে-পরে সব সংসদীয় আসনের জন্য আরো ৬৪০ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করবে কমিশন। এসব ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাচনকালিন সংঘটিত অপরাধসমূহ আমলে নেয়া এবং সংক্ষিপ্ত বিচার সম্পন্নের জন্য ভোটের আগের দিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে দুইদিনসহ মোট চারদিন নির্বাচনের মাঠে দায়িত্ব পালন করবে।
আগামী ৯ ডিসেম্বর ৩০০ সংসদীয় আসনের প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেবে ইসি। একই সঙ্গে ওই দিন থেকে প্রার্থীদের প্রচারণা শুরু হয়ে যাবে। ভোটের ৩৬ ঘন্টা আগে এ প্রচারণা থেমে যায়। এ সময় পর্যন্ত রাজনৈতিক দল সমর্থিত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিরামহীন প্রচারণায় মেতে থাকেন। পাল্টাপাল্টি বক্তব্য, তির্যক বাক্য-বিনিময় এবং একে অন্যকে ঘায়েল করতে তৎপর থাকেন তারা। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি আচরণ বিধি লঙ্ঘিত হয়। এসব বিধি ভঙ্গ মনিটরিং করার জন্য নির্বাচনের মাঠে থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
নির্বাচন কমিশন ৩০০ সংসদীয় আসনের জন্য ৭১৫ জন মাঠ প্রশাসনের এসব সদস্যদের নিয়োগ করতে যাচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় ১ জন করে,সিটি করপোরেশন এলাকায় ভৌগলিকভাবে পাশাপাশি অবস্থিত প্রতি ৩-৪টি ওয়ার্ডের জন্য ১ জন করে, সিটির বাইরে জেলা সদরে প্রতি পৌর এলাকায় ১-২জন করে এবং পার্বত্য এলাকায় ভৌগলিকভাবে পাশাপাশি অবস্থিত ৩-৪ উপজেলার জন্য ১ জন করে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনী এলাকায় মোবাইল টিমের সদস্য হিসেবে ঘূরে ঘূরে অপরাধ পর্যবেক্ষণ করবে এবং বিধি-ভঙ্গ নজরে এলে তাৎক্ষণিক সাজা দেবেন এসব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।