বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মীরসরাইয়ে রোমানা ইয়াছমিন কচি (২০) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল (মঙ্গলবার) ৮টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মস্তাননগর হাসপাতাল থেকে লাশটি উদ্ধার করে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন। উপ পরিদর্শক আলাউদ্দিন জানান, নিহত ওই গৃহবধুর লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তাৎক্ষনিকভাবে এসব বিষয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারন জানা সম্ভব হবে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে নিহত রোমানার স্বামী টিপু ও শ্বশুর জসিম উদ্দিন সহ পরিবারের বাকি সদস্যরা।
প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সোমবার দিবাগত সন্ধ্যায় ওই গৃহবধুকে খুনের পর ঘটনা আড়াল করতে স্বামী ও শ^শুর বাড়ির লোকজন গৃহবধুর মৃতদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্র জানান, গত বছর খানেক আগে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গনি কোম্পানির বাড়ি জসিম উদ্দিন ছেলে মো. টিপুর সাথে মীরসরাইয়ের পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বটতল এলাকার মৃত জাহাঙ্গির আলমের মেয়ে রোমানা ইয়াছমিন কচির বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মেয়ে পরিবার থেকে নগদ যৌতুক আদায় করে বর টিপুর পরিবার। কিন্তু তাতেও মন ভরেনি তাদের। তাই বিয়ের পর থেকেই স্বামী পরিবার যৌতুক দাবি আদায়ের জন্য গৃহবধুর উপর শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। প্রতিবেশীদের দাবি ওই গৃহবধুর স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
মস্তাননগর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উর্মি রায় জানান, সোমবার দিবাগত রাত ৯:৫৫ মিনিটের সময় কচির মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বামী টিপু। কিন্তু হাসপাতালে আনার আগেই ওই গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।