পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এখনো ইসি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারেনি এবং পুলিশী গ্রেফতার নির্বাচনকে প্রশ্ববিদ্ধ করবে অভিমত ব্যক্ত করে নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ইসির দুর্বল ভূমিকায় আগামী নির্বাচন ফ্রি হলেও ফেয়ার নাও হতে পারে। তাই আগামী নির্বাচন কেমন হবে তা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। ফেয়ার ইকেলশনের জন্য সরকারকেও এ চ্যালেঞ্জ নিতে হবে, কারণ আন্তর্জাতিক মহল তাকিয়ে আগামী নির্বাচনের দিকে। গতকাল রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন রোডস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ আয়োজিত ‘রাজনীতি এবং জনগণের ভোটাধিকার’ শীর্ষক সেমিনারে তারা এসব মন্তব্য করেন। তারা বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে দেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। আন্তর্জাতিক মহল সহায়তার মুখ ফিরিয়ে নেবে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এম আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, অনেক ইতিহাস আছে যে, নির্বাচন ফ্রি হলো কিন্তু ফেয়ার হলো না। দীর্ঘলাইনে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছেন ভোট দেওয়ার জন্য অথচ বুথে ঘটে অন্য ঘটনা। বুথে গিয়ে তাকে বলা হলো তুমি হাতে কালি মেখে চলে যাও আর ব্যালট পেপার দিয়ে দাও- এমন যেন না হয়। এসব দেখার দায়িত্ব ইসির। কিন্তু এখন ইসি নিজেরা মাঝে মধ্যে এমন সব কথা বলছে যা তারা নিজেদের বিতর্কিত করে ফেলছে। মনে রাখতে হবে বিশ্ব তাকিয়ে আগামী নির্বাচনের দিকে। সরকারের অধীনে এর আগে নির্বাচন হলেও এবারই প্রথম দলীয় সরকারের অধীনে সব দল অংশ নিচ্ছেন। মনে রাখতে হবে, আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ফ্রি ও ফেয়ার করতে ইসির জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। একে গ্রহণযোগ্য করতে সব রকম সহযেগিতা করতে হবে সরকারকে।
সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার আমির উল ইসলাম বলেন, নির্বাচন নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা বেশি। কিন্তু এখন কিছু মানুষ জামিন নিয়ে হাইকোর্টে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। তারা ঘর ছাড়া। তারা জামিন কখন নেবেন আর নির্বাচনে কখন আসবেন। আবার প্রিসাইডিং কে হবেন তা নিয়েও নানা কথা হচ্ছে। ফেয়ার নির্বাচন নিয়ে আমাদের প্রথমে দেখতে হবে গ্রাম-শহর-বস্তির মানুষ হয়রানি হচ্ছে কিনা, তারা জামিন পাচ্ছে কিনা। তিনি বলেন, নির্বাচন উপলক্ষ্যে অস্তত একটি মাস সব ধরনের হয়রানি ও পুলিশী গ্রেফতার বন্ধ করলে ভোট সুষ্ঠু হবে। কারণ ভোট মানুষের মুক্তির পথ, উন্নয়নের পথ, ক্ষমতায়নের পথ। জনগণকে চলার পথ সুগম করে দেন, তাদের প্রতি ভরসা রাখুন। ভোটের অধিকার দিন, জনগণ জানে কাকে ভোট দিতে হয়। অন্যান্য বক্তারা বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দায়িত্ব শুধু ইসির নয় সরকারেরও। সরকার যদি নির্বাচনে বাইরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট অবস্থা করে তাহলে বিশ্ব দরবারে দেশকে চরম মূল্য দিতে হবে। উন্নত বিশ্ব সম্পর্ক ছিন্নও করতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।