পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পক্ষপাতিদুষ্ট জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের বদলির দাবি জানিয়েছেন ২০ দলীয় জোট। একই সঙ্গে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীদের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ না দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। নির্বাচালীন সময় মন্ত্রী ও সিনিয়র নেতারা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য স্পেশাল ব্রাঞ্চের নিরাপত্তা রক্ষী পেয়ে থাকেন। একইভাবে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সকল সদস্যসহ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিরাপত্তা বাহিনী দেয়ার দাবি করা হয়েছে।
গতকাল রোববার বিকালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ২০ দলীয় জোটের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়ম মোহাম্মদ ইব্রাহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দলের প্রধান ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপির) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ সাংবাদিকদের একথা বলেন।
প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে অলি আহমদ বলেন, ইসি গুলো বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমরা বিতর্কিত কর্মকর্তাদের শাস্তি চাই না। বদলি চাই। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে এক জেলার কর্মকর্তাদের অন্য জেলায় বদলি করা জরুরি। এখনও সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। পুলিশ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। ইসির নির্দেশনার মাঠ পর্যায়ে কোনো প্রতিফলন নেই।তিনি বলেন, এখনও সারাদেশে গায়েবি মামলায় বিএনপির নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এসব মামলায় কোনো আসামীর নাম উল্লেখ না থাকায়, নির্বাচনের আগে পুলিশ বিএনপির এজেন্টদের এসব মামলায় গ্রেফতার দেখাবে। তাই আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব মামলা স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজকের দিন পর্যন্ত প্রমাণ করতে পারেনি ইসি সুষ্ঠুভাবে কাজ করছে বা তারা নিরপেক্ষভাবে। তাদের সীমাবন্ধতা আছে সেটা আরা জানি । তবে আমরা যে ১৩টি প্রস্তাব এনেছি তাতে ইসি একমত হয়েছে। ইসির সঙ্গে বৈঠকে তারা একটি লিখিত দাবি জানান। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-জাতীয় ঐক্যফন্টের পক্ষ থেকে কয়েক দিন আগে নির্বাচন কমিশনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের তালিকা দেয়া হয়েছিল তাদের নির্বাচনকালীন সময়ে অন্যত্র বদলির করার দাবি জানিয়ে বিশ দলীয় জোটের প্রতিনিধি দল। তারা দাবি করেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য অতীতে এধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে ইসি। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, রিটার্নি কর্মকতৃাদের দায়িত্বপালন করা অনেক কর্মকর্তাকেই সরকারি দলের প্রার্থীকে জয়ী করার জন্য রাতের আধারে ব্যালট পেপারে ভোট কাষ্ট করে রাখেন। চাকরির রক্ষার জন্য অনেক সময় তারা এই রকম অনৈতিক কাজে আত্মসমর্পন করেন। এধরনের কর্মকান্ড এড়াতে ইসির আগে থেকেই ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
সরকার একটি দুরভিসন্ধি ও নীলনকশার নির্বাচন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিনিয়তিই বিরোধী দলের নেতা কর্মীদেরে গ্রেফতার করছে, ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। এই ধরনের কর্মকান্ড বন্ধে নির্বাচন কমিশনকে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে। এভাবে চললে নির্বাচন বানচাল হতে পারে। ইসির নির্দেশনা সত্তে¡ও সরকারের এমপি মন্ত্রীরা সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করে নির্বাচনী এলাকা প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। কমিশনকে এ ক্ষেত্রে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযোগ করে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার এএসপির স্ত্রী ফাতেমা তুজ জোহরা আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি। সস্প্রতি সন্তানসহ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি ছবি তুলেছেন তারা। এমন অবস্থায় ইচ্ছা থাকা সত্তে¡ও তার পক্ষে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব না। নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারি রেডিও ও টেলিভিশনে ইসি নিয়ন্ত্রণে থাকা বাঞ্চনীয় বলে মনে করে বিশ দলীয় জোট। বেসরকারি গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ইসির তরফ থেকে একটি গাইডলাইন করা প্রয়োজন।
নির্বাচনকালীন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের গ্রেফতারের ক্ষমতা দিয়ে পুলিশের মত একটি সশস্ত্র বাহিনীকেও দায়িত্ব দেয়া দরকার। ১৫ ডিসেম্বর হতে নির্বাচনী এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা প্রয়োজন। প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় পূর্ণ ক্ষমতাসহ ১১ ডিসেম্বর হতে ম্যাজিট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন। ভোটের দিন এই সংখ্যা বাড়ানো দরকার। এত টাকা ব্যয় করে জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইভিএম ব্যবহার করা উচিত নয়। এটি বন্ধ করুন।
নির্বাচালীন সময় মন্ত্রী ও সিনিয়র নেতারা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য স্পেশাল ব্রাঞ্চের নিরাপত্তা রক্ষী পেয়ে থাকেন। একইভাবে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সকল সদস্য সহ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিরাপত্তা দেয়া যুক্তিযুক্ত। তা না হলে ইসি পক্ষপাাতিত্ব করছে বলে মনে হবে। অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো বিরোধী দলের দাবি দাওয়া শুনত ও ব্যবস্থা নিত। সেইভাবে এখন ইসি এই ব্যবস্থা নিতে পারে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিশ দলের একটি প্রতিনিধি দল ইসিতে গেছেন। নির্বাচনি আচরণ বিধি পালন নিয়েও তারা আলোচনা করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।