মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আরব গণমাধ্যমে খাসগজির ঘটনাটি একটি বিতর্কিত ইস্যুতে পরিণত হয়েছে৷ শত্রুভাবাপন্ন দুই শিবির এই ইস্যুতে পরস্পরবিরোধী অবস্থানে দাঁড়িয়েছে৷ আদর্শ নয়, বরং অর্থদাতা ও মালিকানার ওপরই নির্ভর করছে মিডিয়ার অবস্থান৷
বুধবার সউদী সংবাদপত্র আল ওয়াতান দেশটির পাঠকদের জন্য কিছুটা হলেও ভালো খবর প্রকাশ করেছে৷ আর তা হলো, সউদী আরবের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
বিবৃতিতে ঠিক এমন বক্তব্যই দিয়েছেন ট্রাম্প৷ তিনি বলেছেন, সউদী আরব এখনো যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র৷ খাশোগি ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে সব তথ্য জানা কষ্টসাধ্য হবে৷’
তবে ট্রাম্পের অবস্থান সম্পর্কে খণ্ডিত তথ্য প্রকাশ করেছে সংবাদপত্রটি৷ কারণ, একই বিবৃতিতে ট্রাম্প এ-ও বলেছেন যে, খাশোগি হত্যার ঘটনা সম্পর্কে সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (সংক্ষেপে এমবিএস) অবগত ছিলেন কিনা, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন৷ তবে বক্তব্যের এই অংশটুকু একেবারেই এড়িয়ে গেছে আল ওয়াতান৷ অন্য কোনো সংবাদপত্র না পড়লে আল ওয়াতান পাঠকদের মনে হতেই পারে, খাশোগি হত্যার ঘটনায় সউদী-মার্কিন সম্পর্কে কোনো প্রভাবই পড়েনি৷
একই ঘটনার সংবাদ প্রকাশ করেছে সউদী নিউজ চ্যানেল আল আরাবিয়া৷ ‘পুরো সত্য হয়তো কখনোই জানা যাবে না’, ট্রাম্পের এমন বক্তব্য ঠিকই প্রচার করেছে চ্যানেলটি৷ কিন্তু আল ওয়াতান পত্রিকার মতোই, সউদী যুবরাজের সাথে ট্রাম্পের যে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তা সুচতুরভাবে এড়িয়ে গেছে আল আরাবিয়া৷ সংবাদের এই অংশটুকু ভালোভাবে নেয়নি সউদী রাজপরিবার৷ ফলে প্রচারিত সংবাদ থেকে বাদ পড়েছে ট্রাম্পের বক্তব্যের এই অংশটুকুও৷
ট্রাম্পের বক্তব্যের ঠিক অন্য একরকম ব্যাখ্যা মিলছে কাতারের টিভি চ্যানেল আল-জাজিরার দর্শকদের৷ ট্রাম্পের বিবৃতি উদ্ধৃত করে চ্যানেলটির সংবাদে বলা হয়েছে, ‘রিয়াদ বা ওয়াশিংটনে অবস্থান করা কোনো বিশেষ ব্যক্তির রাজনৈতিক আদর্শ টিকিয়ে রাখার ওপর সউদী-মার্কিন সম্পর্ক নির্ভর করে না, এই স্পষ্ট বার্তা দেয়া হয়েছে৷’ এমন অবস্থানের মাধ্যমে স্পষ্টতই আক্রমণ করা হয়েছে বিন সালমানকে৷ মাত্র দেড় বছর আগে এই সউদী যুবরাজই নানা ধরনের বয়কটের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে কাতারকে একঘরে করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন৷
আল-জাজিরার বিশ্লেষণে বলা হয়, সউদী যুবরাজ রাজনৈতিকভাবে পরাক্রমশালী হতে পারেন, কিন্তু সউদী-মার্কিন সম্পর্কে তাঁর অবস্থান খুবই নগণ্য৷ রাষ্ট্রের কোনো প্রতিনিধির তুলনায় রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করা হয়েছে চ্যানেলটিতে৷ সংবাদ বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বিন সালমানও শেষ পর্যন্ত অন্য অনেক রাজনীতিবিদের মতোই একজন এবং শেষ বিচারে তিনিও প্রতিস্থাপনযোগ্য৷
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।