পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেটে আ.লীগের ঘোষিত প্রার্থীদের নিয়ে তৃণমূলে রিলাক্স মুডে রয়েছে বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট। বেশিরভাগ প্রার্থীদের নাম প্রকাশে খোদ দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে হতাশা ও ক্ষোভ। দলের সক্রিয় বেশিরভাগ নেতাকর্মীর মন ভেঙে গেছে।
জনপ্রিয়তা ও জরিপের কোন হিসেব আমলে না নিয়ে প্রার্থী মনোনয়নে চিন্তিত নেতাকর্মীরা। তবে ড. একে আব্দুুল মোমেন ও ড.ফরাস উদ্দিনের প্রার্থীতায় নেতাকর্মীরা উৎসাহ উদ্দীপনায় রয়েছেন। ড. একে এম মোমেন সিলেট-১ ও ড.ফরাস উদ্দিন হবিগঞ্জ-৪ আসনে লড়বেন। এই বার্তা ইতিবাচক প্রভাব দেখা দিয়েছিল। তার আসনে নৌকার অবস্থা ইতিহাসগতভাবে ভালো। বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের নাম এখনও সেভাবে বের হয়নি। একাধিক প্রার্থীর নাম ও তৎপরতা নিয়ে আলোচনা চলছে দেদারছে। প্রার্থী চূড়ান্ত হলেই নড়েচড়ে উঠবে নেতাকর্মীরা। সিলেট-১ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হেভিওয়েট। তার ভাই এই আসনের এমপি ও অর্থমন্ত্রী আব্দুল মাল আবুল মুহিত। অনেকদিন থেকে মাঠে সরব ড. মোমেন। সেই বিচারে বিএনপির প্রার্থী কে হতে পারেন তা নিয়ে আলোচনা চলছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে যেই সেই প্রার্থী দিয়ে মহাজোটের প্রার্থীকে মুকাবেলা করা সহজে সম্ভব হবে না। সিলেট-২ আসনে মহাজাটে টানাপোড়ন এখন বিদ্যমান। বিএনপির প্রার্থী নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদী লুনা এগিয়ে রয়েছেন। সিলেট-৩ আসনে চরম বেকায়দায় মহাজোট প্রার্থী। দলের তৃণমূলে তার কোন অবস্থান নেই। তবে সমর্থকরা মনে করছেন বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ব্যারিস্টার সালামকে প্রার্থী দিলে তাদের বিজয় পথ সহজ হয়ে যাবে। কারণ ভোট বা মাঠে ব্যক্তি সালামের কোন অবস্থান নেই। যুক্তরাজ্যে অবস্থান করার কারণে কর্মী বান্ধব অবস্থান গড়ে ওঠেনি তার। সেক্ষেত্রে আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বিএনপির প্রার্থী হলে ভরাডুবি ঘটবে মহাজোট প্রার্থীর। কাইয়ুম চৌধুরীর রাজনীতিক অবস্থানসহ নেতাকর্মীদের নিকট ডায়ানামিক এক নেতা। তবে কোন কারণে সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরীকে দল মনোনয়ন দিলে নিজের ভবিষ্যত নিয়ে ঘরেই ফিরতে হবে। সিলেট-৪ আসনে মহাজোটের মো. ইমরান আহমদ এমপি। বিএনপি প্রার্থী মনোনয়নে মনোযোগি হলে ভোট ও রাজপথে নেতৃত্বের জন্য সুবিধায় থাকবে। সিলেট-৫ আসনে মহাজোট এখনও প্রার্থী চুড়ান্ত করতে পারেনি। কেননা মহাজোটের লাঙ্গল এর এমপি এই আসনে রয়েছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবার এই আসন ছাড়তে নারাজ। তবে বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এ আসনে প্রার্থী মনোনয়নে ভালো করলে বেকায়দায় পড়বে মহাজোট। সিলেট-৬ আসনে মহাজোটের প্রার্থী শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। উচছ্বাসিত হয়েছেন তার বলয়ের নেতাকর্মীরা। বিএনপি বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জামায়াত ব্যাতিত প্রার্থী মনোনয়ন করলে বেকাদায় পড়বেন মহাজোট। স্থানীয় মানুষ ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, তৃণমূলে বিভেদের মধ্যে চরম চাপে নির্বাচনী লড়াইয়ে টিকে থাকতে হবে মহাজোট প্রার্থীদের। তারা প্রশাসনের প্রভাবে জয়ের স্বপ্ন দেখলেও বাস্তবে কঠিন ভোট পরীক্ষায় অবর্তীন হবেন। তবে বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী মনোনয়নে দাপুটে ও রাজনীতিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে ভোট কেন্দ্রে যেকোন ঝুঁকি মোকাবেলায় ভূমিকা রাখবে দলের নেতাকর্মীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।