মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রোববার ব্রেক্সিট চুক্তি ও ব্রিটেনের সঙ্গে ইউনিয়নের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের বিষয়ে রাজনৈতিক ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরের প্রস্তুতি চলছে৷ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ঘোষণাপত্রে রদবদলের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একাধিক দেশ৷
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছেদের চুক্তির খসড়ায় কোনো মৌলিক পরিবর্তন সম্ভব না হলেও ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেন ও ইইউ-র সম্পর্কের রূপরেখার ক্ষেত্রে দরকষাকষি চালিয়ে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে৷ ৫৮৫ পৃষ্ঠার ব্রেক্সিট চুক্তির পাশাপাশি ২৬ পৃষ্ঠার এই ঘোষণাপত্র নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে৷ শনিবার সন্ধ্যায় তিনি আবার ব্রাসেলসে গিয়ে শেষ চেষ্টা চালাবেন৷ তারপর সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে রোববার সকালেই ইইউ শীর্ষ নেতারা ব্রেক্সিট চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন৷ সেই লক্ষ্যে শুক্রবার সদস্য দেশের মধ্যস্থতাকারীরা আবার আলোচনায় বসেছেন৷
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বিলক্ষণ জানেন, দুই পক্ষের অনুমোদনের পর ব্রেক্সিট চুক্তি আইনত মেনে চলতেই হবে৷ ২০১৯ সালের ২৯শে মার্চের পর ব্রিটেন ও ইইউ-কে সেই চুক্তি অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে৷ অন্যদিকে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক সংক্রান্ত ঘোষণাপত্র নিছক রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রতিফলন৷ তাই সেই ঘোষণাপত্রে টেরেসা মে এমন সব বিষয়ের উল্লেখ চান, যা দেখিয়ে তিনি দেশে ব্রেক্সিট চুক্তির পক্ষে সমর্থন আদায় করতে চান৷ রোববার ব্রাসেলসে সেই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি টেরেসা মে ব্রিটিশ সংসদে সেটি অনুমোদন করাতে বদ্ধপরিকর৷ তবে এখনো তিনি যথেষ্ট সংখ্যক সংসদ সদস্যের সমর্থন সম্পর্কে নিশ্চিত নন৷
ইউরোপীয় ইউনিয়নও ব্রেক্সিট চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ শনিবার রাতেই খসড়া চূড়ান্ত করে রোববার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরের কাজ সেরে ফেলতে চায় ইউরোপীয় কমিশন৷ তবে ব্রেক্সিট চুক্তি প্রস্তুত হলেও ভবিষ্যৎ সম্পর্কের বিষয়ে ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় কিছুটা বিলম্বের সম্ভাবনা রয়েছে৷ আপাতত স্পেন, ফ্রান্স ও কয়েকটি সদস্য দেশ নিজেদের জাতীয় স্বার্থে শেষ মুহূর্তে কয়েকটি বিষয়ে রদবদল চাইছে৷ ফ্রান্স ব্রিটেনের জলসীমায় ইইউ সদস্য দেশের জেলেদের মাছ ধরার অধিকার বজায় রাখতে চায়৷ স্পেন জিব্রল্টারের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ছাড় আদায় করতে চায়৷ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরেও স্পেনের প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি৷ তবে যেহেতু সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে ইইউ এই চুক্তি অনুমোদন করবে, তাই স্পেন ভেটো শক্তি প্রয়োগ করার কোনো সুযোগ পাবে না৷ রাজনৈতিক ঐক্য প্রদর্শন করতে ইউরোপীয় কমিশন অবশ্য এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে বিভাজন এড়িয়ে যেতে চায়৷
জার্মানির অর্থমন্ত্রী ওলাফ শলৎস বলেছেন, জার্মানি সব রকম পরিস্থিতির প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ চুক্তি অনুযায়ী ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার সমাপ্তির আশা করলেও জার্মানি চুক্তি ছাড়াই ব্রিটেনের ইইউ-ত্যাগের আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারছে না৷ সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।