নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : ‘আমার একটা স্বপ্ন আছে, তা হল এই ট্রফিটা জেতাÑ ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরব ও চুমু খাবো এবং এর সাথে একটা ছবিও তুলে রাখতে চাই’ কথাগুলো বলতে গিয়ে যেন সত্যিই স্বপ্নের রাজ্যে থেকেই ঘুরে এলেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান লেফট ব্যাক ফিলিপ লুইস। শুধু লুইস নন, দলের মিডফিল্ডার কোকেও উয়েফা ডট কমকে এভাবেই নিজেদের অনভূতির কথা জানিয়েছেন তারা। জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার জন্য নিজেদের ক্ষুধাতুর আকাক্সক্ষার কথা। তবে মুখে বলা যতটা সহজ, বাস্তবে সেটা ঠিক ততটাই কঠিন! এজন্য আজই সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষায় নামতে হবে তাদের। পরীক্ষার নাম বায়ার্ন মিউনিখ।
ঘরের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে নিজেদের গোলবার অক্ষত রেখে আসরের সবচেয়ে রক্ষণশীল (৫) দল হিসেবে প্রমাণ রেখেছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ম্যাচটিও তারা জিতেছিল ১-০ গোলে। প্রায় একই চ্যালেঞ্জ এবার পেপ গার্দিওলার দলের সামনে। এখন পর্যন্ত আসরে সবচেয়ে বেশিবার (২৮) প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছে বায়ার্ন। মিউনিখের অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারিনা স্টেডিয়ামে আজ তাই আসল পরীক্ষা অ্যাটলেটিকোর রক্ষণ ও বায়ার্নের আক্রমণভাগের মধ্যে।
খাতা-কলমের হিসাবে এগিয়ে থাকছে সফরকারীরাই। সাউল নিগুয়েজের সেই দুর্দান্ত ড্রিবলিং গোলই ডিয়েগো সিমিওনের দলের এগিয়ে থাকার কারণ। ম্যাচের ফল গোলশূন্য ড্র হলেই ফাইনালে পা রাখবে অ্যাটলেটিকো। অপরদিকে বায়ার্ন লড়বে টানা তৃতীয়বারের মত স্প্যানিশ বাধা এড়াতে, যার দুইবারই ব্যর্থ হয়েছে তারা। ম্যাচটি আজ অতিরিক্ত সময়ে নিতে হলে ন্যূনতম ১-০ গোলে এগিয়ে থাকতে হবে জার্মান চ্যাম্পিয়নদের। আর যদি অ্যাটলেটিকো এক গোল দিয়ে দেয় সেক্ষেত্রে জয়ের জন্য তিন গোল করতে হবে বায়ার্নকে, ২-১ গোলে বায়ার্ন জিতলেও এ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে ফাইনালে পা রাখবে অ্যাটলেটিকো। চলতি আসর থেকে অবশ্য প্রেরণা পেতে পারে বায়ার্ন। ঘরের মাঠে ৫ ম্যাচের সব ক’টিতেই জিতেছে তারা। যদিও শেষ ষোলর লড়াইয়ে জুভেন্টাসের বিপক্ষে ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকার পর অতিরিক্ত সময়ের গোলে জিতেছিল মুলার-লেভান্দোভস্কিরা।
নিজেদের শেষ ম্যাচে বরুশিয়া মশেনগøাবাখের সাথে ১-১ গোলে ড্র করে বায়ার্ন। ফলে ঘরোয়া লিগ শিরোপা জয়ের অপেক্ষাও বাড়ে তাদের। বিপরীত দিকে সব প্রতিযোগিতা মিলে টানা ৭ ম্যাচ জিতেছে অ্যাটলেটিকো। টানা ৬ ম্যাচ তাদের জালে বল পাঠাতে পারেনি কোন দল। লা লিগার অন্যতম শক্তিশালী রক্ষণ সিমিওনের দলের। তবে দু’দলের ইনজুরির তালিকাটা আগের মতই আছে। বায়ার্ন থেকে দলের বাইরেই আছেন হোলজার ব্যাডস্টুবার ও আরিয়েন রোবেন এবং অ্যাটলেটিকো পাবে না থিয়াগো ও ডিয়েগো গদিনকে।
গত কয়েক বছরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালের নিয়মিত নাম বায়র্ন মিউনিখ ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। তা সত্তে¡ও তাদের সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল ৪০ বছরেরও বেশি সময় আগে, ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে। দুই পর্বের সেই লড়াইয়ে ৫-১ গোলে মাদ্রিদের দলকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বায়ার্ন। সেই হারের প্রতিশোধের লক্ষ্যে প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতে কিছুটা এগিয়ে অ্যাটলেটিকো। আজ দ্বিতীয় পর্বের লড়াই...
বায়ার্ন মিউনিখ
ষ গত দুই মৌসুমেই স্প্যানিশ প্রতিপক্ষের কাছে হেরে সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখকে। ২০১৩/১৪ মৌসুমে বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ১-০ গোলে হারের পর ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে হেরেছিল বায়ার্ন। গত মৌসুমে ন্যু ক্যাম্পে বার্সেলোনার কাছে ৩-০ গোলে হারের পর দুই লেগ মিলে ৩-৫ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল জার্মান প্রতিপক্ষকে।
ষ ঘরের মাঠে মাদ্রিদের কাছে হারের পর এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ১১ ম্যাচের সব ক’টিতেই জিতেছে বায়ার্ন। সব মিলে মিউনিখে স্প্যানিশ দলের বিপক্ষে বায়ার্নের রেকর্ডÑ ২৩ ম্যাচে ১৬ জয়, ৫ ড্র ও হার ২টি।
ষ দশবার স্প্যানিশ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে শেষ চারে খেলেছে বায়ার্ন, জয় ৭টি। দুই লেগ মিলে জয় ৯, হার ৮।
ষ প্রথম লেগে ১-০ গোলে হারের পরও ৭ ম্যাচের ৫টিতেই জিতেছে বায়ার্ন।
ষ পেনাল্টি শুটÑআউটে বায়ার্নের রেকর্ডÑ জয় ৫, হার ১।
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ
ষ ডিয়েগো সিমিওনের অধিনে গত তিন বছরে দ্বিতীয়বারের মত শেষ চারে উঠল অ্যাটলেটিকো। বায়ার্ন এই পর্বে খেলছে টানা পঞ্চম বার।
ষ সব মিলে ইউরোপিয়ান কাপের সেমি-ফাইনালে ৫ বার উঠল অ্যাটলেটিকো। সমান দু’টি করে জয় ও পরাজয়। দুই বছর আগে সর্বশেষ চেলসিকে দুই লেগ মিলে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল তারা।
ষ জার্মান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ৩৪ ম্যাচে অ্যাটলেটিকোর জয় ৩৪, ড্র ৬ ও হার ১২টি।
ষ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পেনাল্টি শুট আউটে অ্যাটলেটিকোর রেকর্ডÑ জয় ২, হার ৩।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।