পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৃহত্তর চট্টগ্রামে সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বৈধ-অবৈধ অস্ত্র। অথচ অবৈধ অস্ত্র গোলা বারুদ উদ্ধারে এখনও শুরু হয়নি কোনো বিশেষ অভিযান। বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ারও কোনো ঘোষণা আসেনি। ফলে আগামী দিনগুলোতে মনোনয়ন এবং ভোটের লড়াইয়ে এসব অস্ত্র ব্যবহার হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। অস্ত্রবাজি আর সংঘাত-সহিংসতা বাড়লে শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশে অনিশ্চিত হতে পারে। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, খুব শিগগির বিশেষ অভিযান শুরু হবে।
ষোঘিত তফসিল অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর ৩৫ দিন। এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনসহ প্রায় প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা কিংবা নির্দলীয় সরকার গঠনের সাথে সাথে বিশেষ অভিযান শুরু হতো। তবে এবার পরিস্থিত তার উল্টো। দেখা যাচ্ছে পুলিশ পেশাদার অপরাধী ও অস্ত্রধারীদের গ্রেফতারের বদলে বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের গ্রেফতারেই বেশি ব্যস্ত।জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার হয়রানি বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা মানা হচ্ছে না। আবার এসব মামলায় গ্রেফতার হয়ে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর ফের অনেক নেতাকে কারাফটকে আটক করে অন্য মামলায় চালান দেওয়া হয়েছে।
তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, অস্ত্র উদ্ধার আর সন্ত্রাসী গ্রেফতারে নিয়মিত অভিযান চলছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা ফেলে বিশেষ অভিযান শুরু হবে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা নেমেই সবকিছু করা হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান আর বৈধ অস্ত্রও জমা নেওয়া হবে। পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা বলেন, শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের জন্য যা যা করা দরকার তার সবকিছুই করা হবে।
সার্কিট হাউসে গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান, ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক ও নগর পুলিশের কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের বিষয়ে জোর দেন। চট্টগ্রাম অঞ্চলে অস্ত্রধারীদের অপতৎরতা এবং অবৈধ অস্ত্রের আনাগোনা বেড়েছে দীর্ঘদিন থেকে। তুচ্ছ ঘটনায়ও এখানে ভারী অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে। রাজনৈতিক সংঘাত সহিংসতা বিশেষ করে সরকারি দলের দুই পক্ষের কলহ বিরোধে প্রায় অস্ত্রবাজির ঘটনা ঘটছে। এই সরকারের সময়ে একতরফা স্থানীয় সরকারের প্রায় সবকটি নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে খোদ সরকারি দলের নেতারা তাদের বৈধ অস্ত্র ব্যবহার করেছেন বলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছে। ইউপি নির্বাচনে হাটহাজারীর একটি কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে গিয়ে অস্ত্রসহ নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে ধরা পড়েন মহানগর ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আজিম রনি। শুধু নির্বাচনে নয়, দলীয় কোন্দলেও আওয়ামী লীগ নেতারা নিজেদের নামে নেওয়া বৈধ অস্ত্র ব্যবহার করছেন। নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকায় অফির্সাস ক্লাবে দলের এক নেতাকে নিজের রিভলবার দিয়ে গুলি করেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুর আলম। নগরীর ওয়াসা মোড়ে হেফাজতের সমাবেশে প্রকাশ্যে অস্ত্র ব্যবহার করে পার পেয়ে যান লালখান বাজার আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম। তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, খুনসহ অসংখ্য মামলার আসামি হয়েও সরকারি দলের অনেকে গত দশ বছরে বৈধ অস্ত্রের মালিক হয়েছেন। আগামী নির্বাচনে তাদের অস্ত্র ব্যবহার হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় তৈরী হচ্ছে দেশি অস্ত্র। সীমান্তপথে আসছে ভারী অস্ত্র। কালো অস্ত্র ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হাত ধরে এসব অস্ত্র চট্টগ্রামসহ সারা দেশে চলে যাচ্ছে। অবৈধ অস্ত্রের বড় উৎস তিন পার্বত্য জেলার পাহাড়ি সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো। তাদের হাত হয়ে দেশে বিদেশে অস্ত্র আসছে। র্যাব-পুলিশের নিয়মিত অভিযানে মাঝে-মধ্যে কিছু অস্ত্র ধরা পড়লেও বেশির ভাগ চালান নিরাপদে চলে যায়। গত বছরের প্রথমদিন থেকে এ পর্যন্ত শুধু র্যাব-৭ চট্টগ্রামের অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ৩০২টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রসহ মোট ৩১টি ম্যাগাজিন এবং ১০ হাজার ১০৭ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গুলি ও কার্তুজ। চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা পুলিশের হাতেও প্রায় সমান সংখ্যক অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে।
এদিকে পুলিশের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে এ ধরনের অন্তত সাড়ে তিন হাজার সন্ত্রাসী এবং অস্ত্রধারীর তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে অচিরেই অভিযান শুরু হবে বলেও জানান তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।