রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আমিনুল হক, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে
চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ আবাদযোগ্য জমি পতিত অবস্থায় পড়ে থাকে। এসব জমিতে কোনো চাষাবাদ হয় না। ফলে এ অঞ্চলের ফসল উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। কখনো কখনো উপজেলার উঁচু জমিতে সেচের সংকটও তীব্র। এছাড়া শ্রশ্রমিক সংকট, কৃষকদের অনীহা, জমির মালিক প্রবাসী হওয়াসহ নানা কারণে এ অঞ্চলে পতিত জমির পরিমাণ প্রতিবছরই বাড়ছে। এ অঞ্চলের পতিত জমি চাষের আওতায় আনতে সরকারের বিশেষ উদ্যোগ সুফল এনে দিতে পারে অঞ্চলের চাষিদের। মীরসরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, মীরসরাইতে ফসলি জমি রয়েছে ২৫ হাজার হেক্টর। এরমধ্যে একটা বড় অংশের জমি প্রতিবছর পতিত অবস্থায় থাকে। চলতি রবি মৌসুমে মীরসরাইতে পতিত রয়েছে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর আবাদযোগ্য জমি। এই উপজেলার সবচেয়ে সম্ভাবনার বিষয় পাহাড়ের পাদদেশ এলাকা ও পাহাড়ি সংযুক্ত এলাকার অনেক স্থানে পানি সংকট থাকে। কিন্তু মীরসরাই উপজেলা এলাকায় অবলিলায় পাওয়া যায় পানি। শুধু পানি নয় ঝর্ণাবেষ্টিত ছরাগুলোতে সারা বছর পানি থাকে। এছাড়া আরো আশার বিষয় উক্ত জেলার মহামায়া, বাওয়াছরা ও ওয়াহেদপুর সেচ প্রকল্প দ্বারা সহস্রাধিক হেক্টর জমি আবাদেও অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণেও এখানে অনাবাদি থেকে যায় অনেক জমি। এছাড়া উপজেলার অনাবাদি জমির বড় একটা অংশের মালিক প্রবাসীরা। বেহাত হয়ে যাওয়ার ভয়ে তারা জমি বর্গা দেন না। দেশের বিভিন্ন এলাকায় পতিত জমি চাষের আওতায় নিয়ে আসার কর্মপরিকল্পনা হাতে নেয়ার কথা জানা গেলেও মীরসরাইতে এখনো এই উদ্যোগ পিছিয়ে। এ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রশাসন ও কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে উপজেলা ও মাঠ পর্যায়ে কমিটি গঠন জরুরি। উপজেলার সোনাপাহাড় গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল জানান, সেচের অভাব ও শ্রমিক সংকটের কারণে তার জমি কয়েক বছর ধরে পতিত ছিল। কোনো চাষ করা হতো না এসব জমিতে। এ বছর সেচ ও কৃষি যন্ত্রপাতির নিজে কিনেছেন তিনি। ফলে জমিগুলোকে চাষের আওতায় আসায় আনন্দিত তিনি। মীরসরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ সুপারভাইজার নুরুল আলম জানান, এবারের আমনে আরো কয়েক হাজার হেক্টর জমি চাষের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। এছাড়া সেচ সংকটসহ অন্য সমস্যাগুলোও সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে সুফলও মিলছে। আগামী রবি মৌসুমে আরো ব্যাপক পতিত জমি আবাদের আওতায় নিয়ে আসতে একটি বৃহৎ পরিকল্পনা নেয়া হবে। সব মিলিয়ে কৃষি প্রধান এই জনপদের পরিত্যক্ত সকল জমি কৃষির আওতায় আসা এখন সময়ের দাবি। নইলে আমরা কোন ভাবেই কোনদিন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারবো না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।