পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কারাগারে বন্দী চট্টগ্রামের বিএনপি জোটের ৮ জন নেতা নির্বাচনী লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৮ জন নেতার মধ্যে আছেন বিএনপির ৬ জন। অপর দুই জন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য। জামায়াতের দুই নেতা এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীর পরিচয়ে জোটের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি অব্যাহত রেখেছেন। অবশ্য কারাবন্দী ৮ জন নেতার মধ্যে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমর্থন শেষ পর্যন্ত কে কে পাবেন তা এখনও চ‚ড়ান্ত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
গত ২০ নভেম্বর মঙ্গলবার ঢাকায় বিএনপি হাইকমান্ড কর্তৃক দলের চট্টগ্রাম বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার গ্রহণ সম্পন্ন হয়। চট্টগ্রামের স্থানীয় নেতা-কর্মী, সমর্থকদের কৌত‚হলী দৃষ্টি, কার কার ভাগ্যে দল ও জোটগত মনোনয়ন জুটবে। জানা গেছে, কারাবন্দী নেতাদের কয়েকজন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের মাধ্যমে রিটার্নিং অফিসারের কাছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের জন্য আবেদন করেছেন। ইতোমধ্যে কেউ কেউ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
কারাগারে বন্দী থাকাবস্থায় বিএনপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। তাকে সর্বশেষ গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয় গত ৭ নভেম্বর। তিনি হাইকোর্টে আগাম জামিনের উদ্দেশে তার আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে ঢাকায় গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ৫২টি মামলা রয়েছে। ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম মহানগরীর কেন্দ্রীয় ৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনের বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট এবং ঐক্যফ্রন্টের সম্ভাব্য প্রার্থী।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে এক মামলায় আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করার পরই চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীকে ‘হত্যার হুমকি’র অভিযোগে ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগ নেতার মামলায় চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়ন্তী রানী রায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতা গিয়াস কাদের চৌধুরী চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) এবং চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থিতার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
কারাবন্দী অবস্থা থেকেই আরও যারা বিএনপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন তাদের মধ্যে আছেন চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুÐ) আসনে ২০ দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম-৩ (স›দ্বীপ) নির্বাচনী এলাকায় মনোনয়ন প্রত্যাশী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি নেতা বেলায়েত হোসেন, চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী লেয়াকত আলী।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) নির্বাচনী এলাকা থেকে ২০ দলীয় জোটের শরিকদল জামায়াতের দুই জন নেতা জোটগত মনোনয়ন বা সমর্থন প্রত্যাশী। তারা হলেন চট্টগ্রামের জামায়াতের শীর্ষনেতা সাবেক দুই সংসদ সদস্য মাওলানা আ ন ম সামশুল ইসলাম ও শাহজাহান চৌধুরী। দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর সামশুল ইসলাম এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহজাহান চৌধুরী উভয়েরই বাড়ি সাতকানিয়ায়। তারা বর্তমানে কারাগারে বন্দী। দু’জনই স্বতন্ত্র পরিচয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতার জন্য ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের কারাবন্দী উক্ত ৮ জন নেতা নিজ নিজ মামলাসমূহের বিপরীতে আইন-আদালতের মাধ্যমে জামিন লাভের প্রচেষ্টাও অব্যাহত রেখেছেন। তবে কারামুক্তি যদি সম্ভব নাও হয় তাহলে কারাগারে থেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতার জন্য তারা আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।