পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা বাহিনী শুধু জেলা সদরে বসে থাকবে না। কোনো সহিংসতা ঘটনা ঘটলে সেখানে নিজ উদ্যোগে গিয়ে তা প্রতিহত করবে। এরকম ঘটনা হলেই সেনাবাহিনী তা প্রতিহত করবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম।
গতকাল রোববার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা সঙ্গে বৈঠক করার পরে সাংবাদিকদের একথা বলেন। হাফিজ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির মহাসচিবের নির্দেশে আমি সিইসির সঙ্গে সাক্ষাত করেছি। আমি সিইসিকে বলেছি নির্বাচনে সেনাবাহিনী জেলা সদরে চুপ করে বসে থাকবে, নাকি তারা ফ্রিলি মুভ করবে। একটি এলাকায় ভোট কেন্দ্রের এক মাইল দুরে ভোটারদের কেন্দ্রের আসতে বাধা দেয়া হলে তখন ভূমিকা কী হবে। জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা আশ্বস্ত করেছেন, সেনাবাহিনী নির্বাচনী এলাকায় মুভ করবে। তারা জেলা সদরে চুপ করে বসে থাকবে না। যেখানেই সন্ত্রাস হবে, দে উইল রান ফর দ্যাট।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিবের নির্দেশে আমি সিইসির সঙ্গে সাক্ষাত করেছি। সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তারা এলাকা ছাড়া। আমি নিজে ছয় বার নির্বাচনে জয়ী হয়েছি। এখন এলাকায় যেতে পারছি না। আমার মতো অনেক নেতা এলাকার বাইরে আছেন। আমার নির্বাচনী এলাকা ভোলা-৩। এই আসনে তফসিল ঘোষণার পর হয়রানিমূলক যে সব মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, তা সিইসিকে জানিয়েছি।
তিনি বলেছেন, পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসনক এবং জেলা পুুিলশ সুপারকেও তিনি এ বিষয়ে নির্দেশ দেবেন। সিইসি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, নির্বাচনে কোনো ধরণের সহিংসতা বরদাশত করবেন না। ইভিএম প্রসঙ্গে হাফিজ উদ্দিন বলেন, সারাবিশ্বে ইভিএম একটি বিতির্কিত ভোটিং মেশিন। জার্মানি এটা বাদ দিয়েছে। পার্শ্ববর্তী ভারতের কয়েকটি রাজ্যে কেবল এই মেশিন চালু আছে। উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই ভোটযন্ত্র ব্যবহার হচ্ছে না। ইউরোপিয় ইউনিয়নের অধিকাংশ দেশেই এটা নাই। আশাকরছি, আগামী নির্বাচনে এই মেশিন ব্যবহার না করার বিষয়ে আমাদের দাবির পুনর্বিবেচনা করবে নির্বাচন কমিশন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর ভোট হবে। এর আগে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা, ২ ডিসেম্বর বাছাই ও ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।