পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এমপি (জাতীয় সংসদ সদস্য) হতে চান আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত শতাধিক আইনজীবী। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এমপি হতে নিজ দলের মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন আইনজীবীরা। ইতোমধ্যে নিজ নিজ দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও নিজ সংসদীয় এলাকায় আর্থ-সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অংশ নিচ্ছেন তারা। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পোস্টার-ব্যানারসহ বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। মনোনয়ন পেতে লবিং, তদবিরসহ দলীয় উচ্চ পর্যায়েও যোগাযোগ করছেন। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। এ নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে নির্বাচনের আমেজ বিরাজ করছে।
এদিকে আইনজ্ঞরা মনে করেন, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট থেকে শুরু করে সকল পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসিতে আইনজীবীদের ভূমিকা রয়েছে। তাই আমাদের সংসদেও আইনজীবীদের ব্যাপক প্রাধান্য থাকা উচিত। আইন প্রনয়ণ কেন্দ্রে আইনজীবীরা অংশ নিবেন এটাই স্বাভাবিক। আইনজীবী থেকে এমপি প্রার্থী; এটাকে সকলের স্বাগত জানানো উচিত।
সূত্রে জানা যায়, মনোনয়নপ্রত্যাশী আইনজীবীদের অনেকেই সাবেক ও বর্তমানে এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আগেকার সংসদগুলোতে আইনজীবীদের প্রাধান্য ছিল। দশম জাতীয় সংসদে এমপিদের মধ্যে ব্যবসায়ী ছিলেন ১৭৫ জন। আইনজীবী ছিলেন ৫১ জন। আইনজীবীদের মধ্যে থেকে এবারই সর্বোচ্চ সংখ্যক মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। আওয়ামী ও বিএনপি সমর্থিত অন্তত ১০০ জন আইনজীবী দলীয মনোনয়ন নিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার ইনকিলাবকে বলেন, জাতীয় সংসদে দেশের আইন প্রনয়ণ হয়। সেখানে আইনজীবীরা অংশ নেয়া উচিত। তিনি বলেন, আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ড. কামাল হোসেনসহ আইনজীবীদের প্রাধান্য দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে আইনজীবীদের কম মনোনয়ন দেয়া হয়। এবার বিপুল সংখ্যক আইনজীবী উভয় দল থেকে মনোনয়ন পাবেন এটাই প্রত্যাশা করছি।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ইনকিলাবকে বলেন, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট থেকে শুরু করে সকল পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসিতে আইনজীবীদের অবদান রয়েছে। তাই আমাদের সংসদে আইনজীবীদের প্রাধান্য থাকা উচিত। সুপ্রিম কোর্টের অনেক আইনজীবী মনোনয়ন চেয়েছেন। প্রত্যেক দল বিষয়টিকে বিবেচনা করবেন বলে আমি মনে করি।
আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন:
সরকার দলী তথা আওয়ামী লীগ থেকে যারা মনোনয়ন চান, তারা হলেন- অ্যাডভোকেট ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী (রংপুর-৬), ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া (গাইবান্ধা-৫), সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু (কুমিল্লা-৫), বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ন (ভোলা-২), অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন (ঢাকা-১৮), অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকু (পাবনা-১), বর্তমান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪), অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম (মুন্সীগঞ্জ-২), খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম (ঢাকা-২), স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মোঃ আবু কাওসার (ঢাকা-৮), অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু (ঢাকা-৭), ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস (ঢাকা-১০), অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন (পঞ্চগড়-২), অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী (হবিগঞ্জ-৪)।
এছাড়াও রয়েছেন অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান মানিক, অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন, অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী, ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব, ব্যারিস্টার তানজীব-উল-আলম, দুদকের কৌশলী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল,অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক, অ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন-আর রশিদ, জিএডি ফরহাদ আহমেদ, ডিএজি মো ঃ শহীদুল ইসলাম, ডিএজি অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুল হাই ডিএজি মনোয়ার হোসেন, ডিএজি আনোয়ারা শাহাজান, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) মিয়া সিরাজুল ইসলাম,এ এজি মাসুদ আলম চৌধুরী, এএজি রকিবুল ইসলাম মন্টু, মোখলেসুর রহমান বাদল, এএজি জান্নাতুল ফেরদৌস রুপা। যুদ্ধাপরাধ বিচার ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সালমা হাই টুনি, বেগম মুক্তা, ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সালাহউদ্দিন রিগ্যান, অ্যাডভোকেট নূরে আলম উজ্জ্বল, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, ব্যারিস্টার মোকসেদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শেখ ওবায়দুর রহমান, অ্যাডভোকেট এসএম ফজলুল হক , অ্যাডভোকেট মাহফুজা হক সাইদা।
বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন:
জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে যারা মনোনয়ন চান। তারা হলেন: সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (নোয়াখালী-৫), ব্যারিস্টার আমিনুল হক (রাজশাহী-১), অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন (বরগুনা-২), অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী (মাগুরা-২), অ্যাডভোকেট মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন (চট্টগ্রাম), ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (ঝালকাঠি), সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন (বরিশাল-৩), অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান (টাঙ্গাইল), অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার (নারায়ণগঞ্জ-১), আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন (নোয়াখালী-১), অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া (নরসিংদী-৩), অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল (বরিশাল), মোহসিন মিয়া (মুন্সীগঞ্জ),গোলাম মোস্তফা খান (নরসিংদী-৩), বোরহান উদ্দিন (চাঁদপুর), অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন জিয়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬)।
এছাড়াও রয়েছেন, অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মিয়া, অ্যাডভোকেট আরিফ জেসমিন নাহিন,ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, ব্যারিস্টার মীর হেলালউদ্দিন, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম। অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ব্যারিস্টার আশিকুর, অ্যাডভোকট এবিএম রফিকুল হক তালুকদার রাজা, অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন, অ্যাডভোকেট খন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলু, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভূঁইয়া, মির্জা আল মাহমুদ, ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা, ড. মো. মাহমুদুল আরেফিন, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল করিম , অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান তপন, অ্যাডভোকেট ফারুক হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।