বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নাইকো দুর্নীতি নিয়ে কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ ও যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই-এর তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, নাইকো মামলাটি বিচারাধীন। এটি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। মামলা নিয়ে মন্তব্য করলে বিচারে প্রভাব পড়তে পারে। কখনও আমি বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য করি না। গতকাল রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জেলা জজ, দায়রা জজ এবং মেট্রোপলিটন দায়রা জজদের ২৪তম বিচার প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম-এর ব্যবহার সংবিধান সম্মত। সংবিধানে যেটা লেখা আছে, তার আওতায় থেকেই নির্বাচনে ইভিএম করা হচ্ছে। উল্লেখ বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা চলা অবস্থায় এবং রায় ঘোষণার তারিখ চূড়ান্ত হওয়ার পরও সরকারের মন্ত্রীরা হরহামেশাই মন্তব্য করছেন।
আনিসুল হক বলেন, বছরখানেক আগেও শোনা গেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের বিরোধ রয়েছে। কিন্তু আমি বলতে চাই, ক্ষমতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আমাদের (আইন মন্ত্রণালয়) কোনও টানাপড়েন কখনও ছিলো না। তবে একজন প্রধান বিচারপতি (এস কে সিনহা) ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু তা করতে তিনি সফল হতে পারেননি। তাই আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আমাদের কোনও বিরোধ নেই।
নিম্ন আদালতের জজদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খন্দকার মুসা খালেদ।
ইভিএম-এর ব্যবহার করে নির্বাচন করা নিয়ে বিএনপির আপত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি একটি জিনিস বুঝলাম না, সংবিধান প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যান (ড. কামাল হোসেন) ওনাদের (বিএনপি) নেতা হিসেবে আছেন। তারপরও ওনারা কীভাবে এসব বক্তব্য দেন? একটা সময় কম্পিউটারে বা ইন্টারনেটে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার কোনও নিয়ম ছিলো না। কারণ, যখন সংবিধান রচনা করা হয়েছিল, তখন এসব প্রযুক্তি ছিল না। আর সংবিধানে সব কথা লেখা থাকে না। সংবিধানে যেটা লেখা আছে, তার আওতায় থেকেই কিন্তু এই ব্যবস্থা (ইভিএম) করা হচ্ছে।
এর আগে বিচার প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার। এই স্বপ্নের বাস্তবায়ন নির্ভর করছে আপনাদের (উপস্থিত বিচারক) ওপর। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে যে কাজটি প্রথমে শুরু করা দরকার, সেই কাজটি আগে করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশের জন্য একটি সংবিধান তৈরি করেন। সে সংবিধানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগণ্টে হত্যার মধ্যদিয়ে দেশে বিচারহীনতার ছায়া নেমে এসেছিল। এরপর জাতীয় চার নেতাকেও হত্যা করে তাদের মামলার অভিযোগপত্র দীর্ঘদিন ফেলে রাখা হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।