Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মধ্যাঞ্চলের ‘শুভ’যাত্রা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

গতির বলে চার উইকেট নিলেন আবু হায়দার। তবে সপ্তম বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে মধ্যাঞ্চলের শুভযাত্রা হয়েছে শুভাগত হোমের কল্যাণে। ঘুর্ণি জালে বন্দি করে ডান হাতি স্পিনার তুলে নিয়েছেন আসরের বর্তমান ও সর্বোচ্চ তিনবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণাঞ্চলের পাঁচ উইকেট। তার দল মধ্যাঞ্চলও পেয়েছে ৭৭ রানের জয়। আর পূর্বাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের মধ্যকার ব্যাটিং প্রদর্শণী ম্যাচটি হয়েছে প্রত্যাশিত নিরুত্তাপ ড্র।
সিলেটের ম্যাচে যে গতকাল শেষদিনে ফল বেরিয়ে আসবে তার আভাস মিলেছিল আগের দিনই। জয়ের জন্য কাল দক্ষিণাঞ্চলের দরকার ছিল ২২৮ রান, মধ্যাঞ্চলের আট উইকেট। প্রথম সেশনেই তুষার ইমরান, শাহরিয়ার নাফিস ও নুরুল হাসানকে হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে দক্ষিণ। আগের দিনের অপরাজিত নাফিস-তুষারের ৮২ রানের জুটিই এদিন ভারসা যোগাচ্ছিল রাজ্জাকের দলকে। কিন্তু চল্লিশ ছুঁয়ে তুষার বিদায় নেয়ার পর দলীয় ১২৯ রানে দাঁড়িয়ে ফেরেন ইনিংসে একমাত্র ফিফটি করা নাফিস এবং নুরুল। এরপর রাকিবুল ও মেহেদী পরাজয়ের ক্ষণটা দীর্ঘায়িত করেছেন মাত্র। ২৬৬ রানের লক্ষ্যে তাদের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৮৮ রানে। ৫৩ রানে পাঁচ উইকেট নেন শাভাগত হোম, ৪৪ রানে চারটি নেন আবু হায়দার। তবে প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ১৪১ রানের ইনিংসের কল্যাণে ম্যাচ সেরার খেতাব পান আব্দুল মাজিদ। প্রথম ইনিংসে দলের অর্ধেক রানই আসে তার ব্যাট থেকে।
তবে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামের পিচ কথা বলেছে ব্যাটসম্যানদের সুরে। সাকুল্যে তিন ইনিংসও সেখানে সম্পন্ন হতে পারেনি। চার দিনে উইকেট পড়েছে ২৪টি। সেঞ্চুরি ইনিংস আছে তিনটি, আটটি পঞ্চাশোর্ধো ইনিংস। এর মধ্যে তিনটি একশ ছুঁই ছুঁই ইনিংসও আছে। প্রথম ইনিংসে উত্তরাঞ্চলের ৪৪৫ রানের জবাবে গতকাল প্রথম সেশনে ৪৪৩ রানে অল আউট হয় পূর্বাঞ্চল। ঘন কুয়াশার কারণে ম্যাচ শুরু হয় এক ঘণ্টা দেরিতে। ৭ উইকেটে ৩৮০ রানে দিন শুরু করে পূর্ব। আগের দিনের ফরহাদ-এনামুলের অষ্টম উইকেট জুটি এদিন বিচ্ছিন্ন হয় ১০৭ রান যোগ করে।
দিনের বাকি সময়টা ব্যাটিং প্রাকটিসের মধ্য দিয়ে কাটিয়ে দেয় উত্তর। ড্রয়ের মিমাংসা হয়ে যায় আগেই। শেষ বিকেলে অপেক্ষা ছিল কেবল ফরহাদ হেসেনের সেঞ্চুরির। ক্যারিয়ারের সপ্তদশ শতক তুলে নিয়ে ১২৮ বলে ১২টি চার ও এক ছক্কায় ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন ফরহাদ। দুটি ফিফটি ইনিংস আসে জুনায়েদ সিদ্দিক ও সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে। ৪ উইকেটে ২৭০ রান তোলে জহুরুল ইসলামের দল। পূর্বাঞ্চলের হয়ে ১৩৭ রানের ইনিংসের কল্যাণে ম্যাচসেরা হন নাঈম ইসলাম।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
উত্তরাঞ্চল-পূর্বাঞ্চল, রাজশাহী
উত্তরাঞ্চল : ৪৪৫ (মিজানুর ৯২, নাঈম ১৩৭, জহুরুল ১০৪; হাসান ৪/৮৪) ও ৪৫.৩ ওভারে ২৭০/৪ (জুনায়েদ ৫১, ফরহাদ ১০৩*, সাব্বির ৫৬; আবু জায়েদ ২/৭২)। পূর্বাঞ্চল : ৪৪৩ (রনি ৫৪, ইয়াসির ৯৪, সাইফউদ্দিন ৬৪, রেজা ৮৫, এনামুল জুনি. ৫১; এবাদত ৩/৮৭, সানজামুল ৩/১১২)। ফল : ম্যাচ ড্র। ম্যাচ সেরা : নাঈম ইসলাম (পূর্বাঞ্চল)।
মধ্যাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল, সিলেট
মধ্যাঞ্চল : ২৮২ (মাজিদ ১৪১*, শাহিদুল ৫৮; আল-আমিন ৩/৬৫, আব্দুর রাজ্জাক ৩/৭০) ও ২৬৪ (লিটন ৮৪, শাহিদুল ৪১; মেহেদি ৫/৭২)। দক্ষিণাঞ্চল : ২৮১ (নাফিস ৭১, রাব্বি ৯৪; মোশাররফ ৪/৫৩) ও ১৮৮ (নাফিস ৫৪, তুষার ৪০, রাকিবুল ৩৫, মেহেদি ২৮; আবু জায়েদ ৪/৪৪, শুভাগত ৫/৫৩)। ফল : পূর্বাঞ্চল ৭৭ রানে জয়ী। ম্যাচ সেরা : আব্দুল মাজিদ (পূর্বাঞ্চল)।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শুভ’যাত্রা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ