মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আরও বিপাকে বিজয় মালিয়া। হাতছাড়া হওয়ার পথে তার লন্ডনের বাসভবন। সুইজারল্যান্ডের ইউবিএসের ঋণ শোধ করতে পারেননি মালিয়া। তাই ব্রিটিশ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ব্যাংক। মালিয়া যদি সেই ঋণ শোধ করতে না পারেন, তবে কোটি টাকার ওই বাড়িটি চলে যাবে ব্যাংকের দখলে।
মধ্য লন্ডনের রিজেন্ট পার্কে বিজয় মালিয়ার একটি বাসভবন রয়েছে। নাম কর্নওয়াল টেরেন্স। সেটি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে প্রায় ২০০ লক্ষ পাউন্ডের লোন নিয়েছিলেন মালিয়া। কিন্তু সময়মতো সেই ধার শোধ করতে পারেননি তিনি। তাই ব্রিটিশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ইউবিএস ব্যাংক। বুধবার সমস্ত কাগজপত্র দেখে আদালত। উভয়পক্ষের বাদানুবাদও শোনে। তবে এরপর আদালত যা সিদ্ধান্ত নেয় তা ব্যাংকের পক্ষেই গিয়েছে। ঋণ পরিশোধ না করতে পারার জন্য মালিয়াকে ৮৮ হাজার পাউন্ড জরিমানা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ৪ জানুয়ারির মধ্যে সেই টাকা জমা দিতে হবে মালিয়াকে।
[ আট মাসের ব্যবধানে জোড়া কৃষক বিদ্রোহে অস্বস্তিতে ফড়ণবিস সরকার ]
ব্যাংকের তরফে জানানো হয়েছে, আদালতের সিদ্ধান্তে তারা খুশি। রায় তাদের পক্ষেই গিয়েছে। ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় বাসভবনটি নিজেদের দখলে নিতে চেয়েছিল ব্যাংক। তবে আদালতের নির্দেশের পর কিছুটা হলেও সময় পেয়ে গেলেন মালিয়া। মামলার পরের শুনানির দিন ধার্য হয়েছে পরের বছর মে মাসে।
বর্তমানে ব্রিটেনে রয়েছেন বিজয় মালিয়া। ভারতে তাঁর উপর খাঁড়া ঝুলছে। তাঁর বিরুদ্ধে ইডি ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগ এনেছে। এই নিয়েই মুম্বইয়ের পিএমএলএ আদালতে বিচারপতি এমএস আজমির এজলাসে চলছিল মামলা। সেখানে মালিয়া জানিয়েছেন, গত দুই থেকে তিন বছর ধরে ক্রমাগত তিনি ব্যাংকগুলিকে ঋণ মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন। এই নিয়ে তিনি নাকি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কথাও বলেছেন। কিন্তু প্রতি পদক্ষেপে তাঁকে বাধা দিয়েছে ইডি। তিনি এও বলেছেন, বিচারব্যবস্থায় সাহায্য করতে তিনি সবসময় তৈরি। নিজেকে ব্রিটেনের আদালতে হাজির করতেও তাই দ্বিধা করেননি তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।