পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘এ কোন সকাল রাতের চেয়েও অন্ধকার/ ও কি সূর্য নাকি স্বপনের চিতা / ও কি পাখির কূজন নাকি হাহাকার’। জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের এই গান যেন আছড়ে পড়ছে সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদের প্রেসিডেন্ট পার্কে।
আওয়ামী লীগের ২৩০ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করায় অন্ধকার নেমে এসেছে জাতীয় পার্টির ঘরে ঘরে। নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে মহাজোটে থেকে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীরা নির্বাচন করবেন কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে জনমতের বাইরে গিয়ে ক্ষমতাসীন দলের বি-টীম হিসেবে রাজনীতি করার মাসুল হারে হারে টের পাচ্ছেন এরশাদ। ৫ জানুয়ারীর বিতর্কিত নির্বাচনে জাতীয় পার্টি পায় ৩৬টি আসন। পরবর্তীতে সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৬ জন মিলে দলটির বর্তমান সংসদ সদস্যের সংখ্যা ৪২ জন। অথচ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে দলটিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে মাত্র ২২টি আসন। ‘এরশাদের ঘাটি’ খ্যাত রংপুর জেলার ৬টি আসনের মধ্যে এরশাদ দাবি করেছিল ৪টি আসন। কিন্তু দেয়া হয়েছে ৩টি। অনুনয় বিনয় করেও একটি আসন ছাড়তে রাজি হয়নি মহাজোটের প্রধানা শরীক দল আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টির নেতারা জানান, ঢাকা-৪, ঢাকা-৬, ঢাকা-১৭সহ যে সব আসন জাতীয় পার্টিকেম ছেড়ে দেয়া হয়েছে রংপুর বিভাগ ছাড়া সবগুলো আসন আওয়ামী লীগের জন্য ঝুকিপূর্ণ।
সুত্র জানায়, জাতীয় পার্টির নেতারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে যে সব আসন চায় সেগুলো হলো ঢাকা-১ অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, ঢাকা-৪ সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ঢাকা-৫ মীর আবদুস সবুর আসুদ, ঢাকা-৬ কাজী ফিরোজ রশীদ, ঢাকা-১৩ সফিকুল ইসলাম সেন্টু এবং ঢাকা-১৭ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। নরসিংদী-২ নেওয়াজ আলী ভূইয়া, ময়মনসিংহ-৪ রওশন এরশাদ, ময়মনসিংহ-৫ সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, ময়মনসিংহ-৮ ফখরুল ইমাম, কিশোরগঞ্জ-৩ মজিবুল হক চুন্নু, নারায়ণগঞ্জ-৩ লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ সেলিম ওসমান, মুন্সিগঞ্জ-১ অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জ-২ মোঃ নোমান মিয়া, টাঙ্গাইল-৫ পীরজাদা মনির হোসেন, জামালপুর-২ মোস্তফা আল মাহমুদ, জামালপুর-৩ এমএ সাত্তার, জামালপুর-৪, চট্টগ্রাম-৫ ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম- ৮ স উম মাসুদ, চট্টগ্রাম- ৯ জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, চট্টগ্রাম-১২ এমএ মতিন (ইসলামী ফ্রন্ট), কক্সবাজার-২ আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোহিবুল্লাহ, নোয়াখালী-১ আলহাজ্ব আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক (ইসলামী মহাজোট), ফেনী-৩ লে. জে.(অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, কুমিল্লা-২ আমির হোসেন ভূইয়া, কুমিল্লা-৪ অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, কুমিল্লা-৮ নরুল ইসলাম মিলন, চাঁদপুর-৫ মাওলানা আবু সুফিয়ান আল কাদেরী (ইসলামী মহাজোট), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ অ্যাডভোকেট ইসলাম উদ্দিন দুলাল (ইসলামী ফ্রন্ট), রংপুর-১ মশিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর-২ অধ্যাপক আসাদুজ্জামান চৌধুরী সাবলু, রংপুর-৩ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, রংপুর-৪ মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল, রংপুর-৫ ফকরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, কুড়িগ্রাম-১ মোস্তাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম-২ পনিরউদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রাম-৩ ডা. আক্কাস আলী, লালমনিরহাট-১ মেজর অব. খালেদ আখতার, লালমনিরহাট-২ রোকন উদ্দিন বাবুল, লালমনিরহাট-৩ গোলাম মোহাম্মদ কাদের, নীলফামারী-১ জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, নীলফামারী-৪ শওকত চৌধুরী, গাইবান্ধা-১ ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি, গাইবান্ধা-৩ ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার। রাজশাহী-৩ শাহবুদ্দিন বাচ্চু, নাটোর-২ মজিবুর রহমান সেন্টু, বগুড়া-২ শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৬ নুরুল ইসলাম ওমর, জয়পুরহাট-২ কাজী আবুল কাশেম রিপন, ঠাকুরগাঁও-৩ হাফিজউদ্দিন আহমেদ, দিনাজপুর-৬ দেলোয়ার হোসেন, সিলেট-২ ইয়াহহিয়া চৌধুরী, সিলেট-৫ সেলিম উদ্দিন,সুনামগঞ্জ-৪, পীর ফজলুর রহমান মিজবাহ, হবিগঞ্জ-১ আব্দুল মুনিম চৌধুরী বাবু, হবিগঞ্জ-৩ আতিকুর রহমান আতিক, বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রত্মা, পটুয়াখালী-১ এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, পিরোজপুর-৩ ডা. রুস্তম আলী ফরাজী, বরগুনা-২ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, সাতক্ষীরা-১ সৈয়দ দিদার বখত, বাগেরহাট-৪ সোমনাথ দে। কিন্তু আওয়ামী লীগ থেকে ২২টি আসন চূড়ান্ত করা হয়। তবে আরো চার থেকে পাঁচটি আসন দেয়া হতে পারে বলে গুজব রয়েছে। জাপার একাধিক নেতা জানান, ওবায়দুল কাদেরের মহাজোট শরীকদের ৭০ আসনের বেশি না দেয়ার ঘোষণার পরও আশায় বুক বেধে ছিল জাপার নীতি নির্ধারকরা। তাদের প্রত্যাশা ছিল প্রধানমন্ত্রী হয়তো আরো কিছু আসন দেবে। কিন্তু মহাজোটের প্রধান শরীক আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণার পর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়, কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং বারীধারার দুতাবাস রোডে এরশাদের বাড়ি ‘প্রেসিডেন্ট পার্কে’ গতকাল দুপুরের রাতের অন্ধকার নেমে আসে। এ নিয়ে জাতীয় পার্টির নীতি নির্ধারকরা কথা না বললেও একাধিক নেতা জানান, পরিস্থিতি যে ভাবে জটিল হচ্ছে তাতে শেষ পর্যন্ত এরশাদ একক ভাবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিতে পারেন। সুত্র জানায়, ইতোমধ্যেই তিনশ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করে রেখেছেন এরশাদ। অনেক প্রার্থীকে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়া ইংগিতও দেয়া হয়েছে। তবে হতাশায় হাবুডুবি খাওয়া সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ আরো দু’একদিন দেখতে চাচ্ছেন। এক নেতা জানান, মহাজোট থেকে ভোট করতে হলে ৫২ আসনের একটিও কম নেবেন না এরশাদ। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় পার্টির এক নেতা বলেন, পরমুখাপেক্ষী হয়ে রাজনীতি করার যন্ত্রণা হারে হারে টের পাচ্ছেন এরশাদ। সুবিধাবাদের রাজনীতির এই পরিণতি আগামী দিনে রাজনীতিকদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।