পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ৬ আসনের সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। আমার বিরুদ্ধে বিএনপির আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটা সম্পূর্ণ একটি মিথ্যা প্রোপাগান্ডা। আমাকে বিতর্কিত করা এবং হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ ধরনের কাজটি করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
আমি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে যাইনি তবে হোটেলে গিয়েছিলাম। গতকাল শনিবার বিকালে ৪০ তম বৈঠকে নির্বাচন কমিশন এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, রোববার (আজ) থেকে আমরা সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরের সদস্যদের তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দেবো। তাদের সঙ্গে আমাদের আইসিটি শাখার কর্মকর্তারা আবার বিভাগীয় পর্যায়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে। ইভিএম যৌথভাবে সেনাবাহিনী ও ইসি কর্মকর্তারা পরিচালনা করবে। তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬ আসনের সব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হলেও কোন কোন কেন্দ্রে ব্যবহার করা হবে তা এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে আসনগুলো শহর অঞ্চলে হবে। ইসি সচিব বলেন, ২৮ শে নভেম্বর ওই ৬ আসনের নাম জানানো হবে। বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের বিরোধিতার মধ্যেই একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। তফসিল ঘোষণার সময় সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেছিলেন, শহরাঞ্চলে ‘অল্প’ কয়েকটি কেন্দ্রে ইভিএম বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার হবে। শুক্রবারের এক অনুষ্ঠানেও তিনি বলেছিলেন,আমরা ইভিএম পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করব। একেবারে সীমিত আকারে ব্যবহার করতে হবে। অথবা কয়েকটি আসনের কিছু সংখ্যক কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার হবে। তবে শেষ পর্যন্ত ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিল ইসি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইভিএমের পক্ষে অবস্থান জানালেও বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এর ঘোর বিরোধিতা করে আসছে। আপত্তি না শুনলে মামলা করার হুমকিও দিয়ে রেখেছে তারা। ইসি সচিব বলেন, দৈবচয়নে আসনগুলো বাছাই করা হবে। আর আসনগুলো হবে সারাদেশের শহর এলাকায়। যেহেতু আসন নির্ধারণ করা হয়নি তাই গড়ে দেড়শটি করে কেন্দ্র ধরে নিলে মোট ৯শ কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হতে পারে। অর্থাৎ কোনো ব্যালট পেপার থাকবে না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, একটি ইভিএম মেশিনে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তার আঙগুলের ছাপ দিয়ে ২৫শতাংশ ব্যালট পেপার ইভিএমের ব্যালট ইউনিটে ওপেন করতে পারবেন। কোনো ভোটারের আঙগুলের ছাপ যদি কাজ না করে, সেক্ষেত্রে প্রিজাডিং কর্মকর্তা তার নিজের আঙগুলের ছাপ দিয়ে সংশ্লিষ্ট ভোটারের ব্যালট পেপারটি চালু করবেন। এভাবে ২৫ শতাংশ ভোটারের ব্যালট ওপেন করতে পারবেন।
ইসি সচিব হেলালুদ্দিন বলেন, মানুষ আগের চেয়ে অনেক শিক্ষিত হয়েছে। এছাড়া আমরা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আগে ব্যবহার করে সুফল পেয়েছি। তাই ইভিএম ব্যবহারের কোনো সমস্যা হবে না। বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে আপনি রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাব ও চটগ্রামের সার্কিট হাউজে নির্বাচন সংক্রান্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে গোপন বৈঠক করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) জানেন আমি নির্বাচন কমিশনে প্রতিদিন রাত আটটা-নয়টা পর্যন্ত থাকি। জনপ্রশাসন সচিবসহ অন্যান্যদের নিয়ে বেইলি রোডে আমার বিরুদ্ধে যে বৈঠকে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা। সচিব বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ব্যাপারে আমি বলেছি। নির্বাচন কমিশনের সচিব একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা। একটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট বডিতে চাকরি করেন। তিনি নির্বাচন কমিশনের আদেশ ও নির্দেশ পালন করেন। কমিশনের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কাজ করার কোন সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশনের বাইরে গিয়ে কাজ করার তার আলাদা কোন সত্ত্বা নেই।
বিএনপির এই সংবাদ সম্মেলনের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি এই সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ ধরনের মিথ্যা প্রপাগান্ডা যেন আর না করা হয়।
বিএনপির এ ধরনের অভিযোগের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেবেন কিনা জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, এ বিষয়ে কালকে বসে, আলাপ করে আপনাদের জানাব। চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে একই ধরনের বৈঠক করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটাও সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি সার্কিট হাউজে যাইনি। আমার সঙ্গে আসাদ্দুজ্জামান (যুগ্ন সচিব, জনসংযোগ) ছিলেন। আমরা দু›জন একত্রে মিলে এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি হোটেলে গিয়েছি। হোটেলে ডিনার করেছি। পরদিন সকালে আমি ইউএনডিপি›র গ্রোগ্রামে গিয়েছি। তিনি বলেন, আমাকে বিতর্কিত করার জন্য, হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ ধরনের চাপ দেয়ার জন্য উদ্দেশ্য নিয়েই এই কাজটি করেছে। কালকে কমিশন সভায় বসব। এবং কমিশন সভায় মাননীয় কমিশনারদের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করব। তারা যে সিদ্ধান্ত দেবে তা আপনাদের জানাব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।